উত্তর বাহিনী মহাশ্মশানে একদিন ।। ১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য

নমষ্কার,,

প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলা একটু হাঁটাহাঁটি করা আমার রোজকার অভ্যাস। আজ বিকেলে হঠাৎ আমার বন্ধু কৃষ্ণ ফোন করে বলল চলো আজ একসাথে হাঁটাহাঁটি করে ঘুরে আসি কোথাও থেকে, মনটা ভালো লাগছেনা। তো আমিও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কৃষ্ণ চলে আসলো আমাদের পাড়াতে। দুজন একসাথে হাঁটতে হাঁটতে ঠিক করতে পারছিলাম না কোন দিকে এগোবো। তারপর হঠাৎ মনে হল একটু শ্মশানের দিকে যাওয়া যাক। আসলে শ্মশান এমন একটি জায়গা লাগে আমার কাছে মনটা ভালো হয়ে যায় কেন যেন।

বিশেষ করে বাবা লোকনাথের মন্দির আছে, মা কালী মন্দির আছে। আমাকে খুব টানে এই জায়গা গুলো। আর এরকম পবিত্র স্থানে গেলে মনটা এমনি শান্ত হয়ে যায়। তাই দুজনে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম উত্তর বাহিনী মহাশ্মশানে।

আমি মোটামুটি কিছু দিন পর পর এখানে আসি। বেশ ভালো লাগে আমার জায়গাটা। পাশ দিয়ে করতোয়া নদী বয়ে চলেছে। চারদিকে সবুজ ঘেরা। এক কথায় বলা যায় শীতল নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আমার কাছে আর নেই।

আমরা দুজনেই বাবা লোকনাথ মন্দিরে গেলাম। প্রণাম করলাম এবং চরণামৃত গ্রহণ করলাম। তারপর সেখানে চুপ করে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম এক মনে। বিশ্বাস করো অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে এই সময়। মনে হয় সব ঝুট ঝামেলা থেকে আমি এখন মুক্ত।

তারপর ঠিক পাশেই শ্মশান কালী মন্দিরে গেলাম আমরা এবং প্রণাম করলাম। অনেকদিন পর গেছিলাম শ্মশানে। আশেপাশের জায়গাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। বেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে সময়ের ব্যবধানে।

দেখতে দেখতে কখন যেন হঠাৎ সন্ধ্যা নেমে আসলো। শ্মশানে বেশি রাত করে থাকতে আমার আবার কেমন যেন ভয় ভয় করে। যেইদিকে মৃতদেহ সৎকার করা হয় ওই দিকটায় আর গেলাম না তখন সে জন্য। সন্ধ্যে যেহেতু ঘনিয়ে আসছিল আমরাও বাড়ির পথে রওনা হলাম। হাঁটতে হাঁটতে দুজন বেশ গল্প করলাম। বেশ ভালো সময় কাটