আমার নীড়ে ফেরা
নমস্কার,,
শেষবার যখন ঢাকা এসেছিলাম তখন বাড়িতে বলেছিলাম তিন চার দিনের মাঝেই ফিরব। ডেঙ্গু থেকে তখন সবে সুস্থ হয়েছি। পরে তো এটা সেটা করতে করতে ১৬,১৭ দিন পার করে ফেললাম। মা বাবা ফোন করেই বলে বাড়ি আসবো কবে। মোটামুটি চার পাঁচ দিন আগে থেকেই একটা প্ল্যান করে রেখেছিলাম যে আজ মঙ্গলবার বাড়ি যাব।
আসলে মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আমি থাকলে মা একটু ভরসা পায় বেশি। চোখের সমস্যার জন্য তো ঠিকঠাক চলাফেরা করতে পারে না। আমি আবার বাইরে বের হলেই মাকে একদম জড়িয়ে ধরে সব দিকে নিয়ে যাই। তাই কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য আমাকেই সাথে নেবে বেশি।
কথা ছিল সকাল সকাল রওনা দেব। কিন্তু অলস ছেলেটা কি আর সকাল সকাল বলে কিছু বোঝে 😉!!! বাবা ঠিকই জানে আমার সকাল সকাল মানেই দুপুর দুইটার পর 😀। তাই আর ফোন করে নি সকাল থেকে। একদম দুইটা পার হলে তবেই ফোন করেছে। হিহিহিহি। আর সত্যি বলতে আমি দেড়টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। রিক্সা নিয়ে কল্যাণপুর আসতেই দেখি বিশাল জ্যাম। কোন মতেই মেইন রোডে উঠতে পারলাম না। অবশেষে বাকি পথটা পায়ে হেঁটে কল্যাণপুর বাস কাউন্টারে চলে গেলাম। আর আড়াইটার গাড়িতে একটা টিকিট করে ফেলি বগুড়া আসার জন্য।
বাস তো একদম যথারীতি সময় মত রওনা দিয়ে দিল। আজকে একফোঁটা জ্যাম পেলাম না রাস্তায়। আমি তো একদম অবাক। বাস টাও দেখি বেশ মনের খুশিতে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ড্রাইভার। দুই ঘণ্টার মাঝে যমুনা ব্রীজ টপকে গেলাম। আমি তো নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যেন।
পুরো রাস্তা আজ নানান রিয়ালিটি শো এর গান শুনতে শুনতে এসেছি। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান আইডল, আর জি টিভির একটা গানের শো এর। অনেকেই বাসে উঠেই ঘুমিয়ে যায়। আমার দিন কিংবা রাত কখনোই ঘুম পায় না বাসে। আজ তো গরম টাও ছিল না। বেশ মজা করে ফোন চালাতে চালাতে হঠাৎ দেখি ফুড ভিলেজে পৌঁছে গিয়েছি। সেখানে ফ্রেশ হয়ে কফি খেয়ে আবার রওনা দিলাম। আর তারপর তো অল্প সময়ের মাঝেই পৌঁছে গেলাম।
সাধারনত আমি দিনের বেলা লং জার্নি খুবই কম করি। বিকালের দিকে রওনা দেই যেন রাতের ভাগে পরি। তবে আজ বেশ ভালো লেগেছে। ছোট দিনের বেলা। আর উত্তরের দিকে যত আসছিলাম তত যেন শীতের আমেজ টা বুঝতে পারছিলাম। গোধূলি লগ্নে বাসে বসে নিরন্তর ছুটে চলতে মন্দ লাগছিল না একদম। চার পাঁচটা দিন এখন মায়ের আদর আর বকা খেয়েই কাটিয়ে দেই। আর শীতের সাথেও এবছরের প্রথম আলিঙ্গন টা করেই নেই 😊।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/7) Get profit votes with @tipU :)
ছেলে থাকলে মা বাবার সাহস অনেক থাকে, মনে হয় তার সব আছে। আর আপনি ছেলে মানুষ হয়ে যে এতো আলসেমি করেন জানা ছিল না। সকাল বলে দুপুর ২ টা বাজে -হা হা হা।জ্যাম না থাকায় অনেক তারাতাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগল তবে তারাতাড়ি পৌঁছানের জন্য গান কম শোনা হয়েছে। আপনার মায়ের চোখ ভালো হোক সেই দোয়া করি। ধন্যবাদ
হাহাহাহা বেশ মজা করে মন্তব্য করেছেন দেখি আপু। খুব ভালো লাগলো সত্যি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন সব সময় আপু। অনেক ভালো থাকবেন।
মা ঠিকই ভরসা পায়, ছেলেকে নিয়ে বাহিরে যেতে, কিন্তু আমরা পোস্ট করে আতংকে থাকি এই বুঝি আপনি ভুল বের করে ছাড়বেন।হা হা এবার তো আমি ও পেয়েই গিয়েছি😂😂
একটু দেখে নিয়েন🤣।
এই একটা আপনার জন্যই রাখছিলাম, আমি জানি আপনি আজ খুঁজতে আসবেন 😂। খালি হাতে কি আর ফেরত পাঠানো যায় নাকি 😉। এত দিনের ক্ষোভ জমে আছে আমার ওপর, একটু তো সুযোগ দিতে হবে 😂
এই তো ভুল ধরেছে🤣🤣🤣🤣🤣
দাদা একটা কথা বলে পাখি কোথায় যায় যাক ৷ পাখি আবার নিড়ে ফিরবে ৷ ঠিক যেমনটা আপনি আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ৷আসলে একটা সুন্দর পরিবার ছেড়ে কখনো কোথাও মন বসে না ৷ আর বিশেষ করে মায়ের কিছু আবল তাবোল কথা শুনতেই ভালো লাগে ৷
যা হোক আপনি ভালো ভাবে ফিরছেন এটাই বড় ৷আর অলসতা ছেলে টা অনেক ভালো বাবা মায়ের কাছে ৷ হিহি হিহি
কাকি মাকে দেখে রেখো কেমন ৷
হ্যাঁ ভাই, যতটা পারি মায়ের দিকে খেয়াল রাখি। আর এই পরিবারই সব আমাদের। পরিবার ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে একদম। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সকালে বেলুনের কথা কিন্তু আপনি বের হয়েছেন দুইটার সময়। পরে বুঝতে পারলাম এবারে আপনি খুব আরামের সাথে জার্নিটা করেছেন। আর হ্যাঁ চোখের সমস্যা হলে আসলে চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা হয়। যাই হোক আপনার এবং আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার আম্মু আমার ভাইয়ের সাথে কোথাও বের হতে সাহস পায়। এটা আসলে এ
সব বাবা-মাই ছেলেদের উপর একটু ভরসা বেশি করে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমার কাছেও রাতের জার্নিটা ভালো লাগে। কিন্তু রাতের জার্নিটা আমার কাছে একটু ভয়ও লাগে।
ভাইয়া একটু উঁকি মেরে আসবেন 😂😂
আজকে সবাই আমাকে উকি দিয়েই ছাড়লো দেখি। হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
ভাইয়া আপনি সবসময় আমাদের কে উকি ঝুঁকি দিয়ে দেখে আসেন।আমরা যদি একটু কর্তব্য পালন না করি তাহলে তো হয় না। ঋণ পরিশধ করা দরকার😂😂🤪🤪
হিহিহিহি,, এই উকি ঝুঁকি থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে তো উকি ঝুঁকি দেওয়াই ভালো 😅
কোন সন্তানেরা একটু ছটরফটর আর কোন সন্তানেরা একটু অলস টাইপের বাবা মায়েরা খুব ভালো বুঝেন।মা-বাবারা সন্তানদের সাথে কোথাও বের হতে খুব বেশি ভরসা পান।আন্টির ভাগ্য অনেক ভালো আপনার মত একজন কেয়ারিং সন্তান পেয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোট বেলা থেকে এত আদরের সাথে রেখেছে মা , তাই মায়ের কিছু হলে যেন মাথা কাজ করে না একদম। দোয়া করবেন আপু আমার মায়ের জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ছেলেমেয়ে কাছে থাকলে বাবা মায়ের ডাক্তার দেখাতে কোনো সমস্যাই হয়না। আমার ছোট ভাইকেও দেখি যখন মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় তখন অনেক সাবধানে হাত ধরে নিয়ে যায়। আপনার গন্তব্য এখন বাড়িতে জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু আপনার বাড়ি উত্তরাঞ্চলে তারজন্য শীতের আমেজ একটু বেশিই বোঝতে পারবেন। এখন কয়েকদিন মনে হচ্ছে তাহলে আপনার খুব ভালো সময় পার হবে। আমিও যখন জার্নি করি তখন রাতের বেলাতেই করি। তবে কিছু দিন যাবৎ দিনের বেলা করা হচ্ছে। রাতের বেলা জার্নির মজাই আলাদা। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন।
বাহ্ পুরো লেখাটা এত সুন্দর করে পড়ে তারপর গুছিয়ে এত চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন আপু। সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। এভাবেই পাশে থাকবেন সবসময়। অনেক ধন্যবাদ আপু।
তাও তো আপনার বাবা বুঝেছে যে ছেলে দেরি করে ঘুম থেকে উঠে, তাই ডিস্টার্ব করেনি। আমার বাবা তো প্রতিদিন সকাল ৭ টায় কল দেয় রে ভাই।😭 জীবনটা বেদনা। তবে আমি কিন্তু রাতের থেকে দিনের বেলা জার্নি করতে খুব পছন্দ করি, এতে করে প্রকৃতিটা এবং আশপাশটা খুব সুন্দর করে অবজার্ভ করা যায়।
ওরে ভাই এটা শুধু বাড়ি আসার দিন 😅,, এমনি দিন সকাল সকাল ফোন দেয় রোজ। এই দুঃখের কথা কি আর বলি। হ্যাঁ আশেপাশের দৃশ্য গুলো দেখতে চাইলে অবশ্যই দিনে জার্নি ভালো।