আম বাগানে গিয়ে হতাশ হলাম। ১০% সাইফক্স।
সেদিন হর্টিকালচার সেন্টার থেকে বের হয়ে আমি আর আমার বন্ধু গিয়েছিলাম একটি আম বাগানে। এটা শহর থেকে দশ পনেরো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গত কয়েক বছর যাবৎ আমরা দু'বন্ধু সেখান থেকে আম কিনতাম। যদিও জানি এখনও আম পাকেনি। তারপরও গিয়েছিলাম বাগানের কি অবস্থা সেটা দেখতে। ঘোরাফেরাও হলো সাথে আমের অবস্থা দেখা হোলো।
আসলে যে কোন ফলের বাগানে ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে। গাছ ভর্তি যখন ফল দেখা যায় তখনকার সেই অনুভূতিটা হয় চমৎকার। আমরা দু'বন্ধু গল্প করতে করতে সেই বাগানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। তবে এই বাগানটি অনেকটা ভেতরের দিকে। প্রতিবারই আমরা বাগানে যাওয়ার সময় রাস্তা হারিয়ে ফেলি। কারণ গ্রামের ভেতরে বেশিরভাগ জায়গা প্রায় একই রকম দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর আমরা সেই বাগানে উপস্থিত হলাম।
কিন্তু বাগানে উপস্থিত হয়ে আমরা খুবই অবাক হলাম। কারণ খেয়াল করে দেখি কোন গাছেই আম নেই। অল্প কয়েকটি গাছে সামান্য কয়েকটি আম ধরে আছে। গত কয়েক বছর ধরেই এই বাগানে আমরা আসছি। কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতি কখনই দেখিনি। বাগানের পরিস্থিতি দেখে আমরা খুবই হতাশ হলাম। আমরা চিন্তা করছিলাম বাগান মালিকদের কাউকে জিজ্ঞেস করবো যে কি সমস্যা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাউকেই পেলাম না।
বাগান থেকে অল্প দূরে তাদের আরও একটি বাগান আছে আমরা সেখানে গেলাম দেখার জন্য যে। শুধু এই বাগানে সমস্যা না অন্য বাগানে ও একই অবস্থা। কিন্তু সেখানেও গিয়ে দেখি একই চিত্র। আমরা সাধারণত রাসায়নিক মুক্ত আমের জন্য এই বাগানের উপর নির্ভর করে থাকি। এই বাগানমালিক তুলনামূলক কম দামে আম বিক্রি করে। আমরা প্রায় প্রতি বছরই এই বাগানে এসে অনেক আম কিনে নিয়ে যায়।
কিন্তু এবার বাগানের এই অবস্থায় দেখে আমরা কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলাম। কারণ বাজারের কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমের স্বাদ খুব একটা ভালো থাকে না। কিন্তু আমরা যখন গাছ থেকে নিজ হাতে গাছ পাকা আম পেড়ে নিয়ে যায় সে আমের স্বাদ থাকে অতুলনীয়। সেটা খেয়ে যেমন মজা পাই তেমনি মানসিক প্রশান্তিও কাজ করে। কিন্তু এবার আমরা কি করব সেটাই চিন্তা করছিলাম।
যদিও শহরের আশেপাশে আরও বেশকিছু বাগান আছে। কিন্তু সে বাগানগুলি আমাদের পরিচিত নয়। আমার এক প্রাক্তন কলিগ তার রাজশাহীর কাছাকাছি পোস্টিং। তাকে ফোন করে সেখান থেকে আনানো যায় কিনা? ইতিমধ্যে একবার ফোন করে বলে রেখেছি তাকে।কিন্তু সেটা নিতান্তই মজা করে বলেছিলাম।
আর একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম এই এলাকার লোকজন এখন লালমি বিক্রিতে ব্যস্ত। ফলটা দেখতে অনেকটা বাঙ্গির মতো। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম এগুলো সম্ভবত পাকা বাঙ্গি। কিন্তু আমার বন্ধু ফেরদৌস আমার ভুল শুধরে দিলো। সে বলল এগুলো বাঙ্গি না এগুলোকে বলে লালমি। যদিও আমি এই ধরনের ফল খাই না। কিন্তু ফলটি দেখতে খুব সুন্দর ছিল।
যথারীতি আমি ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। সেজন্য আপনাদের কে দেখাতে পারলাম না। এখন আমাদের দুজনকে আবার নতুন কোন বাগানের সন্ধানে যেতে হবে বুঝতে পারছিলাম। কারণ গাছ থেকে পাকা আম পেড়ে খাওয়ার এটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


ভাইয়া, এই আমের সমস্যা প্রতিটা গাছে গাছে হচ্ছে আর এই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে কারন আমের মুকুল আসার পরে একটা বৃষ্টি হয়।আর এই বৃষ্টির না আসার কারণে আমের প্রতিটা গাছে খুব সুন্দর ফলন হয় নি।ভাইয়া, এবার আমের মুকুল আসার পর কোন বৃষ্টি হয় নাই তাই প্রতিটা গাছেই এরকম সমস্যা হচ্ছে।বৃষ্টি হলে আমের ফলন ভালো হত।ভাইয়া,আপনি ঠিক বলেছেন বাজারে অনেক রকমের আম পাওয়া যায় তবে বেশিরভাগ আমের মধ্যে কেমিক্যাল মেশানো থাকে যা খেলে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। গত বছরের তুলনায় এবার আমের ফলন খুবই কম। রাজশাহীর আম খুবই জনপ্রিয় আপনি যেভাবে বলছেন আগের তুলনায় গাছে আম ধরেনি।ভাইয়া, তাহলে এবার মনে হয় আমরা চট্টগ্রামে থেকে রাজশাহীর আম খেতে পারব না।লালমি কি ফল সেটা চিনি না তবে আপনার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে লালমি অনেক সুস্বাদু ফল।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
লালমি ফলটা মনে হয় খুব একটা সুস্বাদু হবে না। কারণ এই ফলটার সাদ নাকি অনেকটা বাঙ্গির মতো।
এই বছর বৃষ্টি কম হবার কারণে আমের পরিমাণটাও কম হয়েছে। গাছ গুলোতে যে পরিমাণে আম হয়েছিল সেগুলো ঝরে ঝরে পড়ে যাচ্ছে এই বৃষ্টির অভাবে। আমাদের এলাকার আম গাছগুলোতে ও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
বলেন কি? আমি তো মনে করেছিলাম এবছর আমের ফলন ভালো হয়েছে।
এইবার মনে হয় সব ধরনের ফলের সংখ্যা একটু কম। শুধু আমি নয় আমার দেখা মতে লিচুর গাছ গুলো তো ফলের সংখ্যা অনেক কম। অনেক গাছের লিচু নেই বললেই চলে। আমার মনে হয় এই যে আবহাওয়ার কারণে আমার সংখ্যা অনেক কম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আম লিচু এ দুটি ফল আমার অত্যন্ত পছন্দের ফল। আমি আরো মনে করেছিলাম এ বছর মনে হয় এই দুটি ফলের ফলন ভালো হয়েছে। আপনার কমেন্টস পড়ে তো এখন মনে হচ্ছে আমার ধারণা সঠিক নয়।
ভাই আপনি আপনার বন্ধু ফেরদৌস ভাইয়ের সঙ্গে আম বাগানে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। লালমি ফলটির নাম আজকে প্রথম শুনলাম। তবে আমবাগানের চিত্র দেখে আমিও কিছুটা হতাশ। আম চাষি অনেক কষ্ট করে এবং অনেক জমি নষ্ট করে বাগান করেছেন। পাশেই বাগান থেকে যদি ভালো পরিমাণ আম এর ফলন না হয় তাহলে বিষয়টা সত্যিই দুশ্চিন্তার। ভালোবাসা রইলো ভাই।
লালমি ফলটি দেখতে কিন্তু একদম বাঙ্গির মতো। শুরু গায়ের রংটা একটু অন্য রকম।
তাহলে তো এবার আমের দাম অনেক বেশী থাকবে,আমি আরো শুনছি যে অনেক বাগানেই আম ধরে নায়।আপনার পোস্ট এর মাধ্যমেও এরকম চিত্র দেখে আমিও হতাশ।খুবই দারুন একটি ব্লগ তৈরী করছেন।আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
সেটাই তো দেখছি। আমি মনে করেছিলাম এ বছর মনে হয় আমের ফলন আরো ভালো হবে। আপনাদের কমেন্ট পড়েতো এখন আমার দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
জি ভাইয়া এটা আপনি ঠিক বলেছেন আসলে গাছ থেকে পাকা আম নিজে পেরে খাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু বাজার থেকে কেমিক্যালযুক্ত কিনে আনাম খেলে অত একটা ভাল লাগেনা। যদিও খেতে মুখে মজা লাগে কিন্তু এটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার আজকের পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে।
আসলে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আর গাছ পাকা আমের স্বাদ এর ভেতর বিশাল পার্থক্য। এজন্যই নিজে বাগান থেকে আম পেরে খেতে পারলে সবচাইতে ভালো হয়।
ভাইয়া আপনার আমবাগানে ভ্রমণ কাহিনী এবং কিছু ফটোগ্রাফি দেখে ভালই লাগল। তবে আমিও হতাশ হলাম আপনারা আমবাগান এসেছেন কিন্তু আম বাগানে আম পাননি। এটা সত্যি হতাশাজনক। এবার হয়তো গতবারের তুলনায় সব জায়গাতেই আম একটু কম ধরেছে। আমাদেরও আমগাছে রয়েছে চারটা,গত বছর চারটা আম গাছে প্রচুর পরিমাণে ধরেছিল। এবার মাত্র দুটি আম গাছে আম ধরেছে তাও তুলনামূলক অনেক কম। যাই হোক আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
আমিতো শুধু মনে করেছিলাম এই বাগানে বোধহয় আম ধরেনি। এখনতো দেখছি সবাই কমেন্টসে একই কথা বলছে।
ভাইয়া, কারন তো জানতে পারলাম না।লালমি ফলটা নতুন শুনলাম।যাই হোক আমার ভাইয়া রাজশাহী পোস্টিং থাকার কারনে প্রতি বছরেই আমরা চাপাই নবাবগঞ্জ এর আম খাই আলহামদুলিল্লাহ। ভালো লাগে সব ক্যাটাগরির আম খেতে। এবারো খাবো ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ
আমার বন্ধু ফেরদৌস চাকরিসূত্রে রাজশাহীতে ছিলো। ওর মাধ্যমে রাজশাহীর আম খেয়েছি। কিন্তু এবার কি হবে সেটা বুঝতে পারছি না।
লালমি নামের ফল হয় প্রথম শুনলাম।দেখাইয়েন তো একদিন ভাইয়া।
আর আমাদের পাশের বাসায় দুইটা আম গাছ আছে অনেক বড় বড় দুটো। দেখে মনে হচ্ছে আমের ভারেই গাছ দুটো পরে যাবে এই অবস্থা।
এবার তো মনে হয় আমের জন্য চিটাগাং এর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এখন তো শুনি পাহাড়ি অঞ্চলেও প্রচুর আম হয়।
ভাই আপনার আম বাগানে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো অনেক সুন্দর ছিলো।এবছর সত্যিই বাংলাদেশের সব জায়গাতেই আমের অবস্থা খুব করুণ।কালকে টিভিতে দেখলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের অবস্থা ও একই। বাংলাদেশের ফলের রাজা এই আমের যদি এই অবস্থা হয়,তাহলে সত্যিই হৃদয়টা একদম ভেঙে যায়। গত বছর বাংলাদেশ আম উৎপাদনে ছিল ৭ম।এবছরে তা অনেকাংশেই পিছিয়ে যাবে তার বলার কোনো ভাষা রাখে না। দোয়া করি সবকিছু আগের মতো ঠিক হয়ে যাক এবং আমরা আবার আগের মতে দেশকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারি।সবশেষে আপনার পোস্টটি অনেক গোছানো এবং উপকারী একটা পোস্ট ছিলো। শুভকামনা রইলে ভাই