প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)। ১০% সাইফক্স।
যাত্রা হলো শুরু
বেশ কিছুদিন থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিলো সিলেট ঘুরতে যাওয়ার। কারণ অনেকদিন হল আমদের পরিবারের লোকজনের একসাথে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। কিন্তু পরিকল্পনা করলেই তো হবে না। তার জন্য সময় বের করতে হয়। কিন্তু নানা রকম ব্যস্ততার কারণে আমাদের সময় হয়ে উঠছিল না।
এর ভেতরে আমার আম্মার ফ্লাইটের ডেট কাছে চলে আসছিল। যার ফলে আমাদের হাতে সময় ছিল খুবই কম। আপু বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বলছিল আমরা সবাই মিলে সিলেট ঘুরতে যাব। কিন্তু ঢাকায় আমাদের বাড়ির কাজ চলতে থাকায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত যখন ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলো। তখন কাজে বেশ কিছুদিনের বিরতি পড়লো। আমরা পরিকল্পনা করলাম এই বিরতিতেই সিলেট থেকে ঘুরে আসতে হবে।
অতএব সেই অনুযায়ী সবকিছু আগাতে থাকল। আমরা চিন্তা করেছিলাম ট্রেনে করে সিলেট যাব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ট্রেনের টিকিট এভেলেবেল না। কয়েক দিন আগে থেকে টিকেট না কাটলে ট্রেনের সিট পাওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য আমি আর আমার দুলাভাই চার পাঁচ দিন আগেই ট্রেনের টিকেট কেটে নিয়েছিলাম। আমাদের যাত্রার সময় ছিল ১০ তারিখ ভোর ছয়টা ২০ মিনিট। যেহেতু অনেক ভোরে আমাদেরকে স্টেশন পৌঁছাতে হবে তাই আগের দিন সবাই সবার মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম। যাতে ঘুমের কারণে আমাদের ভ্রমণটা মিস না হয়।
যদিও আগের দিন রাতে আমাদের সবারই ঘুমাতে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল। কারণ গোছগাছ করতে করতে আর নানা রকম গল্পে গল্পে রাত প্রায় দুটা বেজে গিয়েছিলো। যেহেতু আমাদের ট্রেন ৬ টা ২০ এ তাই আমরা ঠিক করে রেখেছিলাম ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠবো। কারণ সকালে উঠে তৈরি হয়ে নাস্তা করতে করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে। তাই একটু আগে ওঠার পরিকল্পনা করেছিলাম। যথারীতি ভোর পাঁচটায় অ্যালার্ম বেজে উঠলো। সবচেয়ে প্রথমে আমি ঘুম থেকে উঠলাম।
তারপর আস্তে আস্তে সবাইকে ডেকে উঠালাম। তারপর সবাই তৈরি হয়ে নাস্তা করে বাসা থেকে বের হলাম। বাইরে তখনো সূর্যের আলো এসে পৌঁছায়নি। আমরা দুটি উবার কল করলাম। একদম ভোরবেলা হওয়ায় রাস্তাঘাট ছিল পুরো ফাঁকা। যার ফলে অল্প সময়ে কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। কমলাপুর পৌঁছে আমরা আমাদের লাগেজ নিয়ে নির্ধারিত প্লাটফর্মে গেলাম।
একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম অনেক সকাল হওয়ায় স্টেশন এখনও খুব একটা কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠেনি। যার ফলে সবার ভিতরে দেখলাম ঢিলেঢালা ভাব। যাই হোক আমরা আমাদের কাঙ্খিত প্লাটফর্মে পৌঁছে আমাদের ট্রেনের কাছে পৌঁছে গেলাম। তারপর আমরা কম্পার্টমেন্ট খুঁজে নিয়ে আমাদের সিটে বসে পড়লাম। আমাদের নির্ধারিত সিটে বসতে গিয়ে আমরা একটি অন্যরকম পরিস্থিতির শিকার হলাম।
কারণ আমরা যখন টিকিট কেটেছি তখন করোনা সতর্কতার কারণে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে টিকেট দেয়া হচ্ছিল। যার ফলে আমাদের সিট নাম্বার গুলির সবার আলাদা আলাদা পড়েছে। কিন্তু যাত্রার একদিন আগে সরকার করনা বিধিনিষেধ তুলে দেয়। যার ফলে বাকি সিট গুলো বিক্রি করা হয়েছে। যার ফলে যেটা হয়েছে আমরা সবাই বিচ্ছিন্নভাবে বসেছিলাম। আর আমাদের প্রত্যেকের পাশে অপরিচিত লোকজন ছিলো। যদিও আমরা অন্য আসনের লোকদের সাথে কথাবার্তা বলে ম্যানেজ করে নিয়ে সবাই একসাথেই বসে ছিলাম পরে।
যাই হোক নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছাড়লো। অনেক ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠার কারনে আমাদের সকলেই ঘুমকাতুরে ছিলো। ট্রেন ছাড়ার পর আমরা কিছুক্ষণ ঘুমালাম। অল্পক্ষণ পরেই আমাদের ঘুম ভেঙে গেল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ট্রেনের জানালা সব বন্ধ ছিল। যেহেতু শীতকাল তারপর আবার সকাল। তাই আমাদের বগির কোন জানালা খোলা ছিল না। চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে দু'পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এই ব্যাপারটা আমি খুবই উপভোগ করি। যার ফলে জানালা বন্ধ থাকার কারণে আমার খুবই মেজাজ খারাপ হচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত সাড়ে নটার দিকে জানালা খোলা সুযোগ পেলাম। জানালা খুলতেই গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখের সামনে ভেসে উঠলো। এই মুহূর্তগুলি আমি খুবই পছন্দ করি আমি এমনিতেই জার্নি করতে খুব একটা পছন্দ করি। আমি জার্নি করতে মোটেও পছন্দ করিনা। তার ওপর বাস জার্নি আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে। তবে ট্রেন জার্নিটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কারণ এখানে আপনাকে সবসময় সিটে বসে থাকতে হবে না। আপনি ইচ্ছা করলে ট্রেনের ভিতরে ঘোরাফেরা করতে পারবেন। আবার কোন স্টেশনে ট্রেন থামলে সেখানে নামতে পারবেন।
তবে এবারে ট্রেন জার্নির একটি জিনিস আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। এর আগে আমি একবারই বড় ট্রেন জার্নি করেছি। সেবার আমি সিলেট থেকে ঢাকায় এসেছিলাম ট্রেনে করে। সেই জানির্টা আমার কাছে খুবই মজা লেগেছিল। কিন্তু এইবার এর ট্রেনের একটা ব্যাপার আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো। যখন পৃথিবীর অন্য দেশের ট্রেনের গতি বিমানের সাথে পাল্লা দিচ্ছে। তখন আমাদের এখানে ৩০/৪০ কিলোমিটার স্পিডে ট্রেন চলছে। তার পরেও ট্রেনটি অনেকগুলি স্টেশনে থেমেছে। যার ফলে আমাদের সিলেট পৌঁছাতে প্রায় ৭ ঘন্টা লেগে গিয়েছিল।
ট্রেন জার্নির আরো একটা ব্যাপার আমার কাছে ভালো লাগে। সেটা হচ্ছে চলন্ত ট্রেনে আপনি বিভিন্ন রকম খাবার পাবেন। ট্রেনের একটা ডাইনিং কার থাকে। সেখান থেকে আপনি নানা রকম জিনিস কিনে খেতে পারবেন। তাছাড়াও আপনি যখন সিটে বসে থাকবেন তখন ডাইনিং এর লোকজন খাবার আপনার কাছে নিয়ে আসবে বা তাদেরকে বললেই যে কোন খাবার আপনার কাছে পৌঁছে দেবে। যদিও আমার এবার পেটের অবস্থা খুব একটা ভাল না থাকায় ট্রেনের খাবার খেতে সবাই নিষেধ করেছে। তাই আমিও আর সে দিকে পা বাড়াইনি। যদিও মাঝে মাঝে অনেক ইচ্ছা করছিল ট্রেনের খাবার একটু চেখে দেখতে। তারপরে শারীরিক সমস্যার কথা চিন্তা করে সে চিন্তা বাদ দিলাম।
যদিও আমরা ট্রেনে ওঠার আগেই বিভিন্ন রকম খাবার সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম। কেক, ক্রিম রোল, বিস্কিট, কোক। সাথে আরও ছিল ফলমূল। কারণ আমরা আগে থেকে চিন্তা করেছি ট্রেনে কোন কিছু খাব না। কারণ ট্রেনের খাবারের উপর ভরসা করা একটু মুশকিল। যদি ট্রেনের খাবার খাওয়ার কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাহলে পুরো ঘোরাফেরাটাই মাটি হয়ে যাবে। ট্রেন চলাকালীন সময় যখন বিভিন্ন স্টেশনে থামলো। তখন অনেক হকারেরা আসছিল বিভিন্ন রকম খাবার নিয়ে।
ট্রেন যখন সিলেটের কাছাকাছি পৌঁছলো তখন চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চেহারা কিছুটা পাল্টে গেল। তখন আর দুপাশে সমতলভূমি দেখা যাচ্ছিল না। তখন মাঝে মাঝেই টিলা দেখা যাচ্ছিল। কখনো-সখনো দু-একটা চা বাগান ও দেখতে পাচ্ছিলাম। যখন এই দৃশ্য দেখলাম তখন বুঝতে পারলাম যে গন্তব্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। শেষ পর্যন্ত বেলা দেড়টা নাগাদ আমরা সিলেট স্টেশনে পৌঁছলাম। তারপর ট্রেন থেকে নেমে আমাদের জন্য অপেক্ষারত গাড়িতে উঠলাম। তবে গাড়িটি দেখে আমাদের সকলেরই পছন্দ হলো। কারণ আমার দুলাভাইয়ের এক বন্ধু আমাদের ভ্রমণের জন্য একটি পাজেরো গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পরবর্তী কয়েকদিন এই গাড়িটি ছিল আমাদের সফর সঙ্গী। অবশেষে আমরা রোডস এন্ড হাইওয়ে এর রেস্ট হাউসে পৌঁছলাম। যেটি ছিল সিলেট ভ্রমণ কালীন আমাদের থাকার জায়গা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে এই ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক, লিংক |
সিলেট কিন্তু সত্যি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আমিও কিছুদিন আগেই ট্রেনে করে সিলেট গিয়েছিলাম। সিলেট মনটা অনেক উপভোগ করেছিলাম আশা করছি আপনাদের সিলেট ভ্রমন সুন্দর হবে।ধন্যবাদ আপনার সিলেট ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আমারও ট্রেন জার্নি ভালো লাগে। আমি কিছুদিন আগেই ট্রেনে করে রাজশাহী ঘুরে আসলাম। ট্রেন একটি জিনিস বেশি ভালো লাগে কোন জ্যাম নেই। সিলেটে আমি গিয়েছি,অনেক আগে।আমারও ভালো ঘুরতে। মাঝে মাঝে চেষ্টা করি ঘুরতে যাওয়ার জন্য।সম্যাসা হচ্ছে, সকাল সকাল যদি ট্রেনের টিকিট হয় কি যে মসিবতে পড়তে হয়।যাই হোক ট্রেনে উঠার পর এসব ঝামেলা শেষ হয় না। ধন্যবাদ।
ট্রেন জার্নি আমারও খুব পছন্দের। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের উচিত ট্রেনের ব্যবস্থাপনা আরো ভালো করা। কারণ এই সময়ে এসে এত কম স্পিডে চলাফেরা করা সহ্য করা খুব মুশকিল। সিলেট আসলেই অনেক সুন্দর একটি জায়গা।
আসলেই সিলেটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দেখলে মনটা ভরে যায়।আমারও যাওয়ার খুব শখ। আমার মামা ওখানে থাকে। দেখি ইনশাআল্লাহ যাব কিছুদিনের ভিতর।সিলেটের চা বাগান সত্যিই অনেক জাঁকজমকপূর্ণ।
এই বর্ষায় চলে যান সেখানে। বর্ষাকাল হচ্ছে সিলেট ভ্রমণ জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়।
আমার ঘুরতে খুব ভালো লাগে। বেশি ভাগ সময় আমি ট্রেন এ জার্নি করি। আসলে বাইরে ঘুরতে যাওয়া মজা আলাদা। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে খুব ভালো লাগলো। সিলেটে আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছে। চেষ্টা করব কোন একদিন যাওয়ার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখানোর জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সিলেট আসলেই অত্যন্ত সুন্দর একটি জায়গা। বেশ কিছু চমৎকার স্পট আছে ঘুরে দেখার মত। সময় করে ঘুরে আসুন আমি নিশ্চিত আপনার ভালো লাগবে।
নিশ্চয়ই ভাইয়া, আমি যাবো একবার আপনি ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি অনেক ঘুরেন এটা খুবই ভালো,কেননা নিত্য নতুন কিছু জানেন এবং মন ফ্রেশ থাকে কোন বোরিং ফিল আসে না।আমারো এমন ইচ্ছা কিন্তু ব্যস্ততার কারণে হয়না।আপনি সফলভাবে পৌছাতে পারছেন এটাই আমাদের কাছে আনন্দের।২য় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম কেননা দ্বিতীয় পর্বে সিলেটের কিছু চিত্র দেখতে পারব।
ঘুরতে আসলেই আমার অনেক ভালো লাগে। ঘোরাঘুরি করলে মন ভালো থাকে। মানসিক প্রশান্তি আসে। সামনের পর্বগুলো আরো ইন্টারেস্টিং হবে।
প্রথমত যত জার্নি আছে তার মধ্যে ট্রেন জার্নি আমার সবথেকে ভালো লাগে। ট্রেন জার্নি সময় অন্যরকম এক অনুভূতি পাওয়া যায়। অন্য কোনো বিরক্তি আসে না। আসে না কোনো একঘেয়েমি ,পুরোটা সময় জুড়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করা যায়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরোটা জার্নি আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন সেই সাথে সিলেট ভ্রমনের প্রথম পর্ব উপস্থাপন করেছেন। আপনি সত্যি বলেছেন সিলেট হচ্ছে সৌন্দর্যের আধার। এত এত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পুরো সিলেট বিভাগ যা আসলে কল্পনার বাহিরে। কয়েকবার যাওয়ার প্ল্যান করেছি কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রতিবারই প্ল্যান গুলো বন্ধ হয়েছে। সিলেটের জাফলং, রাতারগুল খুব সুন্দর জায়গা। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আপনার সিলেট ভ্রমনের প্রধান জায়গাগুলো দেখতে পাবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সম্ভবত ভয়েস টাইপিং করেছেন। আপনার কমেন্টে কয়েকটি ভুল আছে। সেগুলো সংশোধন করে নিন। সিলেট আসলেই খুব চমৎকার একটি জায়গা। সেখানে ঘুরে দেখার মত অনেকগুলো জায়গা আছে। সময় করে একবার ঘুরে আসুন। দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘুড়তে কারই না ভালো লাগে সেটা যদি হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি তাহলে তো কোন কথাই নাই। আপনি ঘুড়তে অনেক ভালোবাসেন সেটা আপনার পোস্টগুলোই প্রমাণ করে। সব থেকে মজার জার্নি ট্রেন জার্নি। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি প্রমাণ করে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন ট্রেনে। সিলেটে আমার কখনও যাওয়া হয়ে উঠেনি। শুনেছি অনেক সৌন্দর্যের সমাহার সেখানে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই দেখতে পারবো এইটা অনেক ভালো লাগছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া