অপছন্দের শহরের পছন্দের বাজার।
বেশ কিছুদিন হলো ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় এসেছি একটি অত্যন্ত জরুরি কাজে। কাজটি শেষ হতে বেশ সময় লাগবে। সেজন্যই আমার এই অপছন্দের শহরে অনেকদিন থাকতে হবে। অনেকদিন থাকতে হবে এই কথা চিন্তা করতেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মেজাজ খারাপ হলেও কিছুই করার নেই। কারণ কাজটি শেষ না করে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই। এখন দেখা যাক কাজটি শেষ করতে পারি কিনা।
ঢাকায় আমি যে কাজ নিয়ে এসেছি সে কাজের সুবাদে আমাকে শান্তিনগরে প্রায় প্রতিদিনই যেতে হচ্ছে। এই এলাকাটা আমার একেবারেই পছন্দ না। যদিও কাজে এত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে যে পছন্দ-অপছন্দটা খুব একটা সমস্যা তৈরি করতে পারছে না। তবে এই এলাকাটা আমার পছন্দ না হলেও এখানকার বাজারটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। কারণ আমি এই বাজারটাতে ঘুরে দেখেছি। সেখানে নিত্যব্যাবহার্য প্রায় সমস্ত ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। যেগুলো আমরা সাধারণত মফস্বল শহরে অনেক খুঁজেও পাই না। সে সমস্ত কিছুই এই বাজারে পাওয়া যায়।
আর এই বাজারের সবচাইতে বৈচিত্র্যপূর্ণ দোকানগুলি হচ্ছে এখানকার ফলের দোকানগুলি। শুধু দেশী নয় নানা রকম বিদেশি ফলের সমাহার রয়েছে দোকানগুলিতে। তার ভেতরে কিছু ফলের নাম জানি। আবার নাম না জানা কিছু ফল ও দেখতে পাই। তাছাড়া অফ সিজনের বিভিন্ন ফলও এই দোকানগুলিতে দেখা যায়। আমাকে মাঝে মাঝেই সেই বাজারে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন কাজে। তবে এতদিন বাজারটা তখনো পুরোপুরি ঘুরে দেখা হয়নি। আজ দুপুরে হাতে কিছুটা সময় থাকায় আমি বাজারটা একপাক ঘুরে নিলাম।
আমার আগে এই বাজার সম্বন্ধে খুব একটা ধারণা ছিল না। আমি ভেবেছিলাম খুব ছোট একটি বাজার এটি। কিন্তু বাজারের ভেতরের দিকে গিয়ে আমি অবাক হয়েছি। সেখানে সারিসারি দোকানপাট রয়েছে। সেই সমস্ত দোকানে এমন কোন জিনিস নেই যা পাওয়া যায় না। তাল পাতার পাখা, ডালা, কুলো থেকে শুরু করে নারিকেল পাতার তৈরি ঝাড়ু সব পাওয়া যায় এখানে। তবে এই বাজারের একটি দুর্নাম শুনতে পাই। সেটি হচ্ছে এখানে সবকিছু পাওয়া গেলেও সেগুলির দাম থাকে অনেক বেশি। বিশেষ করে যারা কারওয়ান বাজার থেকে বাজার করে তাদের কাছে এই অভিযোগটা বেশি শোনা যায়।
যদিও ঢাকার এখন অবস্থা সম্পন্ন প্রায় বেশিরভাগ মানুষই সুপার শপ গুলি থেকে বাজার করে। তবে আমি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেছি। সবাই সুপার শপ থেকে বাজার করলেও মাছ-মাংস বাইরের বাজারগুলি থেকেই কিনতে দেখেছি বেশিরভাগ মানুষকে। কেন জানি মানুষজন সুপার শপের মাছ-মাংসের উপর খুব একটা ভরসা করতে পারে না। তবে এই এলাকার মানুষজনের সুপার শপের না গেলেও চলে। কারণ এখানকার বাজারে সব ধরনের পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | শান্তিনগর বাজার |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/7) Get profit votes with @tipU :)
You have received a vote from the @steemit-market account!
Welcome to our discord: https://discord.gg/NAXE7WmG .
Stay up to date with the project news!
শান্তিনগর বাজার দেখে ভালোই লাগলো ভাইয়া । আমাদের ধানমন্ডি ফলের দোকানগুলোতেও এত এত ফল দেখা যায় ভালোই লাগে ভাইয়া । আপনি সুন্দর একটি বাজারের তথ্য আমাদেরকে পোস্টের মাধ্যমে দিলেন । আপনাকে এজন্য ধন্যবাদ । অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য । আমার বাসায় ভাইয়া এসে ঘুরে যান । দাওয়াত রইল ।
আমরা যারা ঢাকা বসবাস করছি তাদের অনেকের কাছেও ঢাকা খুবই অপছন্দের জায়গা। তবে ঢাকা থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার জীবনে চলার জন্য যা যা দরকার সবই এখানে পাবেন। আর আপনার সাথে আমি একমত হয়ে বলছি আমি নিজেও কাচা বাজারগুলো বাজারে গিয়ে করি আর বাকি সব সুপারশপ থেকে কেনা হয়। ছবিগুলো ভাল লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
শান্তিনগরের বাজারটা থেকে বেশ ভালো লাগলো। আপনার মতে এই বাজারে তার সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পেয়ে যাবে। দোকান দিলেও বেশ দেখতে অসাধারণ লাগছে। এলাকাটা আপনার কাছে ভালো না লাগলেও বাজারটা কিন্তু খুবই মনোরম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
লেখার টাইটেল টা বেশ দিয়েছেন। ঢাকা কয় জন মানুষ আর ইচ্ছে করে থাকে বেশির ভাগই জোর করে থাকে। শান্তিনগরের সাইডে জ্যাম এর জন্য যেতে খুব ভয় লাগে আমার। তবে বাজারটা ভালই লাগলো। সত্যি বলতে ঢাকা শহরে বেশিরভাগ বাজার গুলো তে এমন সব ধরনের জিনিস পাওয়া যেতে দেখি। এই ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগে।