"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৩১ || ফ্রুট কাটিং, কাকড়া মাছ এবং পিঁপড়ের ডিজাইন।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। |
---|
গত পরশুদিন থেকে ফুড কাটিং এর উপর বিভিন্ন ডিজাইন দেখছি আমার বাংলা ব্লগের সদস্যদের পোস্টে। তবে সেগুলো দেখার পর মনে হয়েছিল আমি যতই কম্পিটিশন এ অংশগ্রহণ করি না কেন, তাদের আশেপাশেও যেতে পারবো না। যাই হোক তারপরও অনেক দিন হয়ে গেছে কোন কম্পিটিশন এ আমি অংশগ্রহণ করিনি। তাই মনে হল নিজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ একান্তই দরকার।
শুধু পুরস্কার পাওয়ার জন্য না, এটা করার ভেতর রয়েছে এক অসম্ভব আনন্দ। যাইহোক গতকাল থেকে ইউটিউবে বিভিন্ন ফুড কাটিং ডিজাইন এর উপর করা ভিডিও দেখেছি। সত্যি কথা বলতে যখন দেখেছিলাম তখন মনে হচ্ছিল করাটা অনেক সহজ। তবে নিজে যখন করতে বসেছি তখন বুঝতে পেরেছি যে এই কাজ আমার দ্বারা সম্ভব না শত চেষ্টা করলেও।
নির্ঘাত কাল ফল গুলো কিনে এনেছিলাম, সেটা না হলে হয়তো আজকে অন্য কোন পোস্ট করতাম। কারণ ফ্রুট কাটিং ঠিক ঠাক মত হলেও ডেকোরেশন আমি ঠিকঠাকমতো করতে পারিনি। তারপরও আশা করছি আপনারা আমাকে উৎসাহ দেবেন যাতে ভবিষ্যতে হলেও আমি সুন্দর করে উপস্থাপনা করতে পারি আপনাদের সামনে।
তবে একটা বিষয় আমি বলতে চাই সেটা হলো রেসিপি বা আর্ট জাতীয় জিনিস মেয়েরাই অনেক বেশি ভালো পারে। ছেলেদের জন্য কম করে হলেও একটা দৌড় প্রতিযোগিতার কম্পিটিশন করালে হয়তো সেখানে কোন একটা পুরস্কার আমি অবশ্যই পেতাম। হা হা হা...চলুন আর বেশি কথা না বলে স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি আমার আজকের ফ্রুট কাটিং ডিজাইন।
🥗প্রয়োজনীয় উপকরণ 🥗
১. ছুরি।
২. শসা এক পিস
৩. গাজর একপিস।
৪. কালো আঙ্গুর।
৫. সাদা আঙ্গুর।
৬. বেদানা।
৭. কমলালেবু।
৮. আপেল।
৯. টুথ পিক।
১০. এবং কাঁচি।
🍒প্রথম ধাপ🍒
প্রথমেই আমরা পিঁপড়ে তৈরি করব তার জন্য আমাদের লাগবে কালো রঙের আঙ্গুর টুথপিক এবং আঙ্গুরের ডাটা। আঙ্গুরটাকে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেব এবং আঙ্গুরের ডাটা সাইজ করে কেটে নেব।
🍓দ্বিতীয় ধাপ🍓
এরপর একটা গাজর স্লাইস করে কেটে নিয়ে ডানার আকৃতি বানাব। তারপর আঙুলগুলো টুথপিকের ভিতর ভরে পিঁপড়ার শরীরের আকৃতি তৈরি করব। সবশেষে যে ডাটা গুলো রাখা হয়েছিল সেগুলো সামনের অংশ দিয়ে চোখের মতো তৈরি করার চেষ্টা করব এবং মাঝের দিকে গাজর দিয়ে ডানা তৈরি করব।
🥭তৃতীয় ধাপ🥭
তৃতীয় ধাপে শসা স্লাইস করে কেটে নেব এবং সেটাকে পেচিয়ে একটা ফুলের মত বানাবো। তারপর আবার একটা শসা কেটে তার ভেতরের বিচি গুলো ফেলে দিয়ে সেই পেঁচানো ফুলটাকে তার ভেতর দিয়ে একটা ফুল বানাবো। পরবর্তীতে কালারের ভেরিয়েশন তৈরি করার জন্য ছোট ছোট করে কেটে রাখা কয়েকটা গাজরের টুকরো দেওয়া যেতে পারে।
🍏চতুর্থ ধাপ🍏
এই ধাপে আমরা আপেল দিয়ে কাঁকড়া তৈরি করব। তবে তার জন্য প্রথমে আপেলটাকে মাঝ বরাবর কেটে নেব।
🍋পঞ্চম ধাপ🍋
আপেলের একটা অংশ ছোট ছোট করে স্লাইস করবো কাঁকড়ার পা বানানোর জন্য এবং বাকি অংশ তার উপর এলাচ গুঁজে দিয়ে কাকড়ার চোখের মতো করার চেষ্টা করব। এরপর দুটো আপেলের স্লাইস নিয়ে কাকড়ার সামনের ধারালো পায়ের মতো করব।
🫐ষষ্ঠ ধাপ🫐
এরপর ডিজাইন করার জন্য দুই ধরনের আঙ্গুর নেবো এবং আঙ্গুর ফল গুলোকে কেনিকোনা বরাবর কেটে তারপর উল্টো করে লাভের মতো বানাবো।
🍇সপ্তম ধাপ🍇
সপ্তম ধাপ থেকে প্লেট ডেকোরেশন এর কাজ শুরু হবে। প্রথমে একটা কমলা লেবু দিয়ে ফুল বানাবো এবং তার পাশে সবুজ আঙুর দিয়ে আর গাজর দিয়ে ডিজাইন করে নেব।
🥝অষ্টম ধাপ🥝
এরপর ডিজাইন ফুলের পাশে আগে তৈরি করে রাখা দুটো পিঁপড়ে সাইড করে বসিয়ে দেবো। যাতে দেখতে কিছুটা সুন্দর লাগে।
🥦নবম ধাপ🥦
এরপর শশা দিয়ে তৈরি করা আগের ডিজাইন টা পিঁপড়ে যে পাশে রাখা হয়েছিল তারা অপজিট পাশে বসিয়ে দেবো।
🥑দশম ধাপ🥑
এই কাজগুলো যখন শেষ হয়ে যাবে তখন আপেল দিয়ে তৈরি করা কাঁকড়াটা মাঝ বরাবর বসিয়ে দেবো।
🍅একাদশ ধাপ🍅
এই ধাপে আসলে তেমন কিছু করার নেই। তবে যে জায়গাগুলো ফাঁকা দেখা যাবে সেখানে বেদানার কোয়া দিয়ে ভরে দিতে হবে যাতে করে দেখতে অনেকটা সুন্দর লাগে। এই স্টপে আমি অনেকগুলো অ্যাঙ্গেলে ফটো নেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে পুরো বিষয়টা ভালো করে বোঝা যায়।
পোস্ট বিবরণ
ফটো এডিট | Inshot |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | কলকাতা। |
This post was selected for Curación Manual (Manual Curation)
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)
ধন্যবাদ🤭
ফ্রুটস কাটিং নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তবে টাইটেলে অনেক সুন্দর নাম দিয়েছে। ফ্রুটস কাটিং করে কাঁকড়া মাছ এবং পিঁপড়ের ডিজাইন করেছেন দেখতে অসাধারণ হয়েছে এবং ইউনিক বিষয় বানিয়েছেন আপনি। প্রতিযোগিতা মানে তো ইউনিক কিছু দেখা এবং ইউনিক কিছু শেয়ার করা সবার সাথে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার কাঁকড়া মাছ এবং পিঁপড়ের ডিজাইন কাটিং করে তৈরি করা। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছি, তবে কেমন হয়েছে জানিনা।
ফল কেটে কেটে দারুন কিছু জিনিস তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনি দেখছি ফোন কেটে কাঁকড়া মাছ এবং পিঁপড়ার ডিজাইন তৈরি করে ফেলেছেন। আপনার এই বুদ্ধি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আমার বুদ্ধি এখানে কিছু নেই ভাই। ইউটিউব দেখে যাবতীয় কার্যকলাপ শিখেছিলাম🤭
ফ্রুট কাটিং ডিজাইন প্রতিযোগিতা অংশ করেছেন আপনার জন্য অনেক শুভকামনা। আপনার ফ্রুট কাটিং ডিজাইন অনেক সুন্দর হয়েছে আপেল দিয়ে তৈরি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। তাছাড়া আঙ্গুর দিয়ে লাভ তৈরি করা আঙ্গুর দিয়ে পিঁপড়া তৈরি করা। শসা দিয়ে তৈরি গোলাপ ফুল দেখতে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে । সব মিলিয়ে আপনার ফ্রুট কাটিং ডিজাইন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
তৈরি করতে করতে এত রাগ হচ্ছিল যে রাগের মাথায় হাফ খেয়ে ফেলেছিলাম। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার ফ্রুট কার্ভিং সত্যি খুব ভালো লাগলো। ফ্রুট কাটিং, কাকড়া মাছ এবং পিঁপড়ের ডিজাইন অত্যন্ত অসাধারণ হয়েছে। আপনার ডিজাইন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে কাকড়া মাছ এবং পিঁপড়ের ডিজাইন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই উৎসাহ দেওয়ার জন্য। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
ফল কেটে বা ডিজাইন করে যে কত কিছু বানানো যায় সেটা আসলে আমার বাংলা ব্লগে প্রতিযোগিতার আয়োজন না করলে কিছুই বোঝা যেতো না, এক এক জন তাদের মেধা এবং শ্রম দিয়ে সুন্দর সুন্দর ফ্রুটস কাটিং ডিজাইন তৈরি করছে। আপনি অনেক সুন্দর করে একটি ফ্রুটস কাটিং ডিজাইন তৈরি করেছেন যেটা আসলেই চমৎকার হয়েছে। অসাধারণ হয়েছে আপনার উপস্থাপনা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর কতটা হয়েছে জানিনা ভাই। তবে আপনার মন্তব্য পড়ে মন ভরে গেলো।
ভাইয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুব ভাল লাগলো। আপনি বেশকিছু ফল কেটে দারুন কিছু ডিজাইন শেয়ার করলেন, খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি বিভিন্ন ফল কেটে কাঁকড়া,মাছ ও পিঁপড়ের আকৃতি করার চেষ্টা করেছেন,ভাল হয়েছে খুব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আসলে আগে কোনো দিন করিনি, যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছি।