হাতিরঝিলে কাটানো কিছু চমৎকার মুহূর্ত।
ঢাকায় এলে আমি সময় পেলেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই। তবে এবার এসেছি বিশেষ একটি কাজে। অবশ্য কাজ ছাড়া ঢাকায় আমার খুব একটা আসা হয় না। যাই হোক যে কাজে এসেছি সেই কাজ এখনো শুরু হয়নি। কেবল কাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। কাজ যেহেতু শুরু হয়নি তাই আজ সারাদিন প্রায় বাসায় বসে ছিলাম। সারাদিন বাসায় থাকার পর বিকালে আম্মার সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলাম আমাদের এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি তাকে দেখতে। সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমি সরাসরি চলে গেলাম হাতিরঝিল।
আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা জানেন হাতিরঝিল আমার খুবই পছন্দের একটি জায়গা। ঢাকায় আসলে আমি সময় পেলেই হাতিরঝিলে চলে যায় সময় কাটাতে। যদিও আজ যখন হাতিরঝিলে পৌঁছলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় হয় অবস্থা। তবে আজ বিকালের আবহাওয়াটা বেশ ভালো ছিল। গরমটা কম ছিলো। সাথে ছিল মৃদু বাতাস। যার ফলে হাতির ঝিলের পরিবেশটা আরো চমৎকার হয়ে উঠেছিল।
তবে আমি যখন হাতিরঝিলে পৌঁছেছি সেই সময়টাতে ওই এলাকাটা প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলো। প্রচুর মানুষজনের ভিড় ছিলো সেখানে। কারণ তখন অফিস ফেরত মানুষজন সব রাস্তায় ছিলো। সবার ভিতর এক অদ্ভুত তাড়া লক্ষ্য করছিলাম। কর্মব্যস্ত একটি দিন কাটানোর পর বাড়ি ফেরার জন্য সবাই অস্থির থাকে। যাইহোক যেহেতু আমি প্রায় সন্ধ্যার কাছাকাছি সময় পৌঁছেছি। তাই সেখানে গিয়ে প্রথমে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। কারণ সন্ধ্যা হয়ে গেলে পরে আর ছবি তুলতে পারব না।
তারপর আমি হাতিরঝিলে বেশ খানিকটা সময় ঘুরে বেড়ালাম। হাঁটছিলাম আর চারপাশের মানুষজন দেখছিলাম। অনেক মানুষকে দেখলাম তারা ব্যস্ত হয়ে কোন দিকে না তাকিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। আবার অনেকে শুধু সময় কাটানোর জন্য হাতিরঝিলের রাস্তা দিয়ে হাটাহাটি করছে। আবার কাউকে দেখতে পেলাম কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব সাথে নিয়ে হাতিরঝিলের বেঞ্চগুলিতে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
হাতির ঝিলের আরও একটা জিনিস আমার কাছে ভালো লাগে। সেটা হচ্ছে এই হাতির ঝিলের চারপাশ দিয়ে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেখানে ইচ্ছা করলে দর্শনার্থীরা বসে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। তবে সেখানকার খাবারের মান কেমন সেটা আমার জানা নেই। চলমান ওয়াটার বাসগুলিকে দেখে একটু আফসোস হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল একটু আগে আসতে পারলে ওয়াটার বাসে করে ঘুরে বেড়ানো যেত। এই চমৎকার আবহাওয়ায় ওয়াটার বাসে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে।
আজকে যেহেতু আমার আসতে দেরি হয়েছে। তাই মনে মনে পরিকল্পনা করলাম এর পরে একদিন সময় নিয়ে এসে ওয়াটার বাসে করে ঘুরে বেড়াবো। যদিও খুব বেশিক্ষণ ঘোড়ার সুযোগ নেই। কারণ ওয়াটার বাসে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। আর এই ওয়াটার বাস গুলি অল্প দূরত্বে সার্ভিস দিয়ে থাকে। যার ফলে সেখানে দীর্ঘক্ষণ ঘুরে বেড়ানোর উপায় নেই। অনেকক্ষণ ঘুরতে হলে আপনাকে বিভিন্ন ঘাটে নেমে টিকিট কেটে আবার উঠতে হবে।
তারপরও এই বর্ষাকাল হচ্ছে ওয়াটার বাসে ঘোরার সবচাইতে ভালো সময়। কারণ এই সময়টাতে হাতিরঝিলে প্রচুর পানি থাকে এবং পানিটা পরিষ্কার থাকে। যদিও এই বছর অন্যান্য বছর তুলনায় পানি খুবই কম দেখতে পেলাম। হাতিরঝিলে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে মাগরিবের আজান শুনতে পেলাম। আজান শুনে আমি ঠিক করলাম আশেপাশের কোন একটি মসজিদ থেকে নামাজ পড়বো। তারপর বাসার দিকে রওনা দেব। নামাজ শেষ করে আমি সোজা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | হাতিরঝিল |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/6) Get profit votes with @tipU :)
হাতিরঝিল আমার বেশ ভালো লাগে। আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে যে এটা রামপুরা ঘাট থেকে তোলা। যাইহোক এখানে আমার বাসা যদিও। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর সময়টা অনেক ভালো লাগে এখানে। সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
একদম ঠিক ধরেছেন। ছবিগুলো রামপুরা ঘাট থেকে তোলা।
হাতিরঝিল আমার খুব পছন্দের একটা জায়গা। আমার বাসা থেকে মোটামুটি অনেক কাছে।সময় পেলে ঘুরে আসি।গত শুক্রবার ছুটির দিন ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে সন্ধ্যা দিকে বেশি ভালো লাগে। মানুষ কম থাকে এবং সাথে মৃদু বাতাস প্রবাহিত হয় শরীরের মধ্যে দিয়ে।ঢাকা শহরের এই রকম জায়গা খুবই কম আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ঢাকা শহরে এই ধরনের জায়গা খুবই কম আছে। আদৌ আছে কিনা সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।
একটা সময় আমিও কলেজের বন্ধুদের নিয়ে হাতিরঝিল আড্ডা দিতাম, কিছুদিন আগেও হাতিরঝিলে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু যাওয়া হয়নি তবে খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে ফটোগ্রাফির বেশকিছু অংশই পরিচিত তাই খুব ভালো লাগছে।
আমি কিন্তু সুযোগ পেলেই হাতিরঝিলে যাই সময় কাটাতে।
ঢাকায় গেলে আমিও ভাই হাতিরঝিলে যাই। কারণ হাতিরঝিলের পাশেই আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে। অপরূপ সৌন্দর্যের জায়গা হাতিরঝিল। বর্তমান সময়ে ঢাকার ঐতিহ্য বলা যায় হাতিরঝিলকে। যাক অনেক ইনজয় সহ খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এই জায়গাটাতে ঘুরতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
আমি আসলে এখন পর্যন্ত হাতির ঝিলে হেঁটে হেঁটে ঘুরে উঠতে পারি নি। বাস অথবা বাইকে যাওয়ার সময় যেটুকু দেখা। তবে খুব ইচ্ছে আছে একদিন সময় করে যাওয়ার। খুব ভালো লাগলো ভাই আপনার এই পোস্ট টা। যাওয়ার ইচ্ছেটা আরো বেড়ে গেল।
সময় করে একদিন হাতিরঝিল ঘুরে যান। দেখবেন ভালো লাগবে।
ভাইয়া আমি হাতিঝিলে বেশ কয়েক বছর আগে গিয়েছিলাম। তখন রাস্তার পাশের গাছ গুলো এত বড় ছিল না। এখন তো দেখছি গাছ গুলো অনেক বড় হয়েগেছে। এখন মানুষও অনেক বেশি সমগম হয়। যাক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
এখানে এখন প্রচুর লোকসমাগম হয়।
দাদা, হাতিরঝিল জায়গাটার নাম আমি অনেকবার শুনেছি খুবই সুন্দর একটি জায়গা নাকি বিকাল অথবা সন্ধ্যায় একটু সময় কাটানোর জন্য । আপনি সন্ধ্যা বেলায় মৃদু বাতাস এবং সুন্দর পরিবেশে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন যা বুঝলাম। সন্ধ্যাবেলায় তোলা আপনার কয়েকটি ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার হয়েছে। যাইহোক আপনার প্রিয় জায়গায় সময় কাটানোর গল্প শুনে বেশ ভালো লাগলো।
জায়গাটি আসলেও অনেক সুন্দর।
কোনদিন বাংলাদেশের ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ হলে অবশ্যই জায়গাটি থেকে একবার হলেও ঘুরে আসবো।