স্বপ্নে মানুষের উপচে পরা ভিড়
নমস্কার,,
দুইদিন আগের কথা বলছি। বগুড়া শহরের ভেতর দিয়ে হেঁটে চলেছি। মূলত গিয়েছিলাম মোবাইল মার্কেটে। ফোনের প্রটেক্টর ভেঙে গেছে আবার ব্যাক কভার টাও ছিড়ে গেছে। অল্প স্বল্প দামের মাঝে সেগুলো পরিবর্তন করে নিলাম। সত্যি বলতে পকেটের ভীষণ টান চলছে হঠাৎ করেই।
হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি এমন সময় পাশে চোখ পড়তেই দেখি মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কাহিনীটা কি হলো কিছুই বুঝতে পারছি না। একটা শোরুম থেকে মানুষ শুধু ডুকছে আর বেরোচ্ছে। বেশ দূর থেকে জিনিসটা দেখে কিছু আন্দাজ করতে পারিনি। তাই পাশে একটা দোকানে জিজ্ঞেস করলাম ঘটনা কি। ভদ্রলোক তখন আমাকে জানালো স্বপ্নের নতুন একটা আউটলেট পুলিশ প্লাজায় শুভ উদ্বোধন হলো সেই দিনই। নতুন উদ্বোধন হওয়ায় বেশ ভাল রকমের অফার দিয়েছে। আর তাই এত উপচে পরা ভিড়।
কৌতুহল যেখানে আছে সেখানে বাঙ্গালীকে যেতেই হবে। আমার নিজেরও ভীষণ ইচ্ছে হলো আমিও একবার ভেতরে গিয়ে দেখি কি কি অফার চলছে। আমরা আর কিছু বুঝি বা না বুঝে কিন্তু অফারের ব্যাপারটা খুব ভালো মতো বুঝি। সামনে খানিকটা হেটে গিয়ে দেখতে পেলাম শোরুমটা। আশেপাশে এখনো ঠিকমতো কোন নেমপ্লেট লাগানো হয়নি। সবেমাত্র শুরু হয়েছে। শুধু অফারের জন্যই মানুষের এত ভিড়।
যাই হোক বেশি কিছু না ভেবে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ঢুকতেই দেখি এক মানুষের সমুদ্র যেন ভেতরে। মুখে মাস্ক টা পরে নিয়ে আমিও ঢুকে পড়লাম। সত্যি বলতে আমার নিজেরও ভীষণ পছন্দ হয়ে গেল ওদের আয়োজন দেখে। বেশ বড় করে শোরুমটা দিয়েছে। উপরতলা এবং আন্ডারগ্রাউন্ড দুটো মিলিয়ে শোরুমটা। বাজারের কাঁচামালামাল মাছ মাংস থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের জামা কাপড় পর্যন্ত কালেকশনে রেখে দিয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে একজন মানুষ এখানে ঢুকে পড়লে তার নিত্য প্রয়োজনীয় যা যা প্রয়োজন সবকিছু নিয়েই বেরোতে পারবে।
মানুষের বেশি আকর্ষণ ছিল কাঁচাবাজারের দিকে এবং মাছের বাজারের দিকে। ভীষণ টাটকা এবং সতেজ সবকিছু সামনে সাজিয়ে রাখা। আর দামটাও বাজারে থেকে বেশ কম। তাহলে ভিড় হবেই না বা কেন! আবার বিভিন্ন পণ্য একটা কিনলে একটা ফ্রি অথবা দুটো কিনলে একটা ফ্রি এমন অফারও প্রচুর ছিল। আমার বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে ওদের অফার গুলো। যদিও কেনা হয়নি কিছুই। ইলিশ মাছ নিতে খুব ইচ্ছে করছিল। বাড়িতে একবার ফোনও করেছি। কিন্তু আমার মাছ কেনার উপরে মা-বাবার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই তাই আর সায় দেয়নি আমার কথায়। হিহিহিহি।
সবচেয়ে ভালো লাগছিল কাঁচা ফলমূল গুলো। এতটা সতেজ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে রেখেছিল সাধারণত বাজারেও এমনটা চোখে পড়ে না। অনেক ফল যেগুলো বাজারে দেখি না সেগুলো সেখানে ছিল। এ ব্যাপারটা আমার আরো বেশি ভালো লেগেছে। মোটামুটি পুরো আউটলেট টা ওপর তোলা এবং নিচতলা ঘুরে দেখি। আর ততক্ষণে আমার বুঝতে আর বাকি থাকে না মানুষের উপচে পরা ভিড়ের কারণটা কি হতে পারে। বেশ ভালো লেগেছে আমার স্বপ্নের এই আউট লেট টা।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন আয়োজন নিয়ে হাজির হব পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
