হঠাৎ কলকাতা ।। পর্ব: ১- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
আমাদের জীবনে কখন কি হয়ে যায় আমরা কেউ জানি না। ভাবছি একটা হচ্ছে আরেকটা। যে কোন মুহুর্তে যে কোন কিছু হয়ে যেতে পারে। আমার সাথেও এমন ঘটনা গুলোই প্রতিনিয়তই ঘটে যাচ্ছে। এই যেমন হঠাৎ করেই ইন্ডিয়া চলে আসা। একদিন আগেও আমার জানা ছিল না যে আমি এমন ভাবে আসবো। কয়েকদিন ব্যস্ততার জন্য পোস্ট করা হয়নি। আজ থেকে আবার নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রথমে বলব, আমি ভীষণ ভাগ্যবান একটা ছেলে। আমার চারপাশে এমন কিছু মানুষ পেয়েছি যারা সব সময় বিপদের কথা শুনলে ছুটে চলে আসে হাজারো সমস্যা উপেক্ষা করে। বন্ধু, ছোট ভাই, বড় ভাই সবাই। এই মানুষগুলো ছাড়া এতদিনে হয়তো আমি হারিয়ে যেতাম। আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যরা তো সবসময় পাশে আছে।
শারীরিক এবং মানসিক নানান সমস্যার কারণে আমাকে কোথাও একা যেতে দিচ্ছিল না কেউ। এয়ারপোর্টেও আমাকে একা ছেড়ে দেয়নি। রাজিব অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ভোরবেলা উঠে চলে এসেছে আমার জন্য। এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে তারপর অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আমার ফ্লাইট ছিল সকাল দশটা দশ মিনিটে। জ্যামে সময় যেন নষ্ট না হয় তাই সকাল সকাল রওনা দিয়েছিলাম। আমি যখন এয়ারপোর্টে ঢুকে যাই ইউএস-বাংলার কাউন্টার টা খুঁজতে থাকি। মজার ব্যাপার প্রথমে গিয়ে যে মানুষটাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, উনি আমাকে সাথে সাথে বললেন তিনি নিজেও কলকাতা যাবেন ওই একই ফ্লাইটে। আর তিনি সপ্তাহে দু-তিনবার এমন যাতায়াত করেন। লোকটার নাম তোফায়েল আহমেদ। আমার জন্য এক দিক দিয়ে বেশ ভালোই হলো। তো টিকিট দিতে চল্লিশ মিনিটের মত সময় বাকি ছিল। আমরা দুজন মিলে তখন পাশে বসে অপেক্ষা করতে থাকলাম। নানান গল্প হচ্ছিল। তারপর সময় হয়ে গেলে টিকিট নিয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য চলে গেলাম।
সব কাজ শেষ হয়ে গেলে হাতে দুই ঘণ্টার মত সময় ছিল। তোফায়েল ভাই জোর করে আমাকে লাউঞ্জে ব্রেকফাস্ট করাতে নিয়ে গেলেন। দারুন একটা অভিজ্ঞতা ছিল সেটা আমার জন্য। চমৎকার পরিবেশ। ঘন্টা খানেক সময় সেখানে অতিবাহিত করলাম দুইজন। বেশ ভালো লাগছিলো বসে থাকতে।
আর তারপর নির্ধারিত জায়গায় বসে প্লেনে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। প্লেন গুলো যখন উড়ে যায় দূর আকাশে দারুন লাগছিল ওই মুহূর্তগুলো দেখতে। আবার যখন ল্যান্ড করে সেটাও বেশ উপভোগ করার মত। যাই হোক আমি আপনাদের সকলের আশীর্বাদে ভালো ভাবেই কলকাতা পৌঁছে যাই। বাকি কথা নিয়ে আবার পরের দিন হাজির হব। সকলে ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
আহারে কি ভাগ্যবান।যে মানুষ টা খালি দাওয়াত দাওয়াত করে,হঠাৎ অপরিচিতি মানুষ নিয়ে লাঞ্চ খাওয়াই😉😉।ভালো ছিলো জার্নিটা।ধন্যবাদ
আসলেই ভাগ্যবান লাগছে নিজেকে আপু। ঈশ্বর অনেক বড় একটা বেঈমানের হাত থেকে রক্ষা করেছে। পাশে থাকবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ।
বলতেই হবে আপনি ভাগ্যবান, যে আপনার পাশে সব সময় কিছু ভাল মানুষ পেয়েছেন। এমনকি এয়ারপোর্টে তোফায়েল ভাইয়ের মতো একজন লোক কেউ পেয়ে গেলেন। এটা আপনার সৌভাগ্যেরই উদাহরণ। যাই হোক হঠাৎ কলকাতা কিজন্য গেলেন কি কি করলেন আশা করি পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো। শুভকামনা রইল
জানেন তো ভাই, সব কিছু লিখে যদি সবার কাছে তুলে ধরতে পারতাম,, অনেক মানুষের মুখোশ উন্মোচন করতে পারতাম। কিন্তু অসহায় আমি,, সবাই ভালো থাকুক।
ভাইয়া আপনি কোন বিশেষ প্রয়োজনে কলকাতায় দিয়েছেন জানি না তবে আপনি নিশ্চয়ই কোন দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন এটা বুঝতে পারছি। কারন বেশ কিছুদিন থেকেই খেয়াল করছি আপনার মন ভালো নেই। তবে যাই হোক প্লেনে কখনো ওঠা হয়নি আমার। আজকে আপনার কাছে প্লেনে ওঠার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
ভাই একদম ঠিক বলেছেন। জানিনা কিভাবে বুঝে ফেলেছেন। তবে ঠিক ধরেছেন। এবার সব চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে চাই। পাশে থাকবেন ভাই। ভালোবাসা রইলো।
সত্যিই মনে হচ্ছে আপনার ভাগ্যটা ভীষণ ভালো। আপনার চারপাশের মানুষগুলো আপনার এত খেয়াল রাখে যেন ভালো লাগলো। তাছাড়া হঠাৎ করে কলকাতায় চলে গেলে বিষয়টি কিন্তু সত্যিই দুর্দান্ত লাগলো। তাছাড়া বিমানবন্দরের থেকে শুরু করে প্লেনে ওঠার পর্যন্ত যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জানিনা কতটা ভালো, তবে কিছু তো ভালো হয়েছে এবারের কলকাতা যাওয়া। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
যাত্রা শুভ হোক। তবে হটাৎ কোলকাতা কিছুটা রহস্যজনক । হি হি । সময় ভাল কাটুক কোলকাতায় এই প্রার্থনা করি। ভাল থাকবে ভাই । তবে হ্যা যাত্রা পথে যদি এমন লোক পাওয়া যায় যে একটি পথের পথিক তবে বেশ সাহস পাওয়া যায় মনে। ধন্যবাদ।
সত্যি রহস্যজনক দাদা। কত খানি বুকের দম নিয়ে যে গিয়েছিলাম সেটা আমিই জানি শুধু। প্রণাম রইলো দাদা। এভাবেই পাশে থাকবেন।
যাক ভালোই ভালোই কলকাতা পৌছে গেছেন শুনে ভাল লাগল। আবার ফিরবেন কবে আমাদের এই বাংলায়?? বাকি কথা শুনার অপেক্ষায় রইলাম ভাই। ভালবাসা নিবেন।
আমি ফিরে এসেছি,, আসলে ব্যস্ততার জন্য পোস্ট করা হয় নি। এখন করছি তাই ভাই। তেমন কোন কথায় আসলে শেয়ার করার মত নেই। শুধু যাওয়া আর আসা।
আপনার কলকাতা যাত্রা সফল হোক এবং আপনি যে উদ্দেশ্যে গেছেন তা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তা দোয়া করি ভাই ।আপনার প্লেনে যাত্রার অভিজ্ঞতা আপনি এতো সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যে পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।আপনার জন্য দোয়া থাকলো
অনেক বড় একটা শিক্ষা নিয়ে ফিরে এসেছি ভাই। এর বেশি কিছু হয়তো বলতে পারবো না। ভালো থাকবেন।
এক জায়গা থেকে প্রতারিত হয়ে বারবার ভেঙে পড়ছেন। আর এই জায়গাগুলো কেন দেখছেন না? এই যে আপনার পাশের আপনার বন্ধুগুলো, আপনার পরিবারের মানুষগুলো এরা আপনাকে কত ভালোবাসে তা কেন দুঃখের সময় ভাবছেন না?
তোফায়েল ভাইকে ধন্যবাদ আপনাকে জোর করে নাস্তা করিয়ে দেওয়ার জন্য। তা না হলে তো না খেয়েই থাকতেন। ভালোভাবে পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো।
আমার আশে পাশের মানুষ গুলোর জন্যই এত কিছুর পরেও মুখে হাসি নিয়ে আসি আপু। নিজেকে নতুন করে গড়তে হবে । দেখা যাক কত দুর কি হয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ। পাশেই থাকবেন।