ঈদের পরের দিনের ঘোরাঘুরি। ১০% সাইফক্স।
গতকাল ঈদের দিন খুব একটা বাসা থেকে বের হতে পারিনি। সারাদিন বাসায় ছিলাম। সকালে নামাজ শেষে বৃষ্টি হওয়ায় বাড়িতে আটকে গিয়েছিলাম। এরপর সারাদিন প্রায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য তাতে যে আমার ঈদটা খারাপ কেটেছে তেমন নয়।
কারন বেশকিছু বন্ধুবান্ধব বাসায় এসেছিলো। তাদের সাথে আড্ডা দিয়ে দিনের বেশিরভাগ কেটেছে। তারা যদি বাসায় না আসতো তাহলে এবার ঈদটা সত্যিই খুব খারাপ কাটতো। বন্ধুবান্ধব বাসায় আসার আগ পর্যন্ত আমি ঘুমিয়েই কাটিয়েছি। ঘুম থেকে উঠে মসজিদে গিয়েছিলাম নামাজ পড়তে। তারপর বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করেছি কিছুক্ষণ। ওরা সবাই আসার পর শুরু হল তুমুল আড্ডা। বাড়ি থেকে বাইরে গেলে যাদের সাথে আড্ডা দিতাম তারা যখন বাসায় এসে যায়। তখন সময়টা ভালই কাটে।
প্রথমে তিনজন বন্ধু বাসায় এসেছিলো। পরে আরো দুজন এসে যোগ দিয়েছিলো। এভাবে আড্ডা দিয়ে দিনটা পার করেছি। তাই গতকাল আর পরিবার নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। সেজন্য আজ বের হয়েছিলাম আমার স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে। আসলে ঈদের দিন বাইরে বের হওয়া একটু সমস্যা। কারণ যেকোনো সময় বাসায় আত্মীয়-স্বজন আসতে পারে। সেজন্য বাসাতেই থাকতে হয়। বিশেষ করে মহিলাদের কে সারাদিন মানুষকে আপ্যায়নের ব্যস্ততায় কাটাতে হয়।
সেজন্যই আজকে আমরা ঘুরতে বের হয়েছিলাম। আমাদের শহরটি ছোট হওয়ার কারণে সেখানে ঘোরাফেরার জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো জায়গা নেই। সবচাইতে বেশি লোক সমাগম হয় পদ্মার পাড়ে। কিন্তু সেখানে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় থাকায় আমরা সেখানে যাইনি। আমরা ঘুরতে বের হয়ে প্রথমে গেলাম নিরিবিলি একটি জায়গায়। সেটিও পদ্মার পাড়ে। কিন্তু এই জায়গাটি তুলনামূলকভাবে খুবই নিরিবিলি।
সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে আমরা চলে এলাম আমাদের ছাত্র জীবনের স্মৃতি বিজড়িত রাজেন্দ্র কলেজে। সেখানে কিছু সময় কাটানোর পর আমরা গিয়েছিলাম ফরিদপুর শহরের একটি বিখ্যাত লেকে। সেখান বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে তারপর বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। এভাবেই আজকের দিনটি পার করেছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ভাজনডাঙ্গা, টেপাখোলা লেকপাড়, রাজেন্দ্র কলেজ |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
ঈদের পরের দিনের ঘোরাঘুরির অনুভূতি চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার নৌকার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক মনোরোম পরিবেশ ছিলো। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আজকের আবহাওয়াটা খুব চমৎকার ছিলো। এজন্য ঘোরাফেরা করে মজা পেয়েছি। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমেই বলব আমিও ভালো রয়েছি। ঈদ মোবারক। আসলে ঈদ উপলক্ষে পরিবারের মানুষদের নিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। তবে ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজন আসার জন্যই বাইরে যাওয়া তেমন হয় না। তাই পরিবার কে সাথে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়া কঠিন হয়ে যায় এজন্য যে অতিথিদের আপ্যায়ন করে ক্লান্ত হয়ে থাকে পরিবারের মহিলারা। আপনি আপনার সেই কলেজের কথা তুলে ধরেছেন। আসলে ফেলে আসা দিনের কথাগুলো স্মরণ হয় তখনই যখন প্রতিনিয়ত চলাচল থাকতো যে জায়গায় সেখানে অনেক দিন পর উপস্থিত হলে। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
তবে এর আগে একটি পোস্টে আপনি টলার ভাড়া করার উদ্দেশ্যে নদীর পাড়ে গিয়েছিলেন, বন্ধুরা সব ঈদ উপলক্ষে একত্রে নদী ভ্রমণে যাবেন বলেছিলেন। জানিনা ভ্রমণ করতে পেরেছেন কিনা। যদি বন্ধুরা মিলে নদী ভ্রমণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সে বিষয়ে পোস্ট করবেন।
ইনশাআল্লাহ আগামীকাল ট্রলার ভ্রমণে যাবো। চেষ্টা করবো অবশ্যই সে ব্যাপারে পোস্ট করার।
সেই প্রতীক্ষায় রইলাম এবং দোয়া করি যেন আপনাদের ট্রলার ভ্রমণটা ভালো হয়। সুস্থ শরীরে যেনো ভ্রমণ সম্পন্ন করতে পারেন সেই দোয়া রইল।
সুন্দর ভাবেই দিন টি পার করেছেন। আপনার ছবি গুলো দেখতে দেখতে হটাৎ মনে হল আপনি একটি গাছের ছবি দিয়েছেন । সেখানে কাটা জাতীয় ফল দেখতে পেলাম ছোট ছোট ।ওগুলো আমরা ছোট বেলায় ছিরে এনে বন্ধুদের চুলে দূর থেকে ছুরে লাগিয়ে দিতাম। বেশ মজা করতাম । যাই হোক ভাল কাটুট আগামী দিনগুলোও এই শুভকামনা রইল।
গাছটার নাম মনে নাই। তবে আমরাও এভাবে অনেক খেলেছি। অনেকদিন পর গাছটি দেখতে পেলাম। তাই আর ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি।
এই গাছটির সঙ্গে সবাই পরিচিত হলেও নাম কেউই বলতে পারে না। খুব ইচ্ছে করছে গাছটির নাম জানতে
পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরি খুবই ভালো একটা অভ্যাস। সবারই উচিত অন্তত ঈদের সময়ে কাছের মানুষগুলোর জন্য একটু আলাদা সময় বরাদ্দ রাখা। ভালই লাগলো তোমাদের ঘোরাঘুরি। চালিয়ে যাও
পরিবার নিয়ে না ঘুরলে ঘরে শান্তি নষ্ট হবে। এই জন্য বাধ্যতামূলক ঘুরতে হয়।
আমাদের এইদকে অবশ্য কোনো বৃষ্টি নেই তাই ভালই সময় পার করছি।যদিও এই সময় ঘুরাঘুরি খুব একটা করি না কারণ খেলাধুলা নিয়েই ব্যাস্ত থাকি। আসলে জীবনে বন্ধু জিনিসটাই মনে হয় এমন।সবচেয়ে বোরিং সময় টাকেও তারা নিমিষে আনন্দময় করে তোলে।
যাইহোক ভাইয়া আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানতে ভুলেই গেছি,মাফ করবেন একটু দেরি হয়ে গেলো😁
আমি একজন খুবই বন্ধুবৎসল মানুষ। বন্ধু ছাড়া আমার জীবন অন্ধকার।
আপনাকেও ঈদ মোবারক।
ঈদ দিন মোটামুটি আমরা বের হতে না পারলে তারপরের দিনটায় বেশ ভালো আবহাওয়া ছিলো। একদম মন খুলে চোখ যেদিকে যায় সেদিকে ছুটে যাওয়ার মতো অবস্থা। পড়ে ভালো লাগলো যে খুব সুন্দর ভাবে দিন টাকে উপভোগ করেছেন। ফটোগ্রাফির হাতের প্রশংসা করতেই হয়। মাশআল্লাহ
একদম ঠিক বলেছেন। ঈদের পরের দিনটা খুব উপভোগ করেছি। খুবই চমৎকার আবহাওয়া ছিলো সেদিন।
ঈদের পরের দিন ঘোরাঘুরি খুবই সুন্দরভাবে দিনটি পালন করলেন। সত্যি দেখে খুবই ভালো লাগলো। নদীর পাড়ে এই সুন্দর পরিবেশ সত্যি আমার খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এই গাছটি নাম আমার মনে নেই। এগুলো দিয়ে আমরা ছোটবেলা খেলতাম। এগুলো মাথায় চুল এর সাথে আটকে যেত। সত্যিই দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে গাছটির নামটা আমার মনে নেই।
নদীর পাড়ের ওই গাছগুলি দেখে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আগে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে এগুলি প্রচুর দেখা যেতো এখন আর দেখা যায় না।
আসলে আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঈদের দিনে বৃষ্টির কারণে আমরা কেউই ঘোরাঘুরি ঠিকভাবে করতে পারিনি। কিন্তু ঈদের পরের দিন বৃষ্টি না থাকার কারণে আমরা সবাই ঘোরাঘুরি করতে সক্ষম হয়েছি। ঈদের পরের দিনের ঘুরাঘুরির কিছু সুন্দর মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ছাত্রজীবনে স্মৃতিবিজড়িত কলেজে ভ্রমণ করার মধ্যে একটি অন্যরকম অনুভূতি পাওয়া যায়। কেননা এই জায়গায় জড়িয়ে থাকে কত মধুর স্মৃতি। সব মিলিয়ে আপনার এই পোস্ট টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।