প্রিয় দলের জার্সি উপহার পাওয়া।
বেশ কিছুদিন হলো বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। যথারীতি বাংলাদেশের মানুষজনের মাঝেও প্রচন্ড মাতামাতি শুরু হয়েছে। যদিও এটা নতুন কিছুই নয়। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। ফুটবল বিশ্বকাপ যখনই শুরু হয় তখন দেশের মানুষজনের ভেতরে একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। যে যেই দলের সাপোর্ট করে। সেই দলের কেউ পতাকা বানায়, কেউ জার্সি কিনে গায়ে দেয়, কেউবা কোথাও ওয়াল পেইন্টিং করে। আরো বিভিন্ন রকম কাজের মাধ্যমে তাদের প্রিয় দলের প্রতি সাপোর্টের জানান দেয়।
আমি যদিও ফুটবল খেলা পছন্দ করি। কিন্তু বিশ্বকাপ নিয়ে আমার ভেতর এতটা মাতামাতি নেই। আমি অতিরিক্ত উৎসাহী না হলেও প্রিয় দলের জার্সির প্রতি একটা দুর্বলতা আমার রয়েছে। এটা আবার আমার দুলাভাই বেশ ভালোভাবেই জানে। এজন্য কয়েকদিন আগে আমি আর আমার দুলাভাই একটি কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। কাজটি শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা চিন্তা করলাম আশেপাশের কোন একটি জায়গা থেকে ঘুরে যায়। আমার ভাগ্নে কয়েকদিন ধরে তার প্রিয় দল ব্রাজিলের জার্সির বায়না ধরে ছিলো। তাই আমরা চিন্তা করছিলাম তার জন্য একটি জার্সি কিনে নিই।
আমরা তখন গুলিস্তানের বেশ কাছাকাছি ছিলাম। আমরা যেখানে ছিলাম তার বেশ কাছেই গুলিস্তানে এই ধরনের পণ্যের পাইকারি মার্কেট রয়েছে। যেখান থেকে সারাদেশে পণ্য সরবরাহ করা হয়। সেই মার্কেটে নানা ধরনের ক্রীড়া সরঞ্জাম পাওয়া যায়। আমরা শুনেছি সেখানে এই জার্সি গুলো মোটামুটি রিজনেবল প্রাইসে পাওয়া যায়। বাইরের দোকানে যে জার্সি গুলি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সেই জার্সি টাই এখানে পাঁচ ছয়শ টাকায় বিক্রি হয়। তাই আমরা চিন্তা করলাম এই কথা কতটুকু সত্য সেটা একবার যাচাই করে দেখি।
সেজন্য আমরা দুজন মিলে চলে গেলাম সেই পাইকারি মার্কেটে। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম অসংখ্য দোকান। সব দোকানে একই ধরনের পণ্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। আমরা ঘুরে ফিরে দেখতে দেখতে একটি মার্কেটের দোতলায় পৌঁছলাম। সেখানে দেখতে পেলাম বিভিন্ন দলের জার্সি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এখানকার ক্রেতারা প্রায় সবাই পাইকারি ক্রেতা। শুধু আমাদের মতো অল্প কয়েকজন বাদে। আমরা বিভিন্ন দোকান ঘুরে আমার ভাগ্নের জন্য জার্সি পছন্দ করতে লাগলাম।
শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের একটি জার্সি আমাদের পছন্দ হলো। দামাদামি করে জার্সিটা সাথে সাথে কিনে ফেললাম। ভাগ্নের জার্সি কেনা শেষ হলে আমরা দুজন ফিরছিলাম। হঠাৎ করে আমাদের চোখ গেল একটি দোকানের দিকে। সেখানে বিভিন্ন দলের জার্সি সাজিয়ে রাখা ছিলো। তার ভিতরে একটি জার্সির দিকে আমাদের দুজনের দৃষ্টি চলে গেলো। জার্সিটি ছিল জার্মানির জার্সি। আমার দুলাভাই জানে আমি জার্মানির সাপোর্ট করি। তাই সে জার্সিটি আমার জন্য কিনে ফেললো।
উপহার পেতে কার না ভালো লাগে? যদিও দাম আমি পরিশোধ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কিছুতেই আমাকে দাম দিতে দিলো না। জার্সিটি আমার নিজেরও খুবই পছন্দ হয়েছে। যদিও আমার আরো একটি জার্সি পছন্দ হয়েছে। চিন্তা করেছি অন্য কোন সময় ওই মার্কেটের দিকে গেলে। সেই জার্সিটি কিনে নেবো। সেই জার্সিটি হচ্ছে আর্জেন্টিনার একটি কালো জার্সি। জার্সি কেনা শেষে ফুরফুরে মেজাজে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | গুলিস্তান |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে ভাই বিশ্বকাপ ফুটবলের কারণে পুরো পৃথিবীর মানুষ যেন আনন্দে মেতে উঠেছে এবং সবাই তার প্রিয় দলের জার্সি কিনতে শুরু করেছে। আপনি ব্রাজিলের জার্সি কিনেছেন যেনে খুবই ভাল লাগলো এবং আপনার প্রিয় দল জার্মানির জার্সি উপহার পেলেন,এটি জানতে পেরে আরো বেশি ভালো লাগলো।
সারাদেশ সত্যিই খেলা নিয়ে মেতে আছে। আর এতে অনেক জার্সিও বিক্রি হচ্ছে। আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার হয়েও ছেলেকে আর্জেন্টিনার জার্সি কিনে দিলাম। 😅 আপনি জার্মানির সাপোর্টার, আপনি একটি জার্সিও পেলেন উপহার জেনে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিশ্বকাপ সত্যিই বিশ্বকাপ।বিশ্বের যে দেশ খেলে না তাদেরও এত উত্তেজনা। এই কারণেই হয়তো বলে শিল্পী,খেলোয়াড় এদের ফ্যানদের আলাদা করে কোন ধর্ম,জাতি বা দেশের প্রয়োজন হয় না। তারা প্রকৃতপক্ষে একজন ফ্যান তার বেশি তার কোন পরিচয় নেই। পরিচয়ের প্রয়োজনও নেই ।এই খেলা নিয়ে ক্রেজ ছেলেদের মধ্যে মেয়েদের তুলনা একটু বেশি। মেয়েরাও যদিও কম যায় না। আমাদের বাড়িতে ছেলেদের সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় বেশি। আমার ভাইরা এরকম ভাবেই পাগলের মত উদযাপন করছে। যদিও পছন্দের দলটা আলাদা আপনার থেকে।আমার পরিবারের শুধু আমার ন কাকা ছাড়া সবাই আর্জেন্টিনা।একমাত্র ন কাকা ব্রাজিল আর ছোট কাকা জার্মানি। ওই কারণে সবাই ভীষণ পেছনে লাগে ওদের। আপনি জামাইবাবুর সাথে গেলেন আর জামাইবাবু আপনাকে কিছু কিনে দেবে না তা তো হয় না। বেশ ভালোই কেনাকাটা হলো।তবে এটা ঠিকই বলেছেন যে এখন যেহেতু ক্রেজ চলছে খেলার ওই কারণে যে কোন জার্সির দাম একটু বেশি নির্ধারণ করা হবে।ওই কারণে পাইকারিতে কেনা সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ।