যমুনা ফিউচার পার্কে কাটানো কিছু চমৎকার মুহূর্ত।
গত কয়েকদিন থেকে ব্যক্তিগত কাজের চাপ কিছুটা কমে গিয়েছে। কিন্তু কমে গেলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি। যে কারণে এখনো ঢাকায় থাকতে হচ্ছে। মনটা বাড়িতে ফেরার জন্য অশান্ত হয়ে উঠেছে। ঢাকা শহরে আর এক মুহূর্ত থাকতে মন চাইছে না। কিন্তু কি আর করা। ইচ্ছা হলেই তো আর যাওয়া সম্ভব না। কারণ যে কাজে ঢাকা এসেছিলাম সেটা এখনো শেষ হয়নি। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঢাকা থাকতে হচ্ছে। তবে ঢাকা আসলে আমি সময় সুযোগ পেলেই ঘুরে ফিরে বেড়ানোর চেষ্টা করি।
কয়েকদিন আগে সিয়াম ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিল। তখন দুজন মিলে পরিকল্পনা করেছিলাম বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে কোন একটা মুভি দেখব। কিন্তু যেদিন যাওয়ার কথা ছিল সেদিন সিয়াম ভাইয়ের একটি জরুরী কাজ পড়ে যাওয়ায় আর সেদিন যাওয়া হয়নি। তাই গতকাল ঠিক করেছিলাম আজ আমরা দুজন যমুনা ফিউচার পার্কে যাবো। গিয়ে সেখানে যদি পছন্দ সই কোন মুভি পাই তাহলে সেটা দেখব। কিন্তু সকালে উঠে জানতে পারলাম তিনি কিছুটা অসুস্থ। তাই আর তাকে আমি জোড়াজুড়ি করলাম না যাওয়ার জন্য।
যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়ার আমার আরো একটি উদ্দেশ্য ছিল। বারিধারায় আমার একটি জরুরী কাজ ছিল। আমি তাই চিন্তা করেছিলাম এক ঢিলে দুই পাখি মারবো। ফিউচার পার্কে ঘুরতে যাব। আবার ফেরার পথে কাজটা সেরে ফেলবো। যাইহোক সিয়াম ভাই যখন যেতে অপারগতা প্রকাশ করল। তখন আমি চিন্তা করলাম আমি একা একাই গিয়ে ঘুরে আসি। কারণ আমাকে এমনিতেও ওদিকে যেতে হবে। তাই আমি তৈরি হয়ে বেলা বারোটার দিকে বাসা থেকে বের হলাম। ইচ্ছা ছিল আরো একটু আগে বের হওয়ার। কিন্তু কমিউনিটির কিছু কাজ করতে করতে বের হতে দেরি হয়ে গেলো।
বাসা থেকে বের হয়ে বাসে করে ফিউচার পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ফিউচার পার্কে যখন পৌঁছলাম তখন বেলা একটা বেজে গিয়েছে। বাসে থাকতেই টের পেলাম পেটে ছুচর নাচন চলছে। তাই আগে থেকেই ঠিক করলাম ফিউচার পার্কে প্রবেশ করে প্রথমে ফুড কোর্টে গিয়ে কিছু খেয়ে নেবো। তারপর ঘোরাফেরা করব। যথারীতি ফিউচার পার্কে পৌঁছে সরাসরি চলে গেলাম ফুড কোর্টে। সেখানে পৌঁছে খুঁজতে লাগলাম কি খাওয়া যায়। কিন্তু এত খাবারের দোকান থাকা সত্ত্বেও তেমন পছন্দ মতো কিছু পাচ্ছিলাম না। আর চারপাশে যত রেস্টুরেন্ট দেখি তার ভিতর শতকরা ৯০ ভাগ ইন্ডিয়ান খাবারের রেস্টুরেন্ট।
আমি এর আগে একবার বলেছি এখানে আসলে আপনার মনে হবে আপনি ইন্ডিয়ার কোন জায়গার ফুড কোর্টে চলে এসেছেন। যদিও আমার ইন্ডিয়ান রেসিপিগুলি খুবই পছন্দ। তবে আজ ইচ্ছে ছিল অন্য কোন খাবার ট্রাই করার। অন্য কিছু তেমন একটা পছন্দ না হওয়ায় আমি সেখান থেকে ছোলে বাটোরে খেলাম। এই খাবারটি আমার খুবই পছন্দের। এত ক্ষুধা লেগেছিল যে যথারীতি আমি ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম।
যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমি তখন ঠান্ডা মেজাজ মার্কেটের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। তবে মার্কেটে ঘোরা ফেরার সময় বারবার আমাকে ঘড়ির দিকে চোখ রাখতে হচ্ছিল। কারণ আমি যে জরুরী কাজ নিয়ে এসেছি সেই কাজ শেষ করে আমাকে তিনটা সাড়ে তিনটের ভেতর বাসায় ফিরতে হবে। যার ফলে আমার হাতে ঘোরাফেরার জন্য খুব একটা বেশি সময় ছিল না। আর এই মার্কেটটা এত বড় যে আপনাকে ঘুরেফিরে দেখতে হলে অনেকটা সময় হাতে নিয়ে যেতে হবে। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে আমি ফিউচার পার্ক থেকে বের হয়ে আসলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | যমুনা ফিউচার পার্ক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/8) Get profit votes with @tipU :)
অসুস্থতার কারণে সিয়াম ভাইয়ের সাথে আপনি যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরতে পারলেন না। যদি আপনারা দুজন একসাথে ঘুরতেন তাহলে হয়তো বা আরো বেশি মজা হত। আসলে যখন বেশি খিদা লেগে যায় তখন এমনই অবস্থা হয় খাবার খেতে খেতে আর মনে থাকে না ছবি তোলার কথা। যাই হোক একা একা হাতে সময় না থাকার পরেও আপনি দারুন কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যমুনা ফিউচার পার্কে।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে ঘুরে আসা, একদিন গিয়েছিলামও, কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিন যেয়ে দেখি যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ ☹️,, মুখ ভার করে চলে আসছিলাম,, তারপর আর যাওয়া হয় নি। আজ আপনার ছবিগুলোর মাধ্যমে ভেতরের কিছুটা অংশ হলেও দেখতে পারলাম ভাই। ভালোই লাগলো। আর খিদে পেয়ে গেলে আমারও ছবি তোলার কথা মাথায় থাকে না একদম 😀,, পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি 😊
এই প্রথম দেখলাম তেমন কিছু না খেয়েই ফিরে আসলে কোন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে আহারে। তবে তোমার জন্য কিন্তু আমার রীতিমত দুশ্চিন্তা হচ্ছে এই সব স্পাইসি খাবার খেতে খেতে কবে না অসুস্থ হয়ে পর। যাই হোক কবে আসবা জানিও।
এক ঢিলে দুই পাখি ভালোই মেরেছেন ভাইয়া ৷ একদিকে নিজে কাজ হয়ে গেলো অন্য দিকে ঘোরাঘুরিও হয়ে গেলো ৷ সিয়াম ভাইয়া থাকলে আরো বেশি জমতো ঘোরাঘুরি কিন্তু অসুস্থতার জন্য আর হলো না ৷ যাই হোক ঘোরাঘুরির মাঝে খাওযা দাওয়াও বেশ ভালো হয়েছে ৷ আসলে ঢাকা ব্যস্ত শহর তো তাই একটু খারাপ লাগছে বোধায়৷ খুব তারাতারি আপনার কাজ শেষ হোক এবং তারাতারি বাড়ি ফিরে অশান্ত মন শান্ত করুন ৷