একটি ব্যস্ত দিনের গল্প।

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এবার ঢাকায় গিয়েছিলাম মূলত আমার মাকে ফরিদপুর ফিরিয়ে আনতে। তবে সেই সাথে পরিকল্পনা করেছিলাম কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করার জন্য। এই প্রয়োজনীয় জিনিসের ভেতরে ছিলো আমার নতুন কেনা স্মার্টওয়াচের জন্য স্ট্র্যাপ আর ফোনের জন্য একটা হেডফোন। এ ছাড়া কিছু কাপড়-চোপড়ও কেনার প্রয়োজন ছিলো। যাইহোক যেদিন ঢাকা পৌঁছলাম সেদিন বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় বিকাল হয়ে গিয়েছিলো। যার ফলে সেদিন আর আমার তেমন একটা কেনাকাটা করা হয়নি। তাই পরদিন সকালে বোনের বাসা থেকে বের হলাম বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়ে। সে কাজগুলোর ভেতরে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো। আমার এক চাচাতো ভাইয়ের সাথে আমাদের বাড়ি নিয়ে জরুরী কিছু কথাবার্তা বলা। তবে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে চাচাতো ভাইকে ফোন দিলে সে জানালো সে গুলশানে একটা মিটিংয়ে গিয়েছে। তার ফিরতে দেড়টা দুটোর মতো বাজবে।

1000002121.jpg

তখন আমি পরিকল্পনা করলাম তাহলে প্রথমে গিয়ে আমার কেনাকাটা শেষ করি। কেনাকাটা শেষ হলে তখন গিয়ে চাচাতো ভাইয়ের সাথে কথা বলা যাবে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আমি আপুর বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। চিন্তা করেছিলাম আমার কাপড় চোপর গুলো নিউমার্কেটের ওখান থেকে কিনবো। আমি ঢাকা গিয়ে সময় পেলেই নিউমার্কেট অঞ্চলটা একবার ঘুরে আসি। কারণ ওই এলাকাটার সাথে আমার পুরনো কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমি একটা সময় ঢাকা কলেজে পড়তাম। ঢাকা কলেজ হোস্টেলে থাকার দরুণ ওই এলাকার সাথে আমার বেশ কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তবে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ঢাকা শহরের জ্যাম নিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম। বের হওয়ার পরে পরিকল্পনা করলাম ভেঙে ভেঙে নিউ মার্কেট পর্যন্ত যেতে হবে।


1000002119.jpg

1000002124.jpg

কারণ যদি আমি বাসে করে বা সিএনজি করে বনশ্রী থেকে নিউমার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। তাহলে আমার দীর্ঘ সময় লাগবে। তাই আমি একটা মোটরসাইকেল নিয়ে সরাসরি সাইন্স ল্যাবের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেদিন আমার ভাগ্য কিছুটা সহায় ছিলো। রাস্তায় খুব একটা জ্যাম পায়নি। তাই সাইন্সল্যাবে পৌঁছতেও আমার খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। যাই হোক সাইন্সল্যাবে পৌঁছে মোটরসাইকেল থেকে নেমে আমি বাকি পথটা হেঁটে আগাতে লাগলাম। হাঁটতে হাঁটতে প্রথমে গেলাম ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থিত মার্কেটটাতে। সেখানে তুলনামূলক কম দামে ছেলেদের বেশ ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। আমি সেখানে গিয়ে দুটো থ্রি কোয়ার্টার আর দুটো মোবাইল প্যান্ট কিনলাম। তারপর সেখান থেকে নিউ মার্কেটে গিয়ে আমি আমার মেয়ের জন্য একটি বিশেষ পেন্সিল বক্স খুঁজতে লাগলাম।


1000002135.jpg

1000002131.jpg

তবে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পরও আমার পছন্দ করা পেন্সিল বক্সটা কোথাও পেলাম না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে অন্য একটা পেন্সিল বক্স কিনে নিলাম। তারপর আরো কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা করেছিলাম। কেনাকাটা শেষ হওয়ার পরে তখন ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি বেলা ১২:৩০ মতো বাজে। আমি আমার চাচাতো ভাইকে ফোন দিলে সে জানালো তার আরো কিছু সময় লাগবে। যাই হোক তখন আমি নিউমার্কেট থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মতিঝিল পৌঁছে চাচাতো ভাইয়ের সাথে জরুরী কথাবার্তা সেরে বোনের বাসার দিকে ফিরতে লাগলাম। আমি সাধারণত ঢাকায় ঘোরাফেরা করলে তখন বাইরে কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়া করে থাকি। তবে কেন জানি সেদিন কোনো কিছু খেতে ইচ্ছা করছিলো না। যাইহোক ফেরার সময়ও আমি একটু বুদ্ধি করে মতিঝিল থেকে মেট্রোতে করে কারওয়াণ বাজারে পৌঁছালাম। তারপর সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে রামপুরা পর্যন্ত গিয়ে। সেখানে থেকে রিকশা নিয়ে বোনের বাসায় ফিরলাম। আর এভাবেই একটি ব্যস্ত দিনের সমাপ্তি হলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসSamsung s24 ultra
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানঢাকা

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

নিউমার্কেট এবং এলিফ্যান্ট রোড থেকে আমিও কেনাকাটা করে থাকি। প্রথম ফটোগ্রাফিটা দেখে খুব ভালো লাগলো। কারণ আমি এই সিঁড়ি দিয়েই নিউমার্কেটে ঢুকে কেনাকাটা করে থাকি। সবমিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন সেদিন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 67093.90
ETH 2483.23
USDT 1.00
SBD 2.51