কলকাতা মিউজিয়াম (ব্রঞ্জের তৈরি দেবদেবীর মূর্তি)।। এপ্রিল -২০/০৪/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
ভারতীয় জাদুঘর হল ভারতের বৃহত্তম জাদুঘর। ১৮১৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা কিউরেটর ছিলেন ড্যানিশ বোটানিস্ট ড. নাথানিয়েল ওয়ালিচ। কলকাতা জাদুঘর হলো একটি সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান জাদুঘর। এর ছয়টি বিভাগ রয়েছে – শিল্পকলা, পুরাতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, ভূতত্ত্ব, প্রাণীতত্ত্ব ও অর্থনৈতিক উদ্ভিজ্জ। ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলে এই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জাদুঘর। আজ সেখানকারই কিছু শত বছরের পুরনো ব্রোঞ্জের দেব-দেবীর মূর্তি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এই মূর্তিগুলো সম্পর্কে তেমন বিশেষ কোন ইনফরমেশন সংগ্রহ করতে পারেনি। শুধুমাত্র সেখানে লেখা ছিল যে এটা কিসের মূর্তি এবং একটা সিরিয়াল নাম্বার। তাই ছাড়া বিশেষ তেমন কিছু সেখানে আমি লেখা দেখতে পাইনি। এজন্য খুব বেশি একটা বিস্তারিত বলতে পারব না। তারপরও মোটামুটি যতটা পারবো সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। চলুন তাহলে মূর্তিগুলো দেখে নেয়া যাক এবং এই মূর্তি সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলোচনা করা যাক।
খুব নিখুঁতভাবে তৈরি ব্রোঞ্জের এই মূর্তিটি হলো স্বয়ং মা দুর্গার। যেখানে দেখা যাচ্ছে মা দুর্গাকে অসুর বধ করতে। রাজস্থানের কোন একটা জায়গা থেকে এই ব্রঞ্জের মূর্তিটি সংগ্রহ করা হয় এবং সেটা শত বছর আগে।
এটা হল স্বয়ং নটরাজের মূর্তি। তাণ্ডব ধ্বংসাত্মক এবং পুরুষালি নৃত্য শিবই কাল-মহাকাল বেশে বিশ্বধ্বংসের উদ্দেশ্যে এই নাচ নাচেন। লাস্য মধুর ও সুচারু নৃত্যকলা এই আবেগময় নৃত্যকে পার্বতীর নাচরূপে কল্পনা করা হয়। নটরাজের এই মূর্তিটিও পেশ করব তামিলনাড়ুর কোন একটা স্টেট থেকে সংগ্রহ করা হয়।
এটাও মা দুর্গার অসুর বধের মূর্তি রূপ। তবে এই মূর্তিটা গ্
ব্রোঞ্জের তৈরি না। এটা তৈরি করা হয়েছিল চিনামাটি দিয়ে, তবে কিছু কিছু জায়গায় রংটা একটু ফেকাশে হয়ে গেছে।
ব্রোঞ্জের তৈরি ভূদেবী, যিনি পদ্মের উপর উপবিষ্ট আছেন এবং সেটা অবশ্যই ধ্যানমগ্ন অবস্থায়। সামনাসামনি এই মুহূর্তে টা দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছিল।
এই মূর্তিটা পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছিল তবে এটা যে কিসের মূর্তি সেটা আমি ঠিক অনুমান করতে পারিনি। আর ওখানেও বিস্তারিত কিছু লেখা ছিল না, শুধুমাত্র সিরিয়াল নাম্বার দেওয়া ছিল।
ব্রঞ্জের তৈরি মা সরস্বতীর একটি মূর্তি যেখানে দেখা যাচ্ছে সরস্বতী অতি মনোযোগ দিয়ে বিনা বাজাচ্ছেন। এই মূর্তিটিও রাজস্থানের কোন একটা জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।
ব্রঞ্জের তৈরি এই মূর্তিটি হলো শিবের একটি রূপ। অসাধারণ সুন্দর দেখতে বহুকাল আগের পুরনো।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | কলকাতা মিউজিয়াম,ইন্ডিয়া। |
ব্রঞ্জের তৈরি দেবদেবীর মূর্তি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মূল্যবান। পুরনো সেই মূর্তিগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি নিখুঁত কারুকার্য করা। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
এই মূর্তিগুলো আসলেই অনেক মূল্যবান এবং ইউনিক। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার এই পোষ্টের কারণে কলকাতার মিউজিয়াম সম্পর্কে বেশ ভালোই ধারণা হয়েছে। ব্রোঞ্জের তরী দেবদেবীর মূর্তি দেখে বুঝতে পারছি এগুলো খুবই মূল্যবান। আসলে মূল্যবান জিনিসগুলো এরকম মিউজিয়ামে রাখা হয়। মিউজিয়ামে গেলে অনেক পুরনো নিখুঁত কাজ দেখা যায় যেগুলো দেখতে সত্যি একেবারে আকর্ষণীয় লাগে। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে। ফটোগ্রাফি গুলো ও দেখে ভালো লেগেছে।
আমি তো কলকাতা মিউজিয়ামের সামান্য একটা অংশ তুলে ধরেছি মাত্র। পুরো মিউজিয়াম সম্পর্কে জানতে গেলে কম করে হলেও বছরখানেক সময় লাগবে। এই নিয়ে আমি কলকাতা মিউজিয়াম তিনবার গেছি, এখনও মিউজিয়াম সম্পর্কে ১০% ও জানতে পারিনি।
খুবই ভালো এবং সুন্দর একটা ধারণা পেলাম কলকাতার মিউজিয়াম সম্পর্কে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে কলকাতা মিউজিয়াম সম্পর্কে বলেছেন। ব্রঞ্জের তৈরি দেব দেবীর মূর্তি দেখে আমি তো সত্যিই একেবারে মুগ্ধ হয়ে ছিলাম। এই মূর্তি গুলো অনেক দামি মনে হচ্ছে। এরকম মিউজিয়াম গুলোতে ঘুরাঘুরি করতে খুবই ভালোই লাগে। ব্রঞ্জের তৈরি দেবদেবীর মূর্তির খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। সম্পূর্ণটা বলতে গেলে অসাধারণ ছিল।
এই মূর্তিগুলো আসলেই অনেক দামি, তবে সেটা টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। আমি তো এই নিয়ে কলকাতা মিউজিয়ামে তিন বার গেলাম, এখনো পুরো মিউজিয়ামটা ঘুরে দেখতে পারেনি।
এক কথায় অনবদ্য একটা পোস্ট ছিল এটা। শুরুতে খুব মূল্যবান কিছু তথ্য দিয়েছেন, আমি এত গভীরভাবে জানতাম না এই মিউজিয়াম সম্পর্কে। আমি অবশ্য কলকাতা মিউজিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে একটা ছবি তুলেই চলে এসেছিলাম 😉, ভেতরে আর যাই নি। সবগুলো ব্রোঞ্জের মূর্তি অসাধারণ লেগেছে। একদম শেষে ভোলানাথের মূর্তিটা বেশ অন্যরকম লাগলো আমার কাছে। শিবের এই রূপটা এবারই প্রথম দেখলাম আমি।🙏
যদি আবার কখনো কলকাতা আসেন তাহলে অবশ্যই কলকাতা মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। এত সুন্দর জায়গা আসলে ঘুরে না গেলে অনেক কিছুই মিস করে যাবেন জীবনে।