হঠাৎ কলকাতা ।। পর্ব :২ ।। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এয়ারপোর্ট থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়া
নমষ্কার,,
প্রথম পর্বের পর থেকে শুরু করছি।। আকাশে যখন উড়ছিলাম সেটা নিয়ে আগেই একটা পোস্ট করেছিলাম। আমি আসলে ঠিক বোঝাতে পারবো না ওই অনুভূতি টুকু। যদিও এর আগেও আমি প্লেনে চড়ে চেন্নাই গিয়েছি। কিন্তু সেই বারের ফিল আর এই বারের টা পুরোপুরি ভিন্ন ছিল। প্রথম বার বেশ ভয় ভয় করছিল। আর এবার তো মজা করেছি আর চারপাশে যা হচ্ছিল সেটা অনুভব করার চেষ্টা করেছি। ঢাকা থেকে কলকাতা খুব অল্প সময় লাগে যেতে। ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট। দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়।
এর মাঝে নাস্তার প্যাকেট দিয়ে যায়। বার্গার, কেক, চকোলেট, জুস আর জলের বোতল। আমি অবশ্য ব্যাগে রেখে দিলাম সব কিছু। কারণ একটু আগেই খেয়ে প্লেনে উঠেছি। ওটুকু সময়ের মাঝে আর খাবই বা কি। পরে অবশ্য আমি আর আমার বন্ধু মিলে দুপুরে যখন খেলাম এই নাস্তা গুলো দারুন মজা লাগলো। বিশেষ করে বার্গার টা ফাটাফাটি ছিল।
যাই হোক প্লেন ভালো ভাবে ল্যান্ড করলো। ল্যান্ড করার কিছু সময়ের মাঝেই দেখি আমার ফোনে নেটওয়ার্ক চলে আসছে। সিমটা রোমিং করে নিয়ে গিয়েছিলাম। আর তোফায়েল ভাইয়ের কাছে ইন্ডিয়ান সিম ছিলই। ওনার থেকে হটস্পট নিয়ে বাকি কাজ সারলাম। দেখি ফোনে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে ভরা। আমি ঠিক মত ল্যান্ড করেছি কিনা এটা জানার জন্য সব বন্ধু, ছোট বোন , বড় ভাই ম্যাসেজ করেছে। আমি সাথে সাথে জানিয়ে দিলাম সবাই কে।
তারপর হেঁটে ইমিগ্রেশনের দিকে এগোতে থাকলাম। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এয়ারপোর্ট টা আমার মোটামুটি চেনা। আগেও এসেছি। তবু তোফায়েল ভাইয়ের পেছন পেছন হেঁটে এগোতে লাগলাম। সব কাজ খুব দ্রুত হয়ে গেল। আসলে কলকাতা এয়ারপোর্টটা ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে অনেক ফাঁকা। আর বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কোন ঝামেলা ছাড়াই ইমিগ্রেশন এর কাজ শেষ হলো। আমার কাঁধ ব্যাগ ছাড়া আর তেমন কিছু ছিল না সাথে। তাই লাগেজ এর জন্য ওয়েট করার দরকার ছিল না। কিন্তু তোফায়েল ভায়ের তিনটা ব্যাগ ছিল। এত উপকার করেছেন মানুষটা ওনাকে ছেড়ে তো আর যেতে পারি না। আমি অনেকক্ষণ দাড়িয়ে ছিলাম। এদিকে আমাকে নিতে এয়ারপোর্ট এসে অপেক্ষা করছিল আমার বন্ধু। সে বার বার ফোন করেই যাচ্ছে। আমি যেন লেট না করি আর । কি আর করা। তোফায়েল ভাই অন্য দিকে আরো কিছু কাজ সারতে নিলেন। আমি তখন ওনাকে বলে বেড়িয়ে আসলাম।
এয়ারপোর্ট থেকে বেরোতেই দেখি অনেক চেনা সেই মুখ। ঠিক সামনে দাড়িয়ে। কিছু কথা হলো। খুব চেনা দুজন কিন্তু সামনে দাড়িয়ে যেন বড্ড অচেনা। আমি নাকি খুব শুকিয়ে গেছি প্রথম দেখতেই এই কথা বললো। বেশ কয়েক বছর পর দেখা আমাদের। মাঝে অনেক কিছু ঘটে গেছে। অনেক নিয়ম মেনে হয়তো কথা বলছিলাম দুজনই। মনের কথা গুলো দুজনারই মনেই থেকে যাচ্ছিল। একটা ক্যাব বুক করে চলে গেলাম আমার হোটেলের দিকে। আগে থেকেই বুক করা ছিল। এর মাঝে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আসলে আমি যখনই কলকাতা যাই, অথবা ফিরে আসি সেই সময় বৃষ্টি হবেই। জানিনা কিভাবে এটা সম্ভব। তো বাকি কথা কাল কের জন্য তুলে রাখলাম। আজ এখানেই শেষ করছি।
আমি প্লেনে উঠি নি,তাই কোন অনুভূতি নাই।যাই হোক প্লেন জার্নি বেশ ভালো ছিলো আপনার।এর আগেও ছবিগুলো দেখেছি।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
খুব তাড়াতাড়িই এমন একটা অভিজ্ঞতা হবে আশা করি আপু। অনেক ভালো থাকবেন।
আপনি কলকাতায় গিয়েছেন সেজন্য হয়তো বৃষ্টি আপনাকে স্বাগত জানিয়েছে। আর কলকাতা ছেড়ে চলে এসেছেন তাই বৃষ্টি আপনাকে বিদায় জানিয়েছে। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনার ভ্রমণের গল্প পড়ে ভালো লাগলো। এরপর কি হলো এই কথাগুলো জানার আগ্রহ বেড়ে গেল। আসলে আমরা যারা একসাথে কাজ করি তারা সবার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং সবার খারাপ সময়গুলোতে পাশে থেকে সাপোর্ট করার চেষ্টা করি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে ভাই পরের গল্প গুলো লিখতে নিয়ে আটকে যাচ্ছি বার বার। অনেক কিছু চাইলেও লেখা যায় না । এভাবে আপনাদেরকে যে পাশে পেয়েছি আমার জন্য অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। ভালো থাকবেন ভাই।
একটা কথা শুনে তো অবাক হলাম আপনি যখনই প্লেনে চড়ে তখনই বৃষ্টি হয়। এটা কিভাবে সম্ভব। ট্রেন জার্নি টা বেশ ভালোই হয়েছে। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো পড়েও বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত করেছেন।
খুব ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ।
হুম বুঝলাম। কোলকাতা ভাল ভাবে গিয়েছো জেনে আনন্দিত হলাম। ঝুম বৃষ্টি হওয়ার একটা কারন আছে সেটা আমি জানি কিন্তু বলবো না। হা হা। তোফায়েল ভাই কেও শুভেচ্ছা যে উনি তোমাকে ওয়াইফাই শেয়ার করেছেন। । যা হোক কোলকাতার দিন গুলো ভাল মত কাটুক এটাই কামনা করছি। ভাল থেকো ভাই।
কলকাতার হিসেব চুকিয়ে চলে এসেছি দাদা। এবার নিজের জন্য সময় দেওয়ার পালা। প্রণাম রইলো।
হিসেব চুকিয়ে চলে এসেছো কথাটার গভীরতা আছে কিন্তু ভাই। চিন্তায় পড়লাম।
জীবনের প্রায় অর্ধেকটাই চলে গেছে। এখনো প্লেনে ওঠার সৌভাগ্য হয়নি। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো পড়লাম। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত বলতে পারেন। পাসপোর্টের মেয়াদ ও প্রায় শেষের দিকে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই ঘুরতে যাব একবার। যাই হোক মনে হচ্ছে বৃষ্টির সঙ্গে আপনার ভালোই সম্পর্ক হাহাহাহা।
বেশ মজা করে কথা বলেছেন ভাই। খুব তাড়াতড়ি আপনার ইচ্ছে পূরণ হোক। আর বৃষ্টির সাথে সত্যি সত্যিই আমার বেশ একটা সম্পর্ক আছে 😉
প্লেনে ওঠার অভিজ্ঞতা এখনো হয়ে ওঠেনি। আপনার প্লেনে ওঠার অভিজ্ঞতা টি পড়ে খুব ভালো লাগলো। দোয়া করবেন খুব শীঘ্রই যেন প্লেনে ওঠার সৌভাগ্য হয়। আপনার সাথে বৃষ্টি সব সময় থাকবে, হাহাহা। রহস্যজনক লেখা।
খুব তাড়াতড়ি আপনার মনের ইচ্ছে পূরণ হোক ভাই। আমি নিজে অনেক রহস্যের মধ্যে দিয়ে বিচরণ করে ফিরে এসেছি। আর সেজন্যই হয়তো লেখার ভেতরে এত রহস্য লুকিয়ে আছে। হিহিহিহি। ভালো থাকবেন ভাই।