পরিকল্পিত প্রতিশোধ (তৃতীয় পর্ব)।
তাই সে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিল পুলিশকে ব্যাপারটা এখনই জানানো যাবে না। তার একমাত্র ছেলেকে আগে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু পুলিশকে সে না জানালেও এই ফোন পাওয়ার কিছুক্ষণের ভেতর তার বাসায় পুলিশ এসে উপস্থিত হলো। সে পুলিশ দেখে অবাক হলো। জিজ্ঞেস করলো কি ব্যাপার আপনারা হঠাৎ করে? কোন সমস্যা হয়েছে? রাফির কোন খোঁজ পেয়েছেন? তখন থানার ওসি তাকে বলল কিছু মনে করবেন না আমরা আপনার নাম্বার ট্যাপ করেছিলাম। যার ফলে আপনার সাথে অপহরণকারীর কি কথাবার্তা হয়েছে সেটা আমরা শুনেছি।
আমরা চেষ্টা করছি তার লোকেশন ট্র্যাক করতে। লোকেশন ট্র্যাক করতে পারলে আমরা সহজেই আপনার ছেলেকে উদ্ধার করতে পারবো। কিন্তু তারা কেউ জানতো না রাফিকে যে ছেলেটি অপহরণ করেছে সে পেশাদার কোন অপহরণকারী না হলেও যথেষ্ট বুদ্ধিমান একটি ছেলে। রাফির বাবার সাথে কথা বলার শেষ হওয়ার সাথেই সে ফোনটি একটি ট্রাকের ভেতর রেখে দিয়েছে। যে ট্রাকটি ঘন্টা দুয়েকের ভেতরে বাংলাদেশের সীমানা পার হয়ে ইন্ডিয়ায় চলে যাবে।
ইতিমধ্যে পুলিশ ফোনটি ট্র্যাক করা শুরু করেছে এবং তারা দেখতে পাচ্ছে ফোনের লোকেশন বারবার পরিবর্তন হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যখন তারা দেখতে পারলো ফোনের লোকেশন ইন্ডিয়ান বর্ডারের কাছাকাছি দেখাচ্ছে। তখন তারা সেই বর্ডার অথোরিটিকে ইনফর্ম করল যে আপনাদের ওখান দিয়ে যে ট্রাকগুলো যাচ্ছে সেগুলো কিছুক্ষণের জন্য আটকে রাখুন। কারণ সেই গাড়িগুলোর ভেতর কোন একটাতে অপহরণ হয়ে যাওয়া একটি ছেলে রয়েছে। বর্ডার পুলিশ এবং বিজিবি মিলে সবগুলো ট্রাক খুঁজতে থাকলো।
এদিক থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সেই নাম্বারে বারবার ফোন দেয়া হচ্ছিল ফোনের লোকেশন টা এখনো কোথায় আছে সেটা দেখার জন্য। শেষ পর্যন্ত বর্ডারে কর্তব্যরত বিজিবির সদস্যরা একটি ট্রাকে একটি ফোন পেলো যেটি ক্রমাগত বেজে চলেছে। তখন তারা ঢাকার পুলিশকে ফোন করে জানালো যে নাম্বার ধরে আপনার ট্র্যাক করছেন সেই মোবাইলটি আমরা পেয়েছি। কিন্তু সাথে কোন মানুষ নেই। এই কথা শুনে পুলিশ বুঝতে পারল যে অপহরণকারী তাদের সাথে একটি গেম খেলেছে। এখন অপহরণকারী পরবর্তীতে যোগাযোগ করার আগ পর্যন্ত তার লোকেশন ট্র্যাক করা আর সম্ভব না। কারণ এতক্ষণে সে যেখান থেকে ফোন দিয়েছিল নিশ্চিত সেখান থেকে সরে গিয়েছে।
রাফির জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে একটি মাইক্রোবাসের ভেতর দেখতে পেলো। একটু খেয়াল করার পর সে বুঝতে পারল আসলে এটি একটি অ্যাম্বুলেন্স। এই অ্যাম্বুলেন্স এর ভেতরে রাফির হাত বেঁধে মুখে একটি টেপ লাগিয়ে সিটের উপর শুইয়ে রাখা হয়েছে। জ্ঞান ফেরার পর রাফিকে তাকাতে দেখে সুজন জিজ্ঞেস করল তোমার কি ক্ষুধা লেগেছে? সুজন হচ্ছে সেই অপহরণকারী যে রাফিকে অপহরণ করেছে। রাফি মাথার নেড়ে জানালো হ্যাঁ তার ক্ষুধা লেগেছে। সুজন তখন অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার কে বলল সামনে কোন একটা হোটেল দেখলে একটু দাড়াস। বাচ্চাটার জন্য কিছু খাবার আনতে হবে।
গাড়ি আরো কিছু দূর চলার পর তারা একটি হোটেল দেখতে পেলো। হোটেল থেকে বেশ কিছুটা দূরে গাড়ি থামিয়ে সুজন গেল খাবার কিনতে। সুজন রাফির জন্য বেশ কিছু খাবার কিনে আনলো। সাথে কয়েক প্যাকেট চিপস জুস এগুলিও আনলো। কারণ সে চাচ্ছিলে না বারবার গাড়ি থামাতে। কারন যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে।
খাবার নিয়ে সুজন গাড়িতে ফিরে রাফিকে বলল এক শর্তে তোমার মুখ খুলতে পারি। যদি চিৎকার চেঁচামেচি না করো। অবশ্য চিৎকার করেও খুব একটা লাভ হবে না। কারণ গাড়ির জানালার কাচ সব তুলে দেয়া আছে। যার ফলে তুমি যতই চিৎকার করো তোমার চিৎকারের আওয়াজ বাইরে যাবে না। সে ক্ষেত্রে চিৎকার করলে তোমারই লস। কারণ চিৎকার করলে আবার তোমার মুখ টেপ দিয়ে আটকে রাখবো।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
তাহলে পুলিশ জানতে পেরেছে রাফি অপহরণ হয়েছে। অপহরণকারীদের তো অনেক ভালো মনে হচ্ছে। তারা রাফির ক্ষুধারও খোঁজ খবর রাখছে এবং খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করছে ।দেখা যাক পরবর্তীতে কি ঘটে।
কারণ যিনি অপহরণ করেছেন তিনি পেশাদার কোন অপহরণকারী নন।
অপহরণকারী বেশ বুদ্ধিমান তাই সে সবকিছু নিজের বুদ্ধিমতই পরিচালনা করছে। জানিনা রাফির কোনো ক্ষতি হবে কিনা। আশা করছি পরবর্তী পর্বে বাকি সব তথ্যগুলো জানতে পারবো। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই পর্বটি উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আশা করি ইতিমধ্যে সমস্ত পর্ব পড়তে পেরেছেন এবং রাফির ভাগ্যে কি ঘটেছে সেটাও জানতে পেরেছেন।
আপহরণকারী বেশ চতুর।মনে হচ্ছে অপহরণ কারীর সাথে কি রাফির বাবার অতীতের কোন ঘটনা রয়েছে।
অতীত ঘটনার কারণে অপহরণকারী অপহরণ করেছে।
বেশ ভালো শুরু করেছেন গল্পটি। কিন্তু আপনার এই গল্পগুলো এমন জায়গায় শেষ হচ্ছে পরের অংশটুকু পড়তে মন চাইছে খুব করে। আশা করি গল্পের শেষে গিয়ে রাফির কোন ক্ষতি হবে না। সে ভালোভাবে অক্ষত অবস্থায় তার বাবা-মার কাছে ফিরে যেতে পারবে।
কিছুটা সাসপেন্স না থাকলে গল্প পড়ে মজা নেই।