বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প (শেষ পর্ব)।
আসলে সমুদ্রের পাড়ে বসে সময় কাটাতে সবারই অনেক ভালো লাগে। বসে বসে সমুদ্রের ঢেউগুলো তীরে আছড়ে পড়তে দেখা এবং সমুদ্রের গর্জন শোনা সে এক দারুন অনুভূতি। বিচের পাশে বসে দুই বন্ধু গল্প করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেলো টেরই পায়নি। সন্ধ্যা হওয়ার কিছুক্ষণ পরে ছোট ভাই তানজিব এসে আমাদের সাথে যোগ দিলো। সেখানে আমরা বেশ কিছুক্ষণ গল্প গুজব করলাম। তারপর একসময় মনে হোলো এখন আমাদের টুকিটাকি কেনাকাটা সেরে নেওয়া উচিত। ছোট ভাই তানজিব যখন শুনলো আমরা শুটকি কিনতে যাব। তখন সে আমাদেরকে জানালো তার পরিচিত একটা ছেলে আছে যাদের শুটকির দোকান আছে। তখন তানজিব তার সাথে কথাবার্তা বলে আমাদেরকে সেই দোকানে ঠিকানা দিলো। তানজিবের হঠাৎ করে একটা জরুরী কাজ পড়ে যাওয়ায় সে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
আর আমরা তানজিবের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে রওনা দিলাম সেই শুটকির দোকানের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে আমরা শুটকি মাছ কেনার পরে টুকিটাকি আরও কিছু কেনাকাটা করলাম। কেনাকাটা করা শেষ হলে আমরা দুজন আবার তানজিবের রুমের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে পৌঁছে আমি রাফসানকে বললাম যেহেতু রাতে রওনা দেবো। তাই চল এখনই খাওয়া দাওয়া সেরে নেই। তবে রাফসান বলল সে খাওয়া-দাওয়া করবে না। অতঃপর আমি একাই চলে গেলাম খেতে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি যখন রুমে ফিরলাম তখন খেয়াল করে দেখি আমাদের বাসের সময় বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে। তাই দ্রুত তৈরি হয়ে নিয়ে দুই বন্ধু রওনা দিলাম বাসের উদ্দেশ্যে। কাউন্টারের সামনে পৌঁছে দেখি তখন ও বাস সেখানে এসে পৌঁছায়নি।
পরবর্তীতে কাউন্টারে যোগাযোগ করলে তারা জানালো বাস আসতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। আমরা দুজন কিছুটা চিন্তায় ছিলাম যে এবারকার বাসটা কেমন হবে? কারণ আসার সময় এর অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। যাইহোক শেষ পর্যন্ত বাস এলে বাসের ভেতরে আমরা দ্রুত উঠে বসলাম। তবে এবারের বাসটা বেশ ভালো ছিলো। বাসটাকে দেখে আমাদের কাছে একেবারেই নতুন মনে হলো। আর এবার যেহেতু আমাদের সিট ছিলো সামনের দিকে তাই আমরা দুই বন্ধু পুরোটা পথ প্রায় ঘুমিয়েই কাটিয়েছিলাম। আসলে দীর্ঘ যাত্রা পথে স্লিপার কোচ একটা দারুন পছন্দ হতে পারে। কারণ দীর্ঘ সময় বসে থাকতে অনেকেরই ভালো লাগেনা। বিশেষ করে আমার মতো জার্নি অপছন্দ করা মানুষগুলোর জন্য তো স্লিপার কোচ একেবারেই পারফেক্ট। ফেরার পথে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় ফিরেছিলাম। ইম্পেরিয়াল পরিবহনের এই গাড়িটাতে ফিরে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এরপর থেকে কক্সবাজার যেতে হলে এই বাসে করেই যাবো। আর এভাবেই আমাদের এবারের কক্সবাজার ট্যুর শেষ হোলো। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | কক্সবাজার |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনারা ফেরার পথে খুব সুন্দরভাবে ই আসতে পারলেন।আর আসার আগে ছোট ভাইয়ের দেখা ঠিকানায় গিয়ে কিছু শুটকি মাছ ও কেনাকাটা করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আমি কখনও স্লিপার কোচে উঠিনি।আসলে জার্নিতে আমার কিছুতেই ঘুম হয় না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাই ইমপেরিয়াল এক্সপ্রেস এর স্লিপার কোচ গুলো সত্যিই খুব ভালো। আমরা এই বছর ফেব্রুয়ারিতে ইমপেরিয়াল এক্সপ্রেস স্লিপার কোচে চড়েই কক্সবাজার আসা যাওয়া করেছিলাম। সত্যি বলতে জার্নির অভিজ্ঞতা দারুণ ছিলো। যাইহোক কক্সবাজার থেকে বেশ ভালোভাবে ঢাকায় পৌঁছাতে পেরেছিলেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। কক্সবাজার ভ্রমণের সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।