হঠাৎ থমকে যাওয়া (দ্বিতীয় পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


প্রথম পর্বের লিংক

রাহিলের এমনিতেই বিয়ে বাড়ির খাবার খুব পছন্দ। কিন্তু আজকে তার খাওয়া দেখে মনে হচ্ছে। আজকের বিয়েবাড়ির রান্নাটা আরও অনেক মজাদার হয়েছে। টেবিলের সবাই আড় চোখে রাহিলের খাওয়া দেখছিলো। খেতে খেতে রাহিল রীতিমতো ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গিয়েছে। ওর বন্ধুরা পাশ থেকে বলতে লাগলো আর খাসনে। শেষ পর্যন্ত পেট ফেটে মারা যাবি। রাহিল তার উত্তরে বলল আমার কোন সমস্যা হবে না। তোরা তোদের টা দেখ। এ কথা বলে রাহিল খেতে লাগলো।

Polish_20221115_004948543.jpg

কিছুক্ষণ পর হঠাৎ রাহিলের মনে হল তার পেটের বাম দিকে কিছুটা ব্যথা করছে। ব্যথাটা খুব তীব্র না হলেও বেশ ভালই সমস্যা করছে। রাহিল ব্যথার জন্য খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলো। তার বন্ধু-বান্ধব তাকে হঠাৎ খাওয়া ছেড়ে উঠতে দেখে কিছুটা অবাক হলো। একজন কাছে এসে জিজ্ঞেস করল কি ব্যাপার? হঠাৎ করে খাওয়া রেখে উঠে গেলি যে? রাহিল বলল পেটের বাম পাশের দিকটাতে পেছনের দিকে একটু ব্যথা করছে। তার বন্ধু বললো একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিস সেজন্য হয়তো ব্যথা করছে। বাইরে আয় সবাই মিলে কোলড্রিংস খাই। দেখবি তোর ব্যথা চলে গিয়েছে। রাহিল বলল তোরা বাইরে যা আমি আসছি।

কিছুক্ষণ পর রাহিল হাত ধুয়ে বাইরে এসে বন্ধুদের সাথে দাঁড়ালো। কিন্তু ওর বন্ধুরা রাহিলের মুখ দেখে বুঝতে পারল ওর বেশ ভালই ব্যথা করছে। তখন ওর এক বন্ধু বলল তাহলে তুই বাড়িতে চলে যা। আমরা আর কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে তারপর যাবো। তখন রাহিল বললো ঠিক আছে আমি বাড়িতে চলে যাই। ব্যথাটা বেশ বেড়েছে। এই কথা বলে রাহিল একটা রিক্সা নিয়ে বাড়িতে চলে গেলো। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছানোর পর রাহীলের ব্যথাটা অনেক বেড়ে গেলো। সে চিৎকার করে কাতরাতে লাগলো। রাহিলের মা হঠাৎ করে ছেলের এমন অবস্থা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়লো। সে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না।

এর ভেতর রাহিলের এক বন্ধু রাহিলকে ফোন দিল তার অবস্থা কি সেটা জানার জন্য। রাহিলের মা ফোন ধরে তাকে বলল তোমরা একটু তাড়াতাড়ি বাসায় চলে এসো। রাহিল যেন কেমন করছে। ওর প্রচন্ড পেট ব্যাথা হচ্ছে। ওর বন্ধু রাহিলের আম্মাকে বলল আন্টি আপনি চিন্তা করবেন না। আমরা অল্প কিছুক্ষণের ভেতরেই চলে আসছি। মিনিট দশেকের ভেতর রাহীলের বন্ধুরা এসে উপস্থিত হলো। তারা রাহিলের অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি রাহিলকে নিয়ে হসপিটালে রওনা দিলো। হসপিটালে পৌঁছে তারা রাহিলকে সরাসরি ইমারজেন্সিতে নিয়ে গেলো। ইমারজেন্সি ডাক্তার রাহীলকে দেখে কিছু টেস্ট করতে দিলো। তারপর বলল দ্রুত টেস্ট গুলি করিয়ে এটার রিপোর্টটা আমাকে দেখাবেন।

এই কথা বলে সে রাহীলকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পরামর্শ দিল। পরে ডাক্তার রাহিলের রিপোর্ট দেখে বললেন রোগীর অবস্থা ভালো না। আপনারা তাড়াতাড়ি তাকে ঢাকাতে শিফট করুন। ঢাকার বাইরে এই ধরনের রুগির চিকিৎসা খুব একটা ভালো হবে না। এই রোগীকে যত দ্রুত ঢাকা নিতে পারবেন ততই ভালো। এ কথা শুনে রাহিলের আম্মা কান্নাকাটি শুরু করে দিলো। রাহিলের বন্ধুরা তখন তাকে বোঝাতে লাগলো আন্টি কান্নাকাটি করবেন না। আমরা তো আছি। আমাদের এখন দ্রুত রাহীলকে ঢাকা নিয়ে যেতে হবে। (চলবে)

ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 

ভাইয়া রাহিলের কি হল? কিছুই ত বুঝতে পারলাম না।তাড়াতাড়ি ঢাকা নিয়ে জানান কি হল?? এভাবে রেখে দিলেন?? 😂 কি জানি কি হবে রাহিলের?? এত খাওয়া ত ভাল না।কম খেলে মানুষ বাঁচে বেশিদিন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন কম খেলে মানুষ বাঁচে বেশি দিন। তবে একথা ক'জনই বা খাওয়ার সময় মানে?

 2 years ago 

ভাইয়া আজকে পোস্টে পড়ে আমার অত্যন্ত কষ্ট লাগছে এবং সুন্দর লাগছে। আমার মনে হয় রাহেলকে জরুরীভাবে ঢাকায় এনে ডাক্তার দেখা উচিত.

 2 years ago 

একই সাথে আপনার দুটো বিপরীত ধর্মী অনুভূতি কিভাবে হলো সেটাই চিন্তা করছি।

 2 years ago 

বন্ধুরা যতই রাহিলকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করলেও রাহিলের বিপদে এগিয়ে এসেছে।কি হলো রাহিলের রিপোর্ট এই কি আসলো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ

 2 years ago 

আশা করি আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন।

 2 years ago 

রাহিলের এমন পেট ব্যথার অবস্থা দেখে আমার কাছেও ভীষণ খারাপ লেগেছে। রাহিলের বন্ধুরা দশ মিনিটেই তার বাড়িতে পৌঁছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে এই ব্যাপারটি সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। কিন্তু পরে যখন ডাক্তার রাহিলকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছে, তখন যেন মনের ভিতর বিপদের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এজন্যই তো রাহিলের মা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। ভাইয়া রাহিলের অবস্থা কি হলো তা জানার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে রইল। তাই পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আশা করি ইতিমধ্যে পরবর্তী পর্বগুলো পড়ে কি হয়েছে সেটা জেনেছেন।

 2 years ago 

গত পর্বে দেখলাম রাহিলের বন্ধুরা ওকে নিয়ে বেশ মজা করছিল। কিন্তু এখন যখন ওর অবস্থা খারাপ তখন ঠিকই বন্ধুরা ছুটে এসেছে। যেহেতু রাহুলের মা একা উনি খুবই ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু আসলে রাহিলের হলোটা কি? ভাবলাম হয়তো এই পর্বে জানতে পারবো কি হয়েছে। কিন্তু আবারো তো রেখে দিলেন। একটু টেনশনে পড়ে গেলাম। যাইহোক পরবর্তীতে দেখব রাহিলের কি হয়েছে।

 2 years ago 

বন্ধুরা বন্ধুদের সাথে স্বাভাবিকভাবেই একটু ইয়ার্কি ফাজলামি করে। তবে বিপদের সময় আবার এই বন্ধুরাই সবচাইতে আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

 2 years ago 

রাহিলের অবস্থার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আমি তো কিছুই বুঝতে পারলাম না রাহিলের কি হয়েছে। রাহিলকে তাড়াতাড়ি ঢাকা নিয়ে গেলেই ভালো হয়। রাহিলের বন্ধুরা তার জন্য অনেক কিছুই করেছে। তার অবস্থার কথা শুনে তারা দশ মিনিটের ভিতরে তার বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছে এবং জরুরী ভাবে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছে। তার মা একা তাই উনি একটু বেশি ভেঙে পড়েছিল। সত্যি মায়ের চোখের সামনে যদি সন্তানের এরকম অবস্থা হয় তাহলে এভাবেই ভেঙে পড়ার কথা। রাহিল এবং রাহিল এর মার জন্য আমার খুবই কষ্ট লাগছে। পরের পর্বটি পড়ার আমার খুবই বেশি আগ্রহ তার কি অবস্থা এটা জানার জন্য। আশা করি আপনি খুবই তাড়াতাড়ি পরের পর্ব নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হবেন।

 2 years ago 

গল্পটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভাই প্রথম পর্ব টি বেশ মনযোগ সহকারে পড়েছি ৷ আমি সেদিন বলেছিলাম যে রাহিল যেভাবে খায় ৷ তাতে আসলে একে এরপর তাকে দাওয়াত দিবে না ৷ হিহি হিহি ৷ যাস্ট একটু মজা করলাম ৷

তবে এখন অনেকটা খারাপ লাগলো যে বিয়ে বাড়িতে খেতে খেতে তার পেট ব্যথা শুরু ৷ এরপর হসপিটাল ৷ আবার জরুরী চিকিৎসার ঢাকা ৷ তার মা তো কান্না করবেই ৷
যা হোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি ৷

 2 years ago 

এ ধরনের ছেলে কিন্তু আমাদের আশেপাশেই দেখতে পাওয়া যায়। তবে বেশি খাওয়া দাওয়া করার কারণে অনেকেই নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়।

 2 years ago 

অপেক্ষায় রইলাম রাহিলের কি হয়েছে জানআর জন্য এবং সে আশআ করব গল্পে সুস্থ হয়েই মায়ের বুকে ফিরে যাবে। ছেলে মেয়ে অসুস্থ হলে মা বাবা যে কতটা অসহায় হয়ে পড়ে যার হয় সে ই বোঝে। আর রাহিলের বন্ধুদের দেখে মনে হচ্ছে এমন বন্ধু ভাগ্য করেই পেতে হয়।গল্পটা দারুণ জমে উঠেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আসলেই এই ধরনের বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68183.21
ETH 3545.21
USDT 1.00
SBD 2.82