মেয়ের আবদার পূরণ। ১০% সাই-ফক্স।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


নানা রকম সমস্যার জন্য বেশ কয়েকদিন যাবত ঘরেই বসে আছি। বাইরে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। সামান্য একটু শারীরিক সমস্যা বোধ করছি। এজন্য বাইরে যাওয়ার আগ্রহ ও নেই। কিন্তু আজ শেষ পর্যন্ত আর বাইরে না গিয়ে পারিনি। যদিও শরীরটা বেশ খারাপ ছিলো। তারপরেও নিজের ওয়াদা রক্ষা করার জন্য আজকে বাইরে যেতে হয়েছে।

IMG_20220514_175253.jpg

IMG_20220514_175316.jpg

আমার মেয়ে এবার ক্লাস ওয়ানে থেকে পাশ করে ক্লাস টুতে উঠলো। কয়েকদিন আগে তার সাথে আমার কথা হচ্ছিলো। আমি তাকে বলেছিলাম যদি তুমি ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারো। তাহলে আমি তোমাকে কোন একটি পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাবো। তারপর আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবো। তারপর তোমাকে একটি গিফট কিনে দেবো। তারপর থেকে তাকে খুবই উৎসাহী দেখছিলাম।

IMG_20220514_175636.jpg

IMG_20220514_175649.jpg

রেজাল্ট নিয়ে তার ভেতর কখনোই খুব একটা দুশ্চিন্তা দেখিনি। হয়তো ছোট মানুষ রেজাল্ট এর গুরুত্ব টা এখনো বুঝতে শেখেনি সে জন্য।কয়েকদিন আগে আমাকে জানালো আগামী শনিবার তাদের রেজাল্ট দেবে। সাথে আমাকে এটাও মনে করিয়ে দিলো যে আমি কি কি ওয়াদা করেছিলাম। আমি তাকে বললাম তুমি যদি ফার্স্ট হতে পারো তাহলে সব পাবে। আজকে তার রেজাল্ট বের হয়েছে। সেই ফার্স্ট না হতে পারলেও ক্লাসে সেকেন্ড হয়েছে।

IMG_20220514_175516.jpg

IMG_20220514_175512.jpg

বাসায় আসার সাথে সাথে আমি জিজ্ঞেস করলাম তোমার রেজাল্ট কি? সে বলল মাম্মির কাছে জিজ্ঞেস করো। তখন আমি জানতে পারলাম সে ক্লাসে সেকেন্ড হয়েছে। আমি তার এই রেজাল্টে খুবই খুশি হয়েছি। এজন্য আমি ঠিক করলাম তাকে যে ওয়াদা আমি করেছিলাম সেটা আমি রক্ষা করবো। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে কবে বাইরে যেতে চাও। সে বলল আজকেই।

IMG_20220514_175729.jpg

IMG_20220514_175827.jpg

কিন্তু আমার শরীরটা খুব একটা ভালো লাগছিল না। যার ফলে বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু সে নাছোড়বান্দার মতো জেদ ধরে বসে থাকল। তাকে আজকেই বাইরে নিয়ে যেতে হবে। অগত্যা কি আর করা? আসরের নামাজের পর সবাই তৈরি হয় বাসা থেকে বের হলাম। ঠিক করলাম আমাদের কাছাকাছি একটি পার্ক আছে। সেটি একটি রেস্টুরেন্টের সাথে। বাচ্চাদের জন্য ছোট কিছু খেলাধুলার আয়োজন আছে সেখানে। ঠিক করলাম সেখানেই তাকে নিয়ে যাবো। জায়গাটি সে খুবই পছন্দ করে। সেই পার্কটির নাম ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। আমরা একটি রিক্সা করে অল্পক্ষণের সেখানে পৌঁছে গেলাম। সেখানে পৌঁছে টিকিট কেটে ভিতরে গেলাম। ভিতরে যাওয়ার পরেই সে সরাসরি কিডস জোনে চলে গেলো। সাথে গেলো তার মা। সে সেখানে বিভিন্ন রকম খেলনা দিয়ে খেলতে লাগলো। সেখানে ছোটদের জন্য বেশকিছু ছোট রাইডের ব্যবস্থা আছে। সেগুলি দিয়ে খেলতে লাগলো।

IMG_20220514_175714.jpg

IMG_20220514_175610.jpg

আর আমি এদিকে ঘুরেফিরে জায়গাটি দেখছিলাম। এভাবে আমি বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে দিলাম। দেখি তার খেলা আর শেষই হয়না। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার একটু আগে সে খেলাধুলায় বন্ধ করলো। আমি তাকে বললাম এখন চলো বাসায় চলে যায়। সে বললো না এখন রেস্টুরেন্টে খেতে যাবো। এবারও আমাকে তার জেদের কাছে হার মানতে হলো। তারপর আওরা আমরা রওনা দিলাম শহরের ভেতর নামকরা এক রেস্টুরেন্টে দিকে। সে গল্প অন্য আরেকদিন হবে।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানকমলাপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 

বাবা হিসেবে আপনার সন্তানকে উৎসাহিত করা একান্ত কর্তব্য বলে আমি মনে করি।একজন বাবা হতে পারে সন্তানের সব থেকে কাছের বন্ধু ।ভাইয়া আপনি অনেক পজিটিভ ভাবে আপনার মেয়েকে উৎসাহিত করেছেন ।এইভাবেই আসলে করা উচিত ।সেই সন্তানদের সাথে কোন প্রতিজ্ঞা করলে তা অবশ্যই পালন করা উচিত যা আপনি করেছেন।আমাদের মাঝে মাঝে অনেকে বাবা মাকে দেখা যায় তারা সন্তানের কাছে প্রতিজ্ঞা করলে তা পূরণ করে না তখন সেই সন্তান পরবর্তীতে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।আশা করি আপনি খুব ভালো একজন বন্ধু হবেন আপনার মেয়ের।খুব সুন্দর একটি পার্কে ঘুরিয়েছেন মেয়েকে।সেলুট ভাইয়া ।আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল ।

 2 years ago 

আমি সবসময় তাকে উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করি। আর দুজন সব সময় বন্ধুর মত খুনসুটিতে মেতে থাকি। যদিও তার জেদের কাছে আমাকে সবসময় পরাজিত হতে হয়। সে পরাজয়েও আছে আনন্দ।

 2 years ago 

এইরকম অফার আমিও ছাএজীবনে বেশ কয়েকবার পেয়েছি। বাবা হিসেবে আপনি আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। আপনার মেয়ে সেকেন্ড হয়েছে কিন্তু তাও আপনি আপনার কথা রেখেছেন। পার্ক টা দেখেও অনেক সুন্দর লাগছিল। একেবারে উপযুক্ত জায়গা বাচ্চাদের জন্য।।

 2 years ago 

ছোটখাটোর ভেতর পার্কটি বাচ্চাদের জন্য বেশ ভালোই। বড় একটা দিঘির পারে এই পার্কটি অবস্থিত। এখানে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে।

 2 years ago 

বাবা হিসেবে আপনার সন্তানকে খুবই সুন্দরভাবে উৎসাহিত করেছেন।ক্লাসে ফার্স্ট না হতে পারলেও সেকেন্ড হয়েছে সেকেন্ড হওয়া কম কথা না। এতে আপনি অনেক খুশি। তাই তার আবদার গুলো পূরণ করতে নিয়ে এসেছেন। আসলে আবদার গুলো পূরণ করলে আরো সন্তানেরা বেশি আগ্রহ হয়। যদি কথা দিয়ে কথা না রাখা হয় তাহলে তাদের মন ভেঙ্গে যায়। যাই হোক খুবই সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন বাবা মেয়ের। এই সুন্দরতম দিন এর ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল, আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করছি।

 2 years ago 

তার এই ফলাফলে আমি খুবই খুশি হয়েছি। অবশ্য আমি তার ফলাফল নিয়ে খুব একটা চিন্তিত ছিলাম না।

 2 years ago 

বাচ্চা মানুষদের কথা দিলে আর না রেখে রক্ষা নেই।তবে আপনার কথা রাখা টা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। কারণ সে তার রেজাল্ট এর মাধ্যমে এটাই বুঝিয়ে দিয়েছে যে সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।

 2 years ago 

সমস্যা হচ্ছে সে কারো কথা শুনতে চায় না। সে যেটা বলবে সেটাই ফাইনাল। না হলে হয়তো তার ফলাফল আরো ভালো হোতো।

 2 years ago 

ছোটোবেলায় এরকম অফার কয়েকবারই পেয়েছি। পেতে আসলে খুবই ভাল লাগত। তবে আপনার মেয়েকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ভালো রেজাল্ট করার জন্য। আর আসলেই ছেলেমেয়েদের আবদার আমাদেরকে পূরণ করা উচিত। এতে তাদের মন ভাল থাকে। অনেক ধন্যবাদ ভাই এই মুহূর্তে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য

 2 years ago 

শরীরটা খুব একটা ভালো ছিল না। তাছাড়া সময়টা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি।

 2 years ago 

আমি তাকে বলেছিলাম যদি তুমি ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারো। তাহলে আমি তোমাকে কোন একটি পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাবো।

ভাইয়া, সত্যি বলতে কি বাবার কাছে মেয়েদের আবদার টা একটু বেশি থাকে। যে কথাগুলো মায়ের কাছে বলে পূরণ করত পানা সেই কথাগুলো বাবার কাছে বলে পূরণ করে আর বাবারা সবসময় মেয়েদের জন্য একটু আলাদা রকমের হয়ে থাকে।ভাইয়া,আপনার মেয়ের আবদার পূরণ করার জন্য আপনার শারীরিক অসুস্থতার থাকা সত্ত্বেও আপনি আপনার মেয়ের আবদার পূরণ করেছেন এটাই সত্যি বাবারা সন্তানের জন্য সবকিছু করতে পারে। মাশাল্লাহ ভাইয়া,আপনার মেয়ে ক্লাসে সেকেন্ড হয়েছে শুনে সত্যিই অনেক খুশি হয়েছি🥰 । ভাইয়া,বাবা-মার উৎসাহ পেলে সন্তানরা সবসময় এগিয়ে যেতে পারে যেমনটা আপনার মেয়ে করতে পেরেছে। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।।

 2 years ago 

আমি সব সময় তাকে উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করি। অবশ্য সে হয়েছে খুবই রাগী। কারো কথা শুনতে চায় না।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.13
JST 0.032
BTC 65920.41
ETH 3016.79
USDT 1.00
SBD 3.71