সবাইকে জানাই শারদীয় দুর্গা উৎসবের প্রাণঢালা অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আপনারা সবাই জানেন যে দূর্গা পূজার মৌসুম চলছে। সুতরাং প্রচুর বাইরে ঘুরাঘুরি হচ্ছে। সকালে বেরিয়ে যাচ্ছি আর রাত আটটা নটার দিকে বাড়ি ফিরছি। গতকাল তো রাত বারোটার পর ঘরে ঢুকেছি। সুতরাং পোস্ট লেখাটা আমার কাছে বেশ চাপের এবং কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। এজন্যই আজকে ফটোগ্রাফি পোস্ট দিলাম এবং পোস্টটা মোটামুটি বেশ ছোটই হবে। তবে ফটোগ্রাফি পোস্ট করার নিয়ম নীতি মেনেই পোস্ট করছি। আজ শেয়ার করছি কিছু বুনোফুলের ফটোগ্রাফি, যেগুলো আজ সকালে আমাদের নতুন বাড়ির সামনের একটা খোলা জায়গা থেকে তুলেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

গতকাল সকালে বেরিয়েছিলাম আমাদের ওখানকার একটা বাজারে টুকটাক কেনাকাটা করার জন্য। যেহেতু বাজারটা সকাল ছয়টা নাগাদ খোলে এবং মোটামুটি আটটা নটার ভেতরেই সব কেনাকাটা হয়ে যায় বাজারের। যাইহোক কেনাকাটা করে আমাদের ওখানে একটা মাঠ রয়েছে এবং মাঠের পাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে একটা লেকের মত। লেকের পাশটা এত সুন্দর এবং সবসময় একটা ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে লেকের উপর দিয়ে।

ঘরে সারাদিন বন্ধ থাকার জন্য কেমন যেন একটা অস্বস্তি ফিল হয় সারাদিন। এজন্য চিন্তা করলাম যে লেকের পাড়ে গিয়ে কিছু সময় বসে বাতাস খাই। বেশ ভালই লাগছিল হঠাৎ করে লেকের পাড়ে, জঙ্গলের সাইডে বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে হলুদ ফুলে ছেয়ে থাকা একটা জঙ্গলের মত চোখে পড়ল।

জঙ্গলটা বেশ ঘন এবং বেশ কিছু গর্ত মতো ছিল জঙ্গলের ভিতরে। হতে পারে ইঁদুরের গর্ত অথবা সাপের গর্ত। এজন্য অনেকটা সাবধানতা অবলম্বন করে দূরে দূরে থেকে কিছু ফটো তুললাম। আসলে এই ফুলগুলো আমার এক সময় নাম জানা ছিল তবে এখন ঠিক মনে করতে পারছি না।এজন্য নাম না জানা ফুল বলে চালিয়ে দিলাম। যাইহোক ফটোগুলো তুলে অতি দ্রুত ওখান থেকে বেরিয়ে গেলাম। আমি জানি আজকের ব্লকটা একটু নরমাল হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু করার নেই। সময়ের স্বল্পতার কারণে এটা করতে হলো।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।