রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
প্রথম আলোকচিত্র
কয়েকদিন আগে বন্ধু রাসেলের সাথে গিয়েছিলাম বসুন্ধরা সিটিতে ঘুরতে। মূল উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুর সাথে কিছু সময় কাটানো। বসুন্ধরা সিটিতে পৌঁছে দুই বন্ধু সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে এই ময়ূরের প্রতিকৃতি দেখতে পেলাম। ময়ূরটা দেখতে চমৎকার লাগছিল। সেখানে দেখলাম অনেক লোকজন ভিড় করে ছবি তুলছে। সময় সুযোগ বুঝে যখন একটু ফাঁকা হল তখন আমিও একটি ছবি তুলে নিলাম।
দ্বিতীয় আলোকচিত্র
ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন ক্ষুদে কাবাব বিক্রেতা। হরেক রকমের মজাদার কাবাব সাজিয়ে বসে আছে সে। সেদিন পথে চলতে চলতে হঠাৎ করে এই দৃশ্যটি চোখে পড়লো। সাথে সাথেই ছবিটি তুলে নিলাম। তবে ছবি তোলার পর মনে হচ্ছিল দোকানে ঢুকে কিছু কাবাব খেয়ে নেই। কিন্তু পেট ভরা থাকার কারণে আর সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারিনি।
তৃতীয় আলোকচিত্র
গোধূলি লগ্নে সূর্যের লাল আভা ঝিলের পানিতে এবং দূরে অবস্থিত বিল্ডিং এর গায়ে চমৎকার রংয়ের খেলা শুরু করেছে। দৃশ্যটি দেখে আর ছবি না তুলে থাকতে পারিনি। এমনিতেই গোধূলি লগ্ন আমার খুবই প্রিয় একটি সময়। কারণ এই সময়ে সূর্যের রক্তিম আভায় চারপাশ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।
চতুর্থ আলোকচিত্র
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাতির দুটি প্রতিকৃতি। সেদিন বিকালে সিয়াম ভাইয়ের সাথে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। তখনই ছবিটি তুলেছি। সিয়াম ভাইয়ের সাথে ঘোরাফেরার সেই গল্প আপনাদের কাছে অন্য আরেকদিন বলবো। রাতের আলোয় হাতি দুটি দেখে সত্যিকারের হাতি মনে হচ্ছিল।
পঞ্চম আলোকচিত্র
এই ছবিটি তুলেছি যমুনার ফিউচার পার্কের সামনে অবস্থিত ফুট ওভার ব্রিজের উপর থেকে। ব্রীজ যখন পার হচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করে রাস্তার দিকে চোখ গেল। রাস্তার দিকে চোখ যেতেই দৃশ্যটা আমার কাছে পছন্দ হয়ে গেল। তখনই কয়েকটি ছবি তুলেছি। তবে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে এই ফুটওভার ব্রিজটি দেখে আমি কিছুটা অবাক হয়েছি। কারণ এখানে দেখতে পেলাম ফুটওভার ব্রিজে ওঠা নামার জন্য দুই দিকে দুটি স্কেলেটর রয়েছে। আমাদের মত দেশে এমন চমৎকার ব্যবস্থা দেখে আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো।
ষষ্ঠ আলোকচিত্র
এই ছবিটি তুলেছি, যমুনা ফিউচার পার্কের ফুড কোর্ট থেকে। ফুড কোর্টে দাঁড়ানো অবস্থায় নিচে তাকিয়ে দেখি দেখতে বেশ ভালই লাগছে জায়গাটা। তখনই কয়েকটি ছবি তুলে নেই। অবশ্য আমি যখনই এই শপিং কমপ্লেক্সে আসি তখনই এই ধরনের ছবি তোলার চেষ্টা করি।
সপ্তম আলোকচিত্র
এই ছবিটি তুলেছি হাতিরঝিল থেকে। এটিও গোধূলি লগ্নে তোলা একটি ছবি। শেষ বিকালের মায়াবী আলোয় চার-পাশটা যেন কেমন লাগে। তখন যা দেখি তাই ভালো লাগে। তখনই ছবিটি তোলা।
অষ্টম আলোকচিত্র
এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন ফল বিক্রেতাকে। ঢাকার ফলের দোকানগুলির যে বিষয়টা আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগে সেটা হচ্ছে। এখানে নানারকম বিদেশি ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া নানা রকমের অফ সিজেনের ফলও আপনি সেখানে দেখতে পাবেন। যদিও সেগুলোর দাম রীতিমতো আকাশ ছোঁয়া।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | হাতিরঝিল, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে ফুটওভার ব্রিজে আমি কখনো যাইনি। আপনার মাধ্যমে জানতে পেরে সত্যি অবাক হলাম। আমাদের মত দেশে ফুট ওভার ব্রিজের দুই পাশে স্কেলেটর আসলেই অসাধারণ একটি ব্যাপার। খুবই সাধারণ বিষয়ের উপর ফটোগ্রাফি করেছেন। কিন্তু অসাধারণ হয়েছে আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি। বিশেষ করে হাতির ঝিলের ফটোগ্রাফি এবং গোধূলি লগ্নে অন্য আরেকটি ঝিলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গোধূলী লগ্নে সূর্যের লাল আভা যেন এসে বিল্ডিং এর গায়ে ছরিয়ে পরেছে। আপনি সেই মুহূর্তটা ফোন দিয়ে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। এটা আপনি ঠিক বলছেন যে ঢাকা শহরে ফুটপাতের ফলের দোকানে অফ সিজনের ফলগুলো ও পাওয়া যায়। সিয়াম ভাইয়ের সাথে কাটানো মুহূর্ত পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে অনেকদিন পর রাসেল বন্ধুকে নিয়ে বসুন্ধরা কমপ্লেক্স অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন এবং এই ময়ূরের ফটোগ্রাফি করেছেন।ময়ূরের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
ভাইয়া,সত্যি কথা বলতে কি ঘোরাঘুরি করতে আর বিভিন্ন জিনিস দেখতে প্রতিটা মানুষেরই ভালো লাগে।ভাইয়া,আমি বড় হওয়ার পর একবার শুধু ঢাকায় গিয়েছিলাম না হলে ছোটবেলায় মোটামুটি ঢাকা ছিলাম।ঢাকার বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে,যদি কখনো সুযোগ হয় ঢাকা গিয়ে ঘুরে আসবো।ভাইয়া,আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ঢাকায় বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফল পাওয়া যায় আর ভাইয়া দাম তো হবেই কারণ ঢাকা সিটি বলে কথা ।ভাইয়া, আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ফলের দোকানের ফটোগ্রাফিটা।ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাইয়া আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।বিশেষ করে কাবাব এর দোকানের ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সিয়াম ভাইয়ার সাথে ঘুরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার গত কয়েকদিনের পোস্টগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি বেশ ঘোরাফেরা করছেন। অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। বসুন্ধরা সিটিতে বেশ অনেকদিন হয়েছে যাইনা তাই ময়ুরের এই প্রতিকৃতি দেখা হয়নি। ছবিতে বেশ দারুন লাগছে। ঢাকায় এই ধরনের স্ন্যাকসগুলোর দোকান রাস্তায় কিছুক্ষন পরপর দেখা যায়। দেখতে অবশ্য বেশ লোভনীয় লাগছে। গোধূলি লগ্নে তোলা দুটি ছবিই চমৎকার হয়েছে, একটিতে সূর্যের আভা পরে আছে অন্যটিতে মনে হচ্ছে সন্ধ্যা বুঝি নেমে এল। এস্কেলেটর সহ ফুট ওভার ব্রীজ ঢাকার কাকলীতেও একটি আছে, তবে মানুষ যত্নসহকারে ব্যবহার করে না। ঢাকায় প্রায় ফলের দোকানে এরকম দেশী বিদেশী ফল পাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া ঘুরাঘুরি করা ভালো কারন এটা মন মানসিকতা কে ভালো করে ৷ মনে কোনো চিন্তা বা খারাপ চিন্তা দুর করে ৷ তাই আমিও মাঝে মধ্যে বিকেল বেলা ঘুরতে বের হই ৷ আপনি আপনার বন্ধুর সাথে ঘুরতে যেয়ে বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি তুলেছেন ৷
গোধূলি লগ্নে ঝিলের পানিতে সূর্যের আলো যেন টলমল করছে৷ ময়ূর দেখতে বেশ চমৎকার ছিল৷ বেশ সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ভাই ৷
ধন্যবাদ
ভাই আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর আজকে ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। বিশেষ করে বসুন্ধরা কমপ্লেক্স বন্ধুর সাথে আনন্দময় মুহূর্ত এবং ময়ূর পাখির ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে এবং সিয়াম ভাইয়ের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত ঘোরাফেরার সেই গল্পটি আপনি পরে বলবেন, তবে আজকে আপনি একটি হাতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপুরা কি জানে ফলের সাথে সাথে আপুদের ছবিও তোলেছেন😉😉।আমি কিন্তু বলে দিব, 😉 হা হা।ময়ূরের প্রতিকৃতি বেশ সুন্দর তো,আগে তো বসুন্ধরায় দেখিনি,অনেক দিন যাওয়া হয়নি।হাতির ঝিলের ছবি দুইটা বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ
আজকে অসাধারণ ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছেন ভাই আপনি। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার। এর মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে-দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং সপ্তম ফটোগ্রাফিটি। বাস্তবতা ও প্রকৃতি আমাকে কঠিন ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।