কেমন আছেন সবাই আপনারা... ? আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন । প্রত্যেকে তার পরিবার নিয়ে সুখে আছেন।সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকের নতুন একটা ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজ থাকছে বৃষ্টি ভেজা অলকানন্দা ফুলের কিছু ফটোগ্রাফি। ইংরেজিতে এই ফুলকে 'Golden Trumpet' বা 'Yellow Bell' নামে ডাকা হয়। প্রধানত এই ফুল গাছের আদিভূমি ব্রাজিল। তবে বর্তমানে সব জায়গায় দেখা যায় কম বেশি। বাগানের সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়াও এই ফুলের গাছ ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। জানি অনেকেরই জানা ছিলনা এই ব্যাপারটা। যাইহোক বেশি কথা না বলে শুরু করা যাক আজকের পর্ব।

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে আমার সব ফটোগ্রাফির পোস্ট গুলো বৃষ্টি ভেজা কেন। তবে যারা পোস্ট না পড়ে কমেন্ট করে তাদের কথা বাদ দিলাম। আসলে যেদিন আমি ফটো তুলতে বের হই মোটামুটি এক মাসের ফটোগ্রাফি একসাথে তুলে নিয়ে বাড়ি আসি। আর ইকো পার্কে যেদিন ফটো তোলার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম, সেদিন এত বৃষ্টি ছিল বলে বোঝাতে পারবো না। সকাল থেকে প্রায় বিকেল চারটা অবধি একটানা বৃষ্টি হচ্ছিল। যদিও আমার আগের কিছু পর্বে আমি এই কথাগুলো উল্লেখ করেছি।

এটা কি ফুল এবং এর কিছু ব্যবহার বিধি আমি পোষ্টের প্রথমে উল্লেখ করেছি। সুতরাং ওই ব্যাপারটা স্কিপ করে কিভাবে ফটো তুললাম সেই ব্যাপারে দুই একটা কথা বলি। ইকো পার্কের দু'নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে ঠিক লেকের পাশে একটা সুন্দর বসার জায়গা রয়েছে। যদিও লেকের প্রত্যেকটা জায়গায় সুন্দর সুন্দর বসার জায়গা রয়েছে তবে এই জায়গাটা একটু স্পেশাল। কারণ এই বসার জায়গাটাই একমাত্র জায়গা, যার আশপাশ ঘিরে রয়েছে অসংখ্য প্রজাতির সিজনাল ফুল। তবে দুঃখের বিষয় হল যেহেতু প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল সুতরাং পুরো জায়গাটা কাদা কাদা হয়ে গিয়েছিল। তারপরও কাদা মাড়িয়ে চলে গেলাম ঠিক বসার জায়গায়। তবে আমার বন্ধুবান্ধব তো অন্যরকম ফাজিল, তারা বাড়ি থেকে যত খাবার দাবার এনেছিল ওখানে বসে খাওয়া আরম্ভ করে দিল। কিন্তু আমার তো রয়েছে ফটো তোলার নেশা আমি খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম কি করে সুন্দর ফটো তোলা যায়।

হঠাৎ করে বসার জায়গার ঠিক পাশেই এই ফুলগুলো আমার নজরে পড়ল। আসলে হলুদ রং তো তাই দূর থেকেও খুব সুন্দর স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল। ফুলগুলোর দিকে তাকাতেই মনে হল আমাকে ডাকছে ফটো তোলার জন্য। কাছে গিয়ে ফুলগুলো দেখে তো অবাক। মানে বৃষ্টিতে ভিজে এত সুন্দর লাগছিল ফুলগুলোকে সেটা তো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আমি এদিকে ফটো তুলতে ব্যস্ত, আর ওদিকে আমার বন্ধুরা খাবার খেতে ব্যস্ত। এতবার আমাকে ডাকছে তাও কেন জানি না কানে শুনতে পাচ্ছি না তাদের কথা। যাইহোক শেষমেশ ফটো তুলে ফিরতে ফিরতে দেখি ওদের টিফিন খাওয়া সব শেষ আমার জন্য শুধু এক পিস চিকেন পকোড়া আর দুই পিস লুচি রেখে তারা সব খেয়ে ফেলেছে।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।