রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট । ১০% সাই-ফক্স।
চরাঞ্চলে যারা বসবাস করে শহরের সাথে তাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। ছবিতে তেমনই একটি যাত্রীবাহী নৌকা দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের নৌকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ লোক পারাপার হয়। চরের মানুষের জীবনের সাথে নৌকা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।
সেদিন আমাদের নৌভ্রমণ কালে বিকালের দিকে যখন আমরা হাজিগঞ্জ ঘাটে পৌঁছে ছিলাম। তখন সেখানে দেখি প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। ঈদ পরবর্তী সময়ে এলাকার লোকজন তাদের সময়টাকে সুন্দর ভাবে উপভোগ করার জন্য নদীর পাড়ে এসে জমা হয়েছে। এত লোক দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। কারণ আমি কখনো সেই ঘাটে এত লোক দেখিনি।
এটি আমার প্রিয় মুহূর্তের ছবি। আমি যখনই নৌভ্রমণ করি তখনই এই মূহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করি। আমি অসংখ্য এই মুহূর্তের ছবি তুলেছি। কিন্তু প্রতিটি ছবি আমার কাছে নতুন মনে হয়। যদিও দেখতে হয়ত আপনাদের কাছে একই রকম লাগবে। কিন্তু দিনের এই মুহূর্তটা আমার কাছে অন্যরকম আবেগের।
এই জিনিসটি মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করা হয়। আমাদের স্থানীয় ভাষায় এটাকে বলা হয় ভেসাল। নদি বা খালে এই ধরনের ভেসালের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে যখন পানি বাড়তে থাকে তখন নদী তীরবর্তী মৎস্যজীবীরা এর সাহায্যে প্রচুর মাছ ধরে থাকে।
এটি সম্ভবত একটি ড্রেজিং মেশিন। নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য এখন আমাদের দেশে ড্রেসিং মেশিনের প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে। তাতে কাজ কতটুকু হচ্ছে এটা নিয়ে সবাই সন্দিহান। সবার ধারণা ঠিকাদারেরা ভালোভাবে কাজ করছে না। যার ফলে নদীর নাব্যতার সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।
ট্রলার চলন্ত থাকা অবস্থায় এই ছবিতে তুলেছিলাম। এখান থেকে দূরে নদীর দুই পাড়ই দেখা যাচ্ছে। চুপচাপ বসে এ ধরণের সৌন্দর্য দেখার ভেতরেও এক ধরনের আনন্দ আছে।
পাট খড়ি বোঝাই একটি বড় নৌকা। এই ধরনের নৌকায় করে এই অঞ্চল থেকে প্রচুর পাঠখড়ি ঢাকার দিকে যায়। কারণ বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পাঠখড়ি কিনে নেয়। শুনেছি এই পাটখড়ি নিয়ে বিভিন্ন রকম বোর্ড বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। আবার এই পাট খড়ি পুড়িয়ে সেখান থেকে কালিও তৈরি করা হয়।
নদী ভাঙ্গন কবলিত একটি এলাকা। আপাতত কোনরকমে বালির বস্তা দিয়ে নদী ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানটাতে আপনারা বালির বস্তা দেখতে পাচ্ছেন সেখানে একটি স্কুল রয়েছে। সেই স্কুল কে বাঁচানোর জন্যই এই প্রচেষ্টা।
বন্ধু দেবাশীষ ব্যানার্জি। তার আবার ছবি তোলার প্রচন্ড আগ্রহ। শেষ বিকালের দিকে আমাকে বলল কয়েকটি ছবি তুলে দাও। আমি তার এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম। তবে যাই বলুন ছবিটি দেখতে বেশ ভালোই হয়েছে।
দূরে যে ঝড় টি দেখতে পাচ্ছেন সেখানে আমরা নৌ-ভ্রমণের সময় গোসল করেছিলাম। এই চর এতটা উঁচু ছিল না। কিন্তু নদীতে ড্রেজিং করে সেই বালি এই চরের উপর ফেলার কারণে চরটি এত উঁচু হয়ে গিয়েছে। যদিও দূর থেকে খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ rupok |
স্থান | হাজিগঞ্জ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সুন্দর কিছু ছবি উপহার দিলেন আমাদের ভাই। সব গুলো ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। চমৎকার ভাবে তুলেছেন প্রতিটি ছবি। আর হ্যা ড্রেজিং নিয়ে ঠিকি বলেছেন। ঠিক মত কাজ হয়না এখন। সবাই অবহেলা করে। তা নাহলে এতো নদী বিলীন হয়ে যেতোনা।
প্রতিনিয়তই দেখি নদী খননের কাজ চলে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয় না। এসব দেখে মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়।
আসলে যারা চিন্তা করে ভালো ফটোগ্রাফি করবে তারাও এখন আর ক্যামেরা কিনে না,একটু ভালো দাম দিয়ে ফোন কিনে নেয় এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে যায় ।মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে অনেক ভালো ফটোগ্রাফি করা যায় ।সাথে একটু এডিট করে নিলে অনেক সুন্দর ফটো করা যায় ।আপনার প্রতিটা ফটো অনেক ভালো ছিল।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
একদম সঠিক কথা বলেছেন। আমি নিজেই একটা ভালো ক্যামেরা ওয়ালা ফোন কেনার চিন্তা করছি। অন্য সময় হলে হয়তো একটা ভালো ক্যামেরা কিনতে চাইতাম।
আমিও যেকোনো জায়গা গেলে চারি পাশটা দেখে নেই আর ভালো কিছু দেখলেই ফটো তুলে ফেলি, তবে ভাইয়া এটা সত্যি যে আমারও খাবারের ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে না, যাই হোক ভাইয় আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের উপহার দিয়েছেন আপনার সব গুলো ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে শুভকামনা রইলো আপনার জন্য প্রিয় ভাইয়া
খাবার সামনে পেলে আমার আর ছবি তোলার কথা মনে থাকেনা। খাবারের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এজন্যই ছবি তোলা হয় না। হা হা হা
আমার বাংলা ব্লগে যোগদান করার পর আমার ক্ষেত্রেও একই পরিবর্তন হয়েছে। ছবি তোলা এখন নেশার মতো হয়ে গেছে। আগে ছবি তুললেও প্রকাশ করার জায়গা পেতাম না। এখন তো সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম পেয়ে গেছি। সুতরাং ছবি তোলার বাধা কোথায়। দেবাশীষ ব্যানার্জিকে ট্যাগ করে দিও দারুন হয়েছে ছবিটা।
হ্যাঁ ব্যানার্জিকে ছবিটা দিতে হবে। ও এমনিতেই ছবিগুলো চেয়েছিলো আমার কাছে। সময়ের অভাবে দেয়া হয়নি।
প্রানোমুগ্ধকর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে আপনার এই পোস্ট দেখে। নৌপথের এত চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো, সূর্যের সেই ছবিটি আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
নদীপথে চলাফেরা করলে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। তখন এমনিতেই ছবি তুলতে ইচ্ছা করে।
ভাই আপনার প্রিয় মুহূর্তের ছবি হচ্ছে নদীর উপরে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটি, আমার কাছেও এই দৃশ্যটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। আমার গ্রামের বাড়ি যেতে নৌকা করে নদী পার হতে হয়। আর যখনই আমরা নদী পার হয়ে গ্রামের বাড়ি যাই তখন এরকম দৃশ্য আমাদেরও চোখে পড়ে। আর সেই দৃশ্য আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। উপরে সূর্য অস্ত যাচ্ছে আর নিচে পানির ঢেউ গুলো নিজের ইচ্ছেমতো খেলা করছে। সত্যিই ভাই এরকম দৃশ্যের প্রেমে পড়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না। যাইহোক ভাইয়া আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। আর এই অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ওই ছবিটি আমারও পছন্দের। তবে সুন্দর দৃশ্য দেখলে এমনিতেই ছবি তুলতে ইচ্ছা করে। এ জন্য কোথাও ঘুরতে গেলে ভালো কোন দৃশ্য দেখলেই ছবি তুলে নেই।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি বরাবর অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসাধারণ লাগে। আমার কাছে আজকে সূর্য অস্ত যাওয়ার ও নৌকা পানিতে থাকার দৃশ্যটি অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
সূর্য অস্ত যাওয়ার ছবিটি আমার নিজের কাছেও ভালো লেগেছে। দিনের এই মুহূর্তটা কেন জানি আমার কাছে সম্পূর্ণ অন্যরকম মনে হয়।
দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফ গুলো অনেক গুছিয়ে সাজিয় উপস্থাপনা করেছেন ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এখন সময় সুযোগ পেলেই কিছু ছবি তুলি।
ভাইয়া ফটোগ্রাফি দেখতে এবং ফটোগ্রাফি করতে আমি খুব পছন্দ করি। সুন্দর কোন সিনারি কোন ফুল অর্থাৎ যেকোন সুন্দর জিনিসের ফটোগ্রাফি আমি করে ফেলি সুযোগ পেলে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফিক অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে যা বলাই বাহুল্য।আমরা যারা উঁচু এলাকায় বাস করি তারা হয়তো নৌকাকে সখ হিসেবে বাছাই করি নেই কিন্তু চরাঞ্চলে বসবাস করে তাদের নিত্যনতুন কাজই হচ্ছে নৌকায় করে এদিক সেদিক যাওয়া। ভালই রেখেছে আপনার ফটোগ্রাফি এবং সেইসাথে পুরো বর্ণনা। ধন্যবাদ
চরাঞ্চলের লোকজন নৌকা ছাড়া তাদের জীবন কল্পনা করতে পারে না।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে নদী এবং সাগর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় খুব সুন্দর। আমার কাছে দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নদীভাঙ্গনের ,নৌকার ,লঞ্চের ,চরের অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঠিকই বলেছেন নদী এবং সমুদ্র পাড়ের ছবি গুলো সব সময় ভালো হয়। এতে সুবিধা হচ্ছে আমার মত যারা ভালো ছবি তুলতে পারে না। তাদের ছবিগুলিও ভালো দেখা যায়।