তিনটে ভালো অভ্যাস, যা আপনার জীবনে সুখ-শান্তি আনতে সক্ষম।। নভেম্বর-০৭/১১/২০২২।।

আমরা বলতে গেলে জীবনে সবাই অখুশি। অর্থাৎ নিজের পজিশন নিয়ে অনেকে আমরা সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হতে পারি না। মনে হয় এরপরে কি আছে, তারপরে কি আছে, তারপরে আবার কি আছে.... এইগুলোর পিছনে অনেক সাইকোলজিকাল ব্যাপার কাজ করে। কিন্তু সেসব বিষয় নিয়ে আমি আজকে আলোচনা করব না। তবে তিনটা বিষয় আপনাদের সামনে আজ তুলে ধরব, যেগুলো একটু হলেও আপনার মনকে প্রশান্তি দেবে এবং সুস্থভাবে কিছুটা হলেও জীবন যাপন করা সম্ভব। চলেন তাহলে আর বেশি কথা না বলে, আজকের মেইন টপিক্স এ ফিরে আসা যাক।

সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা, সুস্থ এবং মন ফ্রেশ রাখার সবথেকে উত্তম উপায়। খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ুন, সেটা হতে পারে ভোর পাঁচটা বা ছয়টা। তারপর বেরিয়ে পড়ুন হাটাহাটি করতে, কখনো বা ফাঁকা মাঠে, কখনো সমুদ্র সৈকতে, অথবা গ্রামের মেঠো পথ ধরে। মোটকথা সকাল বেলায় ঘর থেকে বের হওয়া নিয়ে কথা। ঘরে থাকতে থাকতে আমাদের এমন একটা অভ্যাস হয়ে যায় যে, আমাদের এনার্জিগুলোও একটা নির্দিষ্ট রুমের ভিতরে স্টোর হয়ে যায়। যেহেতু আমরা একটা পরিবার একসাথে একই ঘরে বসবাস করি, সেক্ষেত্রে একজনের এনার্জি আরেকজনের সাথে অ্যাসেম্বলেট হয়ে যায়। এতে করে কি হয়, অনেক বেশি absorption হয়ে যায়।আর সকাল বেলা বাইরে বেরোনোর সবথেকে প্রধান যে কারণ সেটা হচ্ছে ক্লাস্ট্রোফোবিয়া কম হয়ে যায়। তাছাড়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরোলে আমাদের শরীরের খুব ইম্পর্টেন্ট একটা ভিটামিন সেটা হলে ভিটামিন "ও" প্রবেশ করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরোনো কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

রাতে ঘুমানোর আগে হালকা ঠান্ডা জলে স্নান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে কি হয় আমরা যখন ঠান্ডা জলে স্নান করি তখন আমাদের শরীর থেকে নেগেটিভ এনার্জি গুলো বেরিয়ে যায়। এখনকার যুগে এই ব্যাপারগুলো তো একেবারেই দেখা যায় না। তবে কিছুকাল আগের কথা বলছি, যখন আমাদের দাদু ঠাকুরমারা বাইরে থেকে আসতো তখন তাদের প্রথম কাজ হতো ঠান্ডা জলে স্নান করা এবং তারপর পুজো অর্চনা করা, তারপর ঘুমাতে যাওয়া। কারন আমরা যখন বাইরে যাই তখন প্রচুর পরিমাণে এনার্জি এক্সচেঞ্জ হয় আমাদের শরীরে। এতে করে কিছু নেগেটিভ এনার্জি এবং নানা ধরনের টক্সিক আমাদের শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে। বাড়ি ঢুকেই ঠান্ডা জল স্নান করলে সেই নেগেটিভ এনার্জি এবং টক্সিক গুলো ঠান্ডা জলের সাথে আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে করে মন অনেকটাই হালকা হয় এবং শরীর ভালো থাকে।

এখনকার সময় আমাদের ভিতরে এত stress এত anxiety কেনো বলেন তো...? এর কারণ আমাদের কাছে এমন কেউ নেই, যার সাথে মন খুলে কথা বলা যেতে পারে। দিন দিন আমরা সবাই কেমন জানি একা একা হয়ে যাচ্ছি। আমাদের নিজেদের মনের কথা যে একজন বিশ্বস্ত মানুষের সাথে শেয়ার করব, সেরকম কেউ নেই আজকাল। সত্যি কথা বলতে আমাদের মুখের সামনে একটা বড় মাস্ক দিয়ে রেখেছি আমরা।তাই আমরা চাইলেও সত্যি কথা বলতে পারি না অথবা চাইলেও honest হতে পারি না। সুতরাং আপনার সাথে যদি কথা বলার মত এমন কেউ থাকে, যার সাথে আপনি আপনার মনের সব কথা শেয়ার করতে পারবেন, তাহলে তার সাথে মন খুলে কথা বলুন। এতে করে আপনার স্ট্রেস অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। কারণ stress is also just clotted emotions, তাই ছাড়া আর কিছু না। এবার যদি আপনার সাথে নিতান্তই কোন কথা বলার লোক না থাকে, তাহলে একটা ডাইরি বানিয়ে নিন, সেখানে নিজের মনের কথা লিখুন। তারপর সেটা কোন গোপন জায়গায় লুকিয়ে রাখতে পারেন অথবা ছিড়ে ফেলতে পারেন, কিংবা পুড়িয়ে ফেলতে পারেন। কারণ এর ভিতরে আমাদের unfiltered ইমোশন জড়িয়ে থাকে।

মোটামুটি যতটা পেরেছি নিজের মতো করে লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি একটু হলেও আপনাদের কাজে লাগবে আমার আজকের কথাগুলো।যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।