পরিবার নিয়ে বাইরে খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা জানেন আমি খেতে ভালোবাসি। তবে বর্তমানে কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে খাওয়া-দাওয়া অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি। বিশেষ করে বাইরের খাবার খাওয়া। তবে আমার পরিবারের লোকজন আবার বাইরের খাবার খেতে খুবই পছন্দ করে। ফুড পান্ডা আসার পর থেকে বাইরের খাবার খাওয়া আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন আর আমাদের রেস্টুরেন্টে যেতে হয় না। কখনো কোন খাবার খেতে ইচ্ছা হলে ফুডপাণ্ডার মাধ্যমে অর্ডার করলেই সেটা বাড়িতে বসে পাওয়া যায়।
তাই এখন বেশিরভাগ সময় আমরা বাইরের খাবার ফুড পান্ডার মাধ্যমে আনিয়ে খাই। এজন্য এখন আর রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় না। কিছুদিন থেকে আমার মেয়ে বলছিল অনেকদিন হলো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া হয় না। চলো আমরা একদিন রেস্টুরেন্টে যাই। আমার স্ত্রীও আমাকে একই কথা বলছিলো। তারপর আমরা চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম বাইরে খেতে যাওয়ার। তবে আজ সকাল থেকেই দেখছিলাম আমার মেয়ের শরীর কিছুটা অসুস্থ। তাই আমরা দুজন আলোচনা করছিলাম আজকের প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করার।
কিন্তু আমার মেয়ে নাছোড়বান্দা সে রেস্টুরেন্টে খেতে যাবেই। যাই হোক কি আর করা ? শেষ পর্যন্ত তার জিদের কাছে হার মেনে আমরা একটি রেস্টুরেন্টে খাবার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে রওনা দিলাম। এই রেস্টুরেন্টে আমরা এর আগে একবার খেয়েছি। রেস্টুরেন্টটি ছোটো কিন্তু এদের খাবারের মানটা বেশ ভালো। আমরা যখন রেস্টুরেন্টে পৌঁছলাম তখন বেলা দুটো পার হয়ে গিয়েছে। কি খাবো সেটা আমরা আগে থেকেই ঠিক করে গিয়েছিলাম। তাই রেস্টুরেন্টে পৌঁছে আর দেরি না করে আমাদের কাঙ্খিত খাবারের অর্ডার দিলাম। সাথে এটাও বলে দিলাম প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে একটু তাড়াতাড়ি চেষ্টা করবেন খাবারটা সার্ভ করার।
যাই হোক রেস্টুরেন্টে পৌঁছানোর ১৫-২০ মিনিটের ভেতরেই আমাদের সামনে খাবার চলে এলো। প্রথমে তারা পরিবেশন করেছিল থাই সুপ সাথে অন্থন। থাই সুপটা মুখে দিয়ে বুঝতে পারলাম এখানকার সুপের মান বেশ ভালো। সাথে অন্থন থাকায় সুপটা খেতে আরো ভালো লাগছিল। তারপরে মেইন কোর্সে ছিল ফ্রাইড রাইস, চাইনিজ ভেজিটেবল, চিকেন সিজিলিং এবং চিকেন ফ্রাই। সদ্য প্রস্তুত করা ফ্রেশ খাবার মুখে দিয়ে বেশ ভালো স্বাদ পেলাম। যেহেতু আগেই বলেছি প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিলো। তাই খাবার সামনে আসতেই খাওয়া শুরু করলাম। যদিও এবার আর ভুল করিনি। খাবার শুরু করার আগেই ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
ছবি তোলা শেষ হওয়ার সাথেই গোগ্রাসে খাওয়া শুরু করলাম। আমরা একটা প্যাকেজ অর্ডার করেছিলাম। সেই প্যাকেজে দুজনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ছিলো। সাথে আমরা বাড়তি একটি রাইস অর্ডার করেছিলাম। যার ফলে সেই খাবারে আমরা তিনজন পেট ভরে খেয়েছিলাম। যদিও পুরো খাবার শেষ করতে পারিনি। কারণ আমার মেয়ে স্যুপ খাওয়ার পরে আর তেমন কিছু খেতে পারেনি। যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিলমিটিয়ে তারপর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের দেখা হবে অন্য কোনো নতুন লেখা নিয়ে। সে পযন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
খাবারের স্বাদ- ৯/১০
রেস্টুরেন্টের পরিবেশ- ৮/১০
স্টাফদের ব্যবহার-৯/১০
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
@tipu curate 2
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
পরিবার নিয়ে ঘুরতে গেলে শুনতে বা দেখতে ভালো ই লাগে। পরিবার নিয়ে আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। বাচ্চারা স্যুপ খাওয়ার পর আসলেই আর কিছু খেতে পারে না।আর অনেক সময় ছোট দোকানেও খাবারের মান ভালো ই থাকে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য।
আমার মেয়ে থাই স্যুপ খুব পছন্দ করে। এজন্য আমরা যখনই বাইরে খেতে যাই। ও সুপ খাওয়ার পর আর কিছু খায় না।
পরিবার নিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনি খেতে অনেক ভালোবাসেন তবে আপনার শারীরিক সমস্যার কারণে খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন তা জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া করি আপনি অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমরা যতই বাড়িতে খাবার অর্ডার করি না কেন, বাইরে খাওয়ার মজাই আলাদা। এজন্য আপনার মেয়ে একেবারে বাহিরে গিয়েই খাবে। বেশ ভালই হয়েছে ওর জন্য একটু পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। বিশেষ করে রেস্টুরেন্টের খাবারের মান ভালো এটা জেনে ভালোই লাগলো। কারণ এখন অনেক সময় দেখা যায় যে রেস্টুরেন্টের খাবারের মান ভালো থাকে না। সুপটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভালো। তাছাড়া ফ্রাইড রাইস আমার সব সময় পছন্দের। খাবার গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। মনে হচ্ছে বাইরে গিয়ে খেয়ে আসতে হবে।
ঠিকই বলেছেন বাইরে গিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা।
খুবই ভালো একটা কাজ করেছেন ভাইয়া পরিবারের সাথে বাইরে খেতে যাবার মজাটাই অন্যরকম। এখন বর্তমান সময়ে এমনই হয়ে গিয়েছে যে ঘরে বসেই ফুড পান্ডার মাধ্যমে বাইরের খাবার খাওয়া হচ্ছে। যার ফলে এখন রেস্টুরেন্টে যাবার প্রবণতা মানুষের অনেকটাই কমে গিয়েছে।
আসলে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে বাইরে যাওয়ার সময় হয়ে ওঠেনা।
পরিবারের সাথে এমন হঠাৎ করে আউটিং মন ভালো করে দেয়। এতে পরিবারের সাথে বন্ডিং আরো গাঢ় হয়।চাইনিজ খাবার মানেই হল সস এবং টসের খেলা দাদা। আর যে কোন খাবার খাওয়ার আগে অ্যাপেটাইজার বৃদ্ধি করতে স্যুপের জুড়ি মেলা ভার। সাথে সিজলার, ফ্রাইডরাইস সবই অনবদ্য। আপনার রেটিংই খাবারের কোয়ালিটি বলে দিচ্ছে।
একদম ঠিক বলেছেন হিসেবে স্যুপের জুড়ি মেলা ভার।