একটু সুস্থতা চাই 🙏🙏
নমস্কার ,,
কি দিয়ে লেখাটা শুরু করব এটাই বুঝতে পারছি না। টাইটেলে লিখেছি একটু সুস্থতা চাই। সত্যিই আমার একটু সুস্থতা চাই। একটা বাড়ির তিন জন মানুষ যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে অবস্থা টা কেমন হয় ভাবতে পারছেন কেউ! আমার বাড়িতে আমরা তিন জন থাকি। আমি আর মা বাবা। প্রথম দিন বাবার হঠাৎ জ্বর আসলো। সাধারণ ঠান্ডা জ্বর যেমন হয়। তারপর দিন সকাল থেকে মায়ের জ্বর শুরু হলো। মায়ের জ্বর আসার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই আমার জ্বর শুরু। বাড়ির ভেতরে কি চলছে সেটা আর বিস্তারিত বলার দরকার নেই একদমই।
জ্বর টা কেমন যেন। খুব বেশি তাপ উঠবে না। ১০০ থেকে ১০১ এর মধ্যেই থাকবে। কিন্তু মারাত্মক রকমের শরীর ব্যাথা। রীতিমত অসহ্যকর যেটাকে বলে। প্যারাসিটামল খেলে একটু পর জ্বর চলে যায়। কিন্তু পাঁচ ঘন্টা যেতে না যেতেই আবার জ্বর বাবাজি হাজির। আর শরীর ভীষণ দুর্বল করে দেয়।
এমন অবস্থায় পড়েছিলাম করোনার সময়। তিন জন এক সাথে অসুস্থ হয়েছিলাম। সামনে ভাত দেওয়ার মত যেন কেউ ছিল না। এবার আবার তিন জন এক সাথে অসুস্থ। বাবা একটু ভালো আছে। জ্বর নেই। আমার টাও কমছে ধীরে ধীরে। মায়ের অসুবিধা টা বেশি। কারণ মায়ের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে একটু। ইনহেলার নিতে হচ্ছে তাই।
পুরো বাড়িতে দুদিন হলো এমন অবস্থা যে একটু তরকারি রান্না করার মত অবস্থা নেই। ভাত তো রাইস কুকারে হয়ে যায়। মা বাবা বাইরের তরকারি খায় না। কোন মতে যা হচ্ছে ওই দিয়েই চলছে। সত্যি বলতে রান্না করেও কোন লাভ নেই। খাওয়ার রুচি বলতে কারোর কিছু নেই। মুখ যেন তেতো বিষ হয়ে আছে। আরো দুই তিন সময় লাগবে হয়তো কিছুটা স্বাভাবিক হতে।
সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য। এভাবে পুরো পরিবার অসুস্থ হয়ে পড়লে সব দিক শূণ্য লাগে যেন। কি আর বলবো, একের পর বাধা আসা টা আমার জীবনের নিত্যনতুন একটা ব্যাপার। কোন কিছু নিয়ে যখনই সিরিয়াস হই তখনই মাঝ পথে এসে আটকে যাই। নিজের টা মেনে নিতে পারি। কিন্তু মা বাবার কষ্ট দেখতে ভালো লাগে না একদমই। মনে হয় এমন কোন ওষুধ কেন নেই যেটা একবার খাওয়ার সাথে সাথে এই দুটো মানুষ আবার আগের মত সুস্থ হয়ে যাবে! ভীষন রাগ হয় নিজের ওপরই। আসলে সব কিছুই ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই। ঠিক হতে একটু তো সময় লাগবেই। সবটাই বুঝি , কিন্তু তারপরও অবুঝ হয়ে যাই।
দাদা পোস্টটি পড়ে মনটা কেন জানি বেশ খারপ হয়ে গেল। আপনাদের পরিবারের সবাই অসুস্থ্য। আঙ্কেল, আন্টি আর আপনি। তবে আপনাদের মধ্যে আন্টি মনে হয় একটু বেশীই অসুস্থ্য। দোয়া রইল আপনাদের সবার প্রতি। এখনকার জ্বর এমনই হয়। লোডশেডিং এর মত । কখন যে যায় কখন যে আসে। সেটা বুঝাই মুশকিল। তবুও সুস্থ্য থাকেন।
দোয়া করবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের সবাই একসঙ্গে অসুস্থ হলে সেই পরিবারের অবস্থা যে কতটা খারাপ হয় তা বুঝতে পারছি ভাইয়া। বিশেষ করে পরিবারের মায়েরা যদি অসুস্থ হয় তাহলে তো কথাই নেই। ইদানিংকার জ্বর গুলো যেন কেমন। একেবারে শরীরটাকে দুর্বল করে দেয়। যাই হোক আপনাদের জ্বর সেরেছে জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করি পরিবারের সবাই মিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।
এখনো পুরোপুরি সারে নি আপু। যাওয়া আসার ওপরই আছে সব সময়। দোয়া করবেন আপু 🙏
একটা পরিবারের সবাই যখন অসুস্থ তখন সেই জায়গার পরিস্থিতি কেমন হতে পারে সেটা আমি নিজেও খুব ভালো করে জানি। কারণ করোনার সময় আমার পরিবারের সবারই একই অবস্থা ছিল। ভাত রান্না করে দেবে এমন কোন লোক ছিল না। সেই সময়টা যে কিভাবে কাটিয়েছি বলে বোঝাতে পারবো না। আপনার বাবা-মা এবং আপনার জন্য অবশ্যই আশীর্বাদ রইল সজীব ভাই। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি আপনারা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
হ্যাঁ এখন অনেকটাই ভালোর দিকে সব কিছু। বাবা একটু দুর্বল বেশি। কয়েক সময় লাগবে হয়তো খাওয়ার রুচি টা ফিরে আসতে। ❤️🙏
চিন্তা করবেন না ভাই,সব কিছু খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।
দুগ্গা দুগ্গা 🙏
সত্যিই বাড়ির সকল সদস্য একসাথে অসুস্থ হয়ে পড়লে খুবই একটা খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কে কাকে সামলাবে এটাই তো মুশকিল। আপনার বাবা আগের তুলনায় একটু ভালো আছে জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের তিনজনের দ্রুত সুস্থ কামনা করি। আপনার মায়ের শরীরও যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আসলেই তাই জ্বর হলে মুখে সব খাবারই তিতো লাগে। তাই কোন কিছুই খেতে ইচ্ছে করেনা। সত্যিই জীবনে একটার পর একটা সমস্যা আসতেই থাকে, একটা গেলে যতই ভাবি না কেন এবার হয়তো সবকিছু ভালোভাবে চলবে ,কিন্তু ঠিক আর একটা সমস্যা এসেই যাবে।
সমস্যার সাথে আমার জীবন সমানুপাতিক হারে বাঁধা একদম। না বলতেই আমার দুয়ারে এসে হাজির হয়ে যায় পুরো।আমার অভ্যেস হয়ে গেছে এক রকম। শুধু চাই যে মা বাবার যেন কিছু না হয়,, আর আমাকে যে পচা জলে ইচ্ছে ডুবিয়ে মারুক গে 😊
আশা করি, আপনারা সকলেই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন ।বাবা-মায়ের সাথে সাথে আপনারও সুস্থতা কামনা করি।