গত মাসের এপ্রিলের ১৮ তারিখ।। বিষন্নতায় মম ইনে কিছু সময়
নমষ্কার,
এপ্রিলের ১৮ তারিখের কথা। সময় টা খুব বাজে যাচ্ছে। কোন কাজে শান্তি নেই। ভীষণ যন্ত্রণা তে প্রতিটা মুহূর্ত ভুগে চলেছি। একটা ফোটা শান্তির নিঃশ্বাস চাইছি বার বার। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসেছি আগের রাতেই। থাকতে পারছিলাম না বাড়িতে। দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।
তো যাই হোক সকাল বেলা বেড়িয়ে পরলাম। এক ছোট ভাইকে ভোর পাঁচ টায় ফোন দিয়ে বললাম চলে আয়। আমাকে জানিয়ে দিল, আমি যেন ফ্রেশ হয়ে নেই। ওর আসতে এক ঘন্টা সময় লাগবে। বেডে শুয়ে কিছুটা এদিক ওদিক ছট্ফট্ করলাম। তারপর উঠে ফ্রেশ হলাম।
ছোট ভাই আসলো বাইক নিয়ে। আমাকে নিয়ে বেরিয়ে গেল। কোথায় যাচ্ছি কোন ঠিক নেই। ফাঁকা রাস্তায় আপন মনে ছুটে চলেছি। বাইরে চা খেলাম। মাঝে মাঝে ফাঁকা জায়গায় দাড়িয়ে দুই ভাই মনের কথা গুলো ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। অনেকটা হালকা লাগছে।
নিরিবিলি তে অনেক সময় কাটানোর পর তখন বাজে সকাল এগারো টা। ছোট ভাই বললো দাদা চলেন মম ইন থেকে ঘুরে আসি। আমি বললাম মুড তো ভালো নেই ভাই। আর এত সকাল সকাল ভালো লাগবে না গিয়ে। বলল, এমনি চলুন। ভেতরের। পরিবেশ টা দেখে আসি। ভালো লাগবে। আসলে আমিও ভাবলাম আগে তো যাই নি আমি তাই একটু উকি দিয়েই যাই।
ওখানে অবশ্য অন্য একটা কাজও আমি সেরে নিয়েছিলাম। সেই কারণ টা আমি হয়তো খুব ফুর্তি নিয়ে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে জানাতাম কিন্তু সময় সব কিছু বিপরীতে নিয়ে গেছে। যাই হোক ভেতরে ঢুকতেই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত চমৎকার পরিবেশ। চারদিক ভীষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। খুব সিমসাম ভাবে সবকিছু সাজানো। সত্যিই অবাক হয়ে গেছিলাম। আমাদের বগুড়া তে যে এত সুন্দর কিছু আছে এটা সবার মুখে গল্প শুনতাম শুধু। কিন্তু ওই দিন প্রথম নিজের চোখে দেখেছি। অনুভব করেছি। ছোট ভাই বার বার বলছিল সুইমিংপুলে গিয়ে সুইমিং করার জন্য। আসলে আমার কোন কিছু তেই মন ছিল না। ভীষণ রুক্ষ ভাবে ছিলাম। তাই চুপচাপ কিছুটা সময় বাইরে বেঞ্চিতে বসে থেকে তার পরেই চলে আসি।
সেদিন তো কোনো আনন্দ করতে পারিনি। ভীষণ ইচ্ছা আছে এরপরে একদিন গিয়ে ইচ্ছামত ফুর্তি করে আসবো। এখনো মন চাইছে ভীষণ। কিন্তু ক্রিপ্টো মার্কেটের যে অবস্থা তাতে সেই ইচ্ছা আপাতত আলমারিতে তুলে রাখলাম। তবে একদিন অবশ্যই ইচ্ছে পূরণ করব।
সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ্ থাকবেন।
মুখোশধারী বন্ধুর কাছ থেকে দূরে থাকবেন।
জীবন মানেই যুদ্ধক্ষেত্র এখানে আমাদেরকে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়। তো মাঝে মাঝে আমাদের আসলে এমন কিছু সময় আসে মনটা খুবই খারাপ থাকে। আপনার মন খারাপ শুনে শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তবে আপনি মম ইনে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন, আর জায়গাটা খুবই সুন্দর দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সেই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজেকে ভালো রাখার। দোয়া রাখবেন ❤️❤️
ভাই লেখাতা পড়তে ছিলাম খুব মনোযোগ দিয়ে, যে কখন জায়গার নাম জানতে পারব।এতো সুন্দর প্লেস বগুড়া আমি দেখে অবাগ।খুবিই ভালো একটি জায়গা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে।সময় হলে কোন একদিন ঘুরে আসব।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
হ্যা ভাই বগুড়া আসার নিমন্ত্রণ রইলো। খুবই ভালো লাগবে।
ভাই মন খারাপ হওয়ার কারণে ছোট ভাইকে নিয়ে বাইকে করে ঘুরাঘুরি করতে করতে তবুও যখন মন ভালো হচ্ছিল না। ঠিক তখন ছোট ভাইয়ের কথা শুনে মম ইন এর ভেতরে প্রবেশ করলেন, ছোট্ট একটি কাজও সারা হলো সেই সাথে মনটাকে ভালো করে নিলেন। মম ইন এর ভেতরে পরিবেশটা এত সুন্দর সত্যি মন ভালো না হয়ে পারেই না। আপনার মাধ্যমে খুবই সুন্দর মনমুগ্ধকর পরিবেশে অসাধারণ একটি জায়গার সন্ধান পেয়ে গেলাম। কখনো বগুড়াতে গেলে মম ইন ঘুরে আসব। সত্যি ভাই জায়গাটা আমার কাছে ভীষণ রকম ভালো লেগেছে। আর আপনি খুবই চমৎকার করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন। বিষন্নতায় মম ইনে কিছু সময় কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সবটা সুন্দর করে পড়ে এভাবে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালোবাসা রইলো।
উত্তর বঙ্গের সবথেকে বড় পাঁচ তারকা হোটেল হচ্ছে মম ইন । গত বছরে এই হোটেলে গিয়েছিলাম অনেক সুন্দর ভাবে গড়ে তুলেছে। এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এই হোটেলে।
সত্যি আমি প্রথম বার গিয়েই চমকে গেছি পুরো। আবার আসবেন আপু সময় করে।
বগুড়া তে এমন পাচ তারকা হোটেল আছে আজ জানলাম আপনার মাধ্যমে। নামটিও বেশ ভাল ছিল। মম ইন। প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে ছবি দেখে বুঝলাম। বেশ পরিস্কার । নীট এন্ড ক্লিন। পাচ তারকা বলে কথা। যাইহোক কোন একদিন গিয়ে ঘুরে আসব। ধন্যবাদ আপনাকে
বগুড়া আসার নিমন্ত্রণ রইলো ভাই। খুব সুন্দর একটা পরিবেশ পাবেন। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।