বলধা গার্ডেনে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সেদিন গুলিস্তান গিয়ে জার্সি কেনার পর হাতে বেশ খানিকটা সময় ছিলো। তাই চিন্তা করলাম আশে পাশে যদি কোনো দর্শনীয় স্থান থাকতো তাহলে সেখান থেকে ঘুরে যাওয়া যেতো। তাই আমি আর দুলাভাই আলোচনা করছিলাম কোথায় যাওয়া যায়। এর ভেতর আমার মনে পরল একটা সময় চাকরি সূত্রে আমাকে কাপ্তানবাজার আসতে হতো। কাপ্তান বাজার থেকে একটু দূরে আছে ওয়ারী নামক এলাকা। সেখানে বলধা গার্ডেন নামে একটি পার্ক রয়েছে। যে পার্কে বিভিন্ন দুর্লভ প্রজাতির গাছ রয়েছে।

IMG_20221124_122946.jpg

IMG_20221124_122740.jpg

IMG_20221124_121001.jpg

একসময় এই পার্কে গিয়ে আমি এমন একটি ফুল দেখতে পেয়েছিলাম। যে ফুলটি ১০০ বছরে একবার ফোঁটে। তখন আমি বলধা গার্ডেনে গিয়ে দেখতে পেয়েছিলাম সেই ফুলটি।আমার মত আরও অনেক দর্শনার্থী এসেছিল সেই ফুলটি দেখতে। তাই আমি আমার দুলাভাইকে জানালাম কাছেই রয়েছে বলধা গার্ডেন। সেখান থেকে ঘুরে আসা যায়। তিনি সাথে সাথেই আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলেন। কারণ গাছপালার ব্যাপারে তার প্রচন্ড আগ্রহ। তিনি বাগান করতেও খুবই ভালোবাসেন। ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করার সাথে সাথে দেরি না করে আমরা দুজন রিকশায় করে রওনা দিলাম বলধা গার্ডেনের উদ্দেশ্যে।

IMG_20221124_122030.jpg

IMG_20221124_122113.jpg

IMG_20221124_122219.jpg

আধা ঘন্টার ভেতর আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম। তারপর টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম বলধা গার্ডেনের ভেতরে। ঢুকে দেখতে পেলাম চারপাশে শুধু সবুজের হাতছানি। নাম না জানা অসংখ্য গাছ রয়েছে এই পার্কটিতে। আমরা দুজন পার্কে প্রবেশ করে একদিক থেকে বিভিন্ন রকম গাছপালা দেখতে লাগলাম। সেখানে পরিচিত গাছ যেমন দেখতে পেলাম। তেমনি অসংখ্য অপরিচিত গাছও দেখতে পেলাম। পার্কটির দুটি অংশ রয়েছে। যার একটি অংশ এখন জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে। অপর অংশটিতে আমরা ঘুরছিলাম।

IMG_20221124_122356.jpg

IMG_20221124_122406.jpg

IMG_20221124_122504.jpg

তবে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম এই পার্কে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ উপভোগের লোকের থেকে প্রেমিক প্রেমিকা যুগলের উপস্থিতি বেশি। তারপর আমরা দুজন সেই শতবর্ষী ফুল খুঁজতে লাগলাম। পার্কের ঠিক মাঝখানে একটি চমৎকার পুকুর রয়েছে। যদিও সেটি আকারে খুবই ছোট। সেই পুকুরেই আমি সেই শতবর্ষী ফুল দেখেছিলাম। কিন্তু এবার গিয়ে দেখতে পেলাম সেই পুকুরটি একদম পরিষ্কার। সেই ফুলটির নাম আমি ভুলে গিয়েছি। তবে পুকুরে ফুল না থাকলেও ঘাট বাধানো পুকুরটি দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিলো। সকালে বা বিকালের দিকে সময় কাটানোর জন্য এই পুকুরের ঘাট চমৎকার একটি জায়গা।

IMG_20221124_121758.jpg

IMG_20221124_121126.jpg

IMG_20221124_121325.jpg

তাছাড়া বোটানির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই পার্কটি চমৎকার একটি জায়গা। এখান থেকে তাদের শেখার অনেক কিছু রয়েছে। এই পার্কে এমন বেশ কিছু গাছ দেখতে পেয়েছি যেটা সচরাচর বাইরে কখনো দেখা যায় না। তাছাড়া এই পার্কের প্রতিষ্ঠাতা সম্বন্ধেও বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম পার্কের প্রতিষ্ঠাতার এটি স্মৃতি স্তম্ভ রয়েছে পার্কের ভেতরেই। এই পার্কে আরো একটি মজার জিনিস দেখতে পেয়েছি। সেটি হচ্ছে সূর্য ঘড়ি। আমি এই ধরনের ঘড়ি এর আগে দেখিনি। এখানে সূর্যের আলো থেকেই আপনি সময় বুঝতে পারবেন। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সে পার্কের ভেতর ঘোরাফেরা করে তারপর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানবলধা গার্ডেন

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 

ভাইয়া কিছু মনে করবেন না আমি তো বলদা গার্ডেনের নাম শুনে মনে করেছিলাম আপনি সেখানে প্রেম করতে গিয়েছেন হা হা হা। কারণ আমাদের এদিকে এর নাম বলদা গার্ডেনের পরিবর্তে এখন প্রেম গার্ডেন বলে। আমি অনেক আগে একবার গিয়ে বুকা হয়ে গিয়েছিলাম। যেদিকে তাকাই ডাবল ছাড়া সিঙ্গেল নেই। তবে এটা ঠিক বলেছেন এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে যা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারবো। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে পুকুর। তবে এত সুন্দর পরিবেশেকে তারা দূষিত করে ফেলেছে। আমাদের এখান থেকে এই গার্ডেন খুব কাছে কিন্তু এই একটা সমস্যার জন্য সেখানে ঘুরতে যাওয়া হয়না। অনেক দিন পর আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই গার্ডেনের সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

বলধা গার্ডেন এর নাম প্রেমিক প্রেমিকাদের স্বর্গ।এদের অত্যাচারে পরিবার নিয়ে যেতেও ভয় লাগে।আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু নতুন জানতে পারলাম।দুঃখের বিষয় শতবর্ষে একবার ফোটা ফুলটি আমরা দেখতে পেলাম না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ইনফরমেটিভ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া কি সৌভাগ্য আপনার, ১০০ বছরে একবারই ফুল ফোটে, আর সেই ফুলটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আপনার। আপনার কথা শুনে আমারও খুব ইচ্ছে হচ্ছে, যদি কখনো এই শতবর্ষী ফুলটি দেখতে পেতাম তাহলে নিজেকেও সৌভাগ্যবান মনে করতাম।আর ইদানিং পার্ক গুলো মনে হয় বিনোদনের জায়গা থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাদের আস্তানা হয়ে গিয়েছে। যাইহোক ভাইয়া, বলধা গার্ডেনে দুলাভাইকে নিয়ে অনেক ঘোরাফেরা করে, প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেক গাছপালা দেখে খুব সুন্দর সময়টুকু, আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago (edited)

কি বললেন ভাই একশো বছর পর ফুল ফুটে এ কেমন ফুল ৷ আজ প্রথম আপনার মুখে শুনলাম ৷ সত্যি বলতে আমি শুনে একটু অবাক হলাম ৷
যা হোক জার্সি কিনতে গিয়ে আপনার দুলাভাই সহ বলধা গার্ডেনে গিয়েছেন ৷ তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো এবং পরিবেশ টা অসাধারণ ৷ তবে যদি একশো বছরের ফুলের গাছটি দেখতে পেতেন তাহলে আরও ভালো লাগতো ৷
ধন্যবাদ ভাই দারুন মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ৷

 2 years ago 

এরকম গাছ পালার,সবুজ শ্যামল, মনোরম মুক্ত পরিবেশে প্রেমিক-প্রেমিকারা বেশি ঘুরে বেড়ায়। আপনি চাইলে কিন্তু সুমা আপুকে নিয়ে যেতে পারতেন। যাইহোক আপনার বন্ধুর সঙ্গে এই পার্কে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। তবে আপনার কাছ থেকে সে শতবর্ষে ফুলের নাম শুনে আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম এবং পড়ছিলাম। কিন্তু ফুল দেখতে না পেয়ে মন খারাপ হয়ে গেল 😑। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ফুলের কথা শুনেছি কিন্তু কখনো স্বচক্ষে দেখা হয়নি। আর পার্কের নামটাও একটু অন্যরকম লাগলো আমার কাছে।

 2 years ago 

এটা কি বলছেন ভাইয়া, ১০০ বছরে একবার ফোঁটে এই ফুলটা আপনি দেখেছেন। আমি তো চিন্তাই করতে পারছি না। ১০০ বছরে ফোটে এই ফুলটার নাম মরিয়ম ফুল। কিন্তু এটা দেখার খুব ইচ্ছে রয়েছে আমার। যদিও এইবার গিয়ে আপনি ফুলটা দেখতে পাননি। তবে পার্কে দেখছি ভীষণ সুন্দর কিছু গাছপালা রয়েছে। আমি যতটুকু শুনেছি এই পার্কে নাকি শুধুমাত্র জোড়ায় জোড়ায় গিয়ে থাকে। এমনিতে পার্কের পরিবেশটাও সুন্দর দেখছি।

 2 years ago 

ইতিহাস পড়ে যা বুঝলাম এই উত্তরটি ১৯০৯ সালে গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ অনেক পুরনো উদ্যান।সুতরাং এই উদ্যানে নিশ্চয়ই এরকম পুরনো অনেক গাছও আছে। এরকম সবুজের মধ্যে কয়েক ঘন্টা বসে থাকলে, মন তো ভাল হয়ই, সাথে চোখও ভালো লাগে। বেশ সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

বলধা গার্ডেন এ আমি ২ বার গিয়েছি। আমার বেশ ভালোই লেগেছে। কিন্তু বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে বেশ খারাপ ই লেগেছে তাই আর যাইনি কখনো। আমার আম্মুর বাসা পুরনো ঢাকায়।ধরতে গেলে আমার বেড়ে ওঠা, সবই ওখানটাতে। কিন্তু পরিবেশের জন্য এখন যাওয়া হয় না। আপনি গেছেন জেনে ভাল লাগলো ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 67441.24
ETH 3492.03
USDT 1.00
SBD 2.81