আসলেই ভাই দুর্দান্ত অফার ছিল, উদ্বোধন উপলক্ষে অফারটা দিয়েছে। আপনার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আমরা বাঙালিরা এমন ই একটু সুযোগ পাইলেই হইছে। যাইহোক সবাই কমবেশি চায় কিছুটা কম দামে পণ্য কিনে নেওয়ার জন্য। তবে আপনার মাধ্যমে ওদের আয়োজনটা দেখলাম বেশ ভালো এবং অনেক বড় একটা আয়োজন ছিল যেটা দেখে সত্যি ভালো লাগার মত। ইলিশ মাছের দাম দেখে তো আমারও কিনতে ইচ্ছে করছিল।
ইলিশ টা দেখে সত্যি আমারও লোভ হয়েছিল ভাই। কিন্তু আমি তো তেমন ভালো মাছ চিনি না, তাই আর নেওয়ার সাহস পাই নি। নতুন আউটলেটের জন্য অফার গুলো বেশ আকর্ষনীয় ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার বাসার সামনে স্বপ্নের আউটলেট। তারা সবসময় কোন না কোন অফার দিয়ে থাকে। আমরা বাঙালিরা অফারকে বেশ ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি কোন অফার বা ডিসকাউন্ট দেখলে চলে যায় সেখানে। স্বপ্নের আউটলেট এর ভিতরে বাজার করতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে কারণ হাতের কাছে সমস্ত জিনিস পাওয়া যায়। বগুড়ায় আউটলেট টা অনেক বড় পরিসরকরে দিয়েছে। বগুড়া বাসির জন্য ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
স্বপ্নের বিভিন্ন অফারের ব্যাপারটা সত্যি বেশ ভালো লাগে। সব মানুষের একটা আস্থার জায়গা হয়ে দাড়িয়ে গেছে স্বপ্ন। বগুড়ায় স্বপ্নের আউটলেট আগেও ছিল। এটা নতুন হল। আরো কয়েকটা আউটলেট হবে শুনলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
দাদ নমস্কার
খুব সুন্দর অফার ছিল, উদ্বোধন উপলক্ষে অফারটা৷কিন্তু আপনি কিছুই নেন নি ৷যাই হোক অসাধারণ মার্কেট টি ৷
তবে কোনো একদিন যাবেন দাদা ইলিশ মাছ নিতে
একদম ভাই ,,,এবার তো কিছুই নেওয়া হয় নি। এরপরের বার আর মিস হবে না 😀। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ এজন্যই সুপার শপের কোন অফার পেলেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পরে। ভালো প্রোডাক্ট ও পাওয়া যায় আর দাম টাও একটু কম হয়। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমাদের ডেমরাতে ও স্বপ্ন দিয়েছে তিন দিন আগে ,অনেক অনেক ফ্রি পাওয়ার আশায় উপচে পড়া ভিড় ছিলো ।আমি ও অনেক কিছু কিনে ফ্রি পেয়েছি করো অনেক কিছু । ১১৫ টাকার হারপিক কিনতে যেয়ে ,ফ্রির আসায় ১২০০ টাকার হাবিজাবি কিনে বাসায় ফিরছি ।
হিহিহিহি ভালই তো হয়েছে ,, আপনারও লাভ ওদেরও লাভ। আমার বাবা দেখলাম গত পরশু হারপিক নিয়ে এসেছে একটার সাথে একটা ফ্রি। নামটা দেখলাম ঠিক হারপিক না, হারপুন 😅
যেখানেই ভিড়,সেখানেই আপনি😉😉।কিছু তো কিনলো না,শুধু শুধু ভিড় বাড়াতে গেছে🤪🤪।মাছ কিনার মধ্যে বিশ্বাস নেই, আমি তো ভেবেছিলাম চাঁদে বাড়ি করলে আপনাকে দিয়ে বাজার করাবো।ভাগ্যিস আগেই জানতে পারলাম😆😆যাই হোক বাজার গুলো দেখে আমারও যেয়ে কিনতে ইচ্ছে করছে।
হেহেহে বাঙ্গালী আর কিছু পারুক না পারুক অকাজের কাজ করে ভিড় ঠিকই বাড়াতে পারে 🤪🤪। আর চাঁদের দেশে তো খিদা লাগে না, বাজার করে কি করবেন! 😅।
কেন চাঁদের দেশে যাওয়ার সময় কি পেট টা পৃথিবীতে রেখে যায়🤪🤪?
কথাটা তো সেটা না এত টাকা দিয়ে চাঁদে জায়গা কিনেছি আবার টাকা দিয়ে বাজার করেও খাব!!! 😀। ওখানে হওয়া দিয়েই নাকি পেট ভরে যায়।
আপনার হাওয়াতে পেট ভরতে পারে,কিন্তু আমার ভরবে না।খাবার না পেলে আমি চোখে মুখে অন্ধকার দেখি😉
এই জন্যই তো চাঁদে আমার জায়গা পাক্কা,,, আর আপনার ফক্কা 😅
বলছে আপনারে,,নাসার এরা আপনাকে ঢুকতে দিলে তো😉
নাসার এত সময় আছে নাকি যে আমার মত চুনোপুটি কখন ঢুকলো আর বেরোলো সেসব খোঁজ রাখবে! 😅