বনশ্রীর বাজারে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা।
একটা সময় ছিল যখন ছবি তোলাটা বেশ একটা ঝঁক্কি ঝামেলার কাজ ছিলো। তখন আজকালকার মত এমন হাতে হাতে ক্যামেরা ছিল না। সেই সময় ছবি তোলার একটা মজা ছিলো। যদিও আমি তখনো ছবি তুলতে খুব একটা পছন্দ করতাম না। তারপর একটা সময় মানুষের হাতে হাতে ক্যামেরা চলে এলো। মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে প্রত্যেকটা মানুষ একেক জন ফটোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো। এবং ফটোগ্রাফিটা তারা একটা বিরক্তিকর পর্যায়ে নিয়ে গেলো। যে কোন জায়গায় হঠাৎ করে পকেট থেকে মোবাইল বের করে ছবি তুলতে শুরু করে তারা।
এ কাজটা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর মনে হতো। তবে যখন কোথাও ঘুরতে যেতাম তখন চমৎকার দৃশ্য দেখলেই সেটার ছবি তুলতে ইচ্ছা করতো। মোবাইলে ক্যামেরা থাকার কল্যাণে সেই ইচ্ছাটা সাথে সাথেই পূরণ করতে পারতাম। আস্তে আস্তে যখন মোবাইল ক্যামেরা সবার হাতে চলে এলো। তখন মানুষের এই ছবি তোলার উৎসাহে কিছুটা কমতি দেখা দিল। যদিও সবার ভেতরে না। এখনো অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে যে কোন জায়গায় ক্যামেরা বের করে ছবি তুলে চলেছে। আমি আগে যেমন ছবি তুলতে পছন্দ করতাম না। এখন সেই ব্যাপারটা থেকে কিছুটা বের হতে পেরেছি।
মূলত এটা হয়েছে স্টিমিটের কল্যাণে। কারণ আমি যে ধরনের পোস্ট করি তাতে প্রচুর ছবির প্রয়োজন হয়। সেজন্যই ইচ্ছা না থাকলেও আমি ছবি তোলা শুরু করলাম। ছবি তুলতে তুলতে এক সময় এটা শখে পরিণত হলো। এখন কোন জায়গায় গেলে আমার চোখে কোন কিছু ভাল মনে হলে আমি চেষ্টা করে সেটার ছবি তোলার। তবে অবশ্যই আমি খেয়াল রাখি। আমার ছবি তোলা যেন কারো বিরক্তির কারণ না হয়। যদিও বেশিরভাগ মানুষ এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখেনা। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে আমি হাঁটতে বের হয়েছিলাম। বাসার আশেপাশ দিয়েই হাঁটছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল টানা ৫০ মিনিট জোরে জোরে হাটা।
সেটা করতে করতে একসময় বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে চলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে হঠাৎ বনশ্রীর একটি বাজার দেখতে পেলাম। সেই বাজারের সামনে বেশ কিছু হকারকে দেখতে পেলাম ভ্যান সহ। সেই ভ্যান গুলিতে তারা শাক-সবজি থেকে শুরু করে ফলমূল নানা রকম জিনিস বিক্রি করছে। সকালের সূর্যের আলোতে দৃশ্য গুলি দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো। তাই তখনই চিন্তা করলাম কিছু ছবি তুলে নেই। আমি যে কোন নতুন জায়গায় গেলে চেষ্টা করি সেখানকার বাজারটা একটু ঘুরে দেখতে। কেন জানিনা বাজারে ঘুরতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। টাটকা শাকসবজি, মাছ-মাংস এগুলো দেখার ভেতরে একটা মজা আছে।
আর আমি বাজার গুলিতে মূলত ঘোরাফেরা করি ইউনিক কিছু দেখার জন্য। ঢাকার বাজারগুলির একটি সুবিধা আছে। এখানে আপনি সব ধরনের পণ্য পাবেন। যেটা দেশের অন্য কোথাও পাবেন না আপনি। সেটা মৌসুমী ফল হোক আর অমৌসুমী ফল হোক। সবকিছুই আপনি ঢাকাতে পাবেন। ঢাকার বাজারগুলি আর রাস্তাঘাট দেখলে আপনার মনে হবে দেশের সমস্ত ভালো ভালো জিনিস সব ঢাকায় আসে। সেখানে বিক্রি না হলে তারপর অন্য কোথাও যায়।
যদিও ঢাকাতে পণ্য আসার কারণ আছে। কারণ এই শহরে প্রায় ২ কোটির উপরে লোকের বসবাস। বিপুল সংখ্যক এই মানুষের চাহিদার যোগান দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য সামগ্রী এখানে আনতে হয়। তাছাড়া এই শহরেই দেশের সবচাইতে ধনী লোকগুলি বসবাস করে। যার ফলে তাদের চাহিদার যোগান দিতে গেলেও এই বাজারে সব ভালো ভালো পণ্য লাগে। সেজন্যই হয়তো ঢাকার বাজারে আপনি সবকিছু পাবেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | বনশ্রী বাজার |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
আপনার মত আমারও একই ধরনের অবস্থা। আমিও ছবি তুলে পছন্দ করতাম না কিন্তু যখনই ২০১৭ সালে স্টিমিট এ যুক্ত হলাম তখন থেকেই ছবি তোলার প্রয়োজন হয়। এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ঢাকা শহরের বাজার গুলো দেখলে মনে হয় যেন দেশের সকল জিনিস এখানেই নিয়ে আসা হয়েছে। কি আর করা যাবে বলেন ভাইয়া ২ কোটি মানুষের চাহিদা যে পূরণ করতে হয়।
আমরা সবাই এখন এক পরিবারের মানুষ তাই আমার মনে হয় আমাদের সবারই বাজারে গেলে বা যেখানে যাই ছবি তোলার জন্য হাত ফিসফিস করে। কারন রক্তের টান বলে তো একটা কথা আছে। জ্বী ভাইয়া মৌসুমী আর অমৌসুমী সব সবজি এবং ফলমূল ঢাকায় পাওয়া যায়।
ঢাকা তো আপনাদের রাজধানী তাই না? রাজধানী তে সবই বেশী বেশী। তবে ২ কোটি লোক বসবাস করে দেখে বিস্মিত হলাম।আমায় যদি টাকা হাতে দিয়ে এই মার্কেটে ছেড়ে দেয়, আমি মনে হয় সব কিনে নেব। 😃😄
বনশ্রী আমার এখনো যাওয়া হয়নি। বেশ ভালোই লাগলো দেখে।আজকাল সিজন ছাড়াও সবকিছু পাওয়া যায় ঢাকাতে। শুধু পকেটে টাকা থাকলেই হয়।😊অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া, আপনার মত আমারও অপ্রয়োজনীয়ভাবে ফটোগ্রাফি করতে খুবই বিরক্ত লাগে।এখনো আমি খুবই কম ফটোগ্রাফি করি ,যেটা করি সেটি শুধুমাত্র এই কমিউনিটির জন্য।আপনার মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর বাজারের ছবি দেখতে পেলাম।ফলগুলো তেমন টাটকা না হলে ও সবজি ও মাছগুলি বেশ টাটকা।তাছাড়া অনেকদিন পর তোপসে মাছ,লোটে মাছ,খ্যাকসেল মাছ দেখে ভালো লাগলো।বিশেষ করে তোপসে মাছ,ধন্যবাদ ভাইয়া।