বান্ধবীর বাড়িতে স্পেশাল নেমন্তন্ন।। জুন -০১/০৬/২০২৩।।

☬নমস্কার সবাইকে☬

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

আজকের পোস্ট লেখার শুরুতেই একটা কথা বলে দিতে চাই সেটা হচ্ছে যে আজ তেমন বিশেষ সুন্দর কোন ফটোগ্রাফি দিয়ে পোস্ট করতে পারলাম না। কারণ অন্যের বাড়ি গিয়ে খাওয়ার সময় যদি ফটো তুলতে থাকি তাহলে ব্যাপারটা আসলেই দেখতে খুব খারাপ লাগে। এজন্য লুকিয়ে চুরিয়ে দু একটা ফটো তুলেছিলাম, তবে সেগুলো খুব বেশি একটা ভালো হয়নি। আশা করব আপনারা ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে পোস্ট পড়ার দিকে বেশি মনোযোগ দিবেন,ফটোর দিকে না। হা হা হা.... যাই হোক গত বছরে আমার এক বান্ধবী তার মা এবং তার ছোট ভাই এসেছিল আমাদের বাড়িতে। কারণ বান্ধবীর ছোট ভাইয়ের পরীক্ষা ছিল আর আমাদের এখান থেকে পরীক্ষার সেন্টার খুব কাছেই ছিল। এজন্য সে বলেছিল যে আমাদের এখানে কয়দিন থেকে পরীক্ষা দেওয়াবে তার ভাইয়ের। যদিও আমার তাতে কোন সমস্যা ছিল না, তাই তারা তিনজন এসে আমাদের বাড়িতে বেশ কিছুদিন ছিল। তবে যাওয়ার সময় বান্ধবীর মা বলেছিল যে তুমি একদিন অবশ্যই আমাদের বাড়ি আসবে। তবে আমি যে পরিমাণ ব্যস্ত মানুষ তাতে সেই সময় আসলে এক বছরের ভিতরও করে উঠতে পারেনি।

20230405_152256.jpg

তবে গত পরশুদিন বান্ধবীর অনেক রিকোয়েস্টের ফলে তাদের বাড়িতে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমাকে বলেছিল যে আমি কি কি খেতে পছন্দ করি। আসলে আমি তো অনেক কিছুই খেতে পছন্দ করি তবে সব লিস্ট যদি তাকে ধরিয়ে দিই তাহলে দেখা গেল রান্না করতে করতে পাগল হয়ে যাবে। এজন্য দুই একটা আইটেম বলে দিলাম যেটা আমি সচরাচর খেতে পারি না। খেতে পারি না বলতে আসলে খাওয়া হয় না আর কি। যাই হোক যথা সময়ে বান্ধবীর বাড়ি গিয়ে পৌছালাম গিয়ে দেখি এখনো তাদের রান্না বান্না চলছে। আমার সাধারণত অন্যের বাড়ি গিয়ে খেতে কেমন জানি একটু লজ্জা করে। সেজন্য যেতে ইচ্ছা করে না। যাইহোক আমাকে দেখে আন্টি অনেক বেশি খুশি হলো এবং বলল যে রুমে বসে রেস্ট করার জন্য। যাইহোক কি আর করা যাবে কিছু সময় বান্ধবীর সাথে বসে গল্প করলাম তারপর দেখলাম আন্টি খাবার দাবার গুছিয়ে নিয়ে রুমের ভিতর চলে এসেছে। অনেকগুলো আইটেমই রান্না করেছিল আন্টি। তবে তার ভিতরে মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি, হাঁসের মাংস ভুনা আর কি একটা সামুদ্রিক মাছ, খুব সম্ভবত রূপচাঁদা মাছ, এটাই ছিল খাবারের মেনু। আর পরবর্তীতে ছিল মিষ্টি, টক দই, কোল্ড ড্রিংকস।

20230405_152543.jpg

আমার একটা সমস্যা হলো লোকের বাড়ি গিয়ে আমি খুব বেশি একটা খেতে পারি না, তার উপর আবার যদি সামনের উপর এসে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে তো আরো সমস্যা। এজন্য বেশ খানিকটা কষ্ট হচ্ছিল খেতে। তারপর মোটামুটি ভালোমতোই খেয়েছি যতটা সম্ভব হয়। তবে সব থেকে বড় ব্যাপার ছিল যে খাবারের টেস্ট, যেটা অত্যন্ত সুন্দর ছিল এজন্য খাওয়ার ইচ্ছাটা আরো অনেক গুনে বেড়ে গেছিল। তবে একটা বিষয় জেনে খুব ভালো লাগছিল যে, তারা নাকি মোটেই হাঁস খুজে পাচ্ছিল না অনেক খোঁজাখুঁজির পরে আমার জন্য একটা হাঁস জোগাড় করতে পেরেছিল। ও আচ্ছা আর একটা আইটেম ছিল সেটা হচ্ছে ডাল, যেটা আমি একেবারেই খাইনি। তবে এই গরমের ভিতর খেয়ে দেয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, যেখানে খেয়েছিলাম সেখানেই আধা ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছিল উঠে অন্য জায়গায় যেতে পারিনি।

20230405_152621.jpg

সব মিলিয়ে আমি খাবারের রেটিং দশের মধ্যে নয় দিতে চাই। কারণ এত টেস্টি খাবার বাইরে খাওয়া সম্ভব নয় শুধুমাত্র ঘরে ছাড়া। যেহেতু আমাকে ভালবেসেই খাইয়েছে এজন্য টেস্ট কেন জানি না একটু বেশিই লাগছিল। এরপর আমরা সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বান্ধবীর বাবার সাথে কথা বলতে গেলাম, সেখানে বেশ কিছু সময় কথা বলে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম ঘোরাঘুরি করার জন্য। বান্ধবীর বাবাটাকে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। যদিও এটা তার সাথে প্রথমবার দেখা তবে প্রথম দেখাতেই লোকটার কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছিল বেশ রসিক। এজন্য মনে হচ্ছিল আরো কিছু সময় বসে উনার সাথে কথা বলি তবে এদিকে আমাকে আবার বেরোতে হবে তাই বান্ধবীকে নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সত্যি কথা বলতে খাওয়াটা খুব জবরদস্ত ছিল। এরকম নেমন্তন্ন মাঝেমধ্যে দুই একটা পেলে একেবারে মন্দ হয় না। হা হা হা...

20230401_140029.jpg

পোস্ট বিবরণ


শ্রেণীফুড রিভিউ।
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@rupaie22
লোকেশনসল্টলেক, কলকাতা।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🎯ধন্যবাদ সবাইকে🎯

Sort:  

This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on Twitter by the account josluds

@tipu curate

 last year 

খালি অন্যর বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে ভালোই লাগে,যেখানে নেমন্তন্ন সেখানে আপনি আপনাকে আবার জোর করা লাগে নাকি🤪🤪।বান্ধবী বাসার নেমন্তন্ন খেতে ভালো তো লাগবেই। যাই হোক মিষ্টি আর কাচ্চিগুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। একা একা খেলেন তো পেটে না জানি ঝামেলা হয়,সেই অপেক্ষায় থাকলাম।ধন্যবাদ

আমি যে সবার বাড়ি নেমন্তন্ন খেয়ে বেড়াই এটা আপনাকে কে বলেছে। হা হা হা... আমার বাড়ি তে প্রচুর বন্ধুবান্ধব আসে, তারা খেয়ে যায়, আর সেটাতে আমি অনেক বেশি খুশি হই। আপনিও আসতে পারেন কোন সমস্যা নেই।🤭

 last year 

আপনার বান্ধবীর বাড়ির নেমন্তন্ন পড়ে অনেক ভালো লাগল। তবে বেশি ভালো লেগেছে খাবারের মেনু দেখে ইস একটু যদি খেতে পারতাম। এমন বান্ধবী ঘরে ঘরে থাকা দরকার। যাইহোক খাবার অনেক সুস্বাদু ছিল জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আমার বন্ধুবান্ধবগুলো আসলেই খুব ভালো আপু, আর আমাকে অনেক বেশি পছন্দ করে। ঐদিনের খাবার গুলো আসলেই খুব টেস্টি ছিল, খুব তৃপ্তি করে খেয়েছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

বান্ধবীর বাসায় নেমন্তন্নে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। এমন বান্ধবী একজন থাকলেই হয়।খাবারের রিভিউ খুব ভালোই দিলেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।

আমার বন্ধুবান্ধবগুলো আসলেই খুব ভালো। তাদেরও আমি যেমন যত্ন করি, ভালোবাসি, তেমনি তারাও আমাকে অনেক পছন্দ করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

দাদা তোমার বান্ধবীদের বাড়িতে নেমন্তন্ন করে দেখছি খুব সুন্দর কিছু সুস্বাদু খাবার খেতে দিয়েছিল। রান্নার আইটেম গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল খাবারগুলো খেতে। আমার অন্যের বাড়িতে গিয়ে খেতে খুব লজ্জা করে, অন্যের বাড়িতে গিয়ে যতটা পরিমাণ খাওয়া হয় ,তার থেকে নিজের বাড়িতে একটু বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। তোমার জন্য অনেক কষ্ট করে খোঁজাখুঁজি করে হাঁস জোগাড় করেছিল, সেই ভালোবাসার জন্যই হয়তো রান্নার টেস্ট আরও অনেক গুন বেশি লেগেছিল। খাবার গুলো সত্যি অনেক লোভনীয়।

ঐ দিনের খাবার গুলো আসলেই অনেক টেস্টি ছিল। আমি তো অনেক তৃপ্তি করে খেয়েছিলাম। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট পড়ে এত সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ওরে ভাই আপনি তবু লুকিয়ে ছবি তুলতে পেরেছেন, আমি হলে তো ওটুকুও হতো না বোধ হয়। অনেক মানুষের সামনে ফোন বের করে ছবি তুলতেই কেমন একটা লজ্জা লাগে আমার। তবে খাওয়া তো পুরোই রাজভোগ হয়েছে 👌। খাসির সাথে আবার হাসও। দারুন আয়োজন এক কথায়। আমার অবশ্য শেষে মিষ্টি দেখে বেশি লোভ হলো আজ। আসলে আমি মিষ্টি বেশ পছন্দ করি। আর এমন নিমন্ত্রণ যে কতদিন হলো কপালে জোটে না !! সেদিক থেকে আপনি মশাই বেশ ভাগ্যবান। 😉

আমি আসলে এর আগে কোনদিনও এরকম ছবি তুলিনি। যেহেতু এখানে পোস্ট করতে হতো এজন্য ছবি তুলেছিলাম তাও অনেকটা লুকিয়ে যাতে কেউ টের না পায়। হা হা হা...

 last year 

আপনার মতো আমারও অন্য কারো বাসায় গিয়ে খেতে লজ্জা লাগে। আর খাওয়ার সময় কেউ সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে তো আরো অস্বস্তি লাগে খেতে। বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে তো বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ছোটবেলায় আসলে আমারও অন্যের বাড়িতে খেতে লজ্জা করত। তবে এখন এমন পরিস্থিতি হয়ে গেছে যে ইচ্ছা না থাকলেও লোকের বাড়ি গিয়ে মাঝেমধ্যে খেতে হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 89292.75
ETH 3408.90
USDT 1.00
SBD 3.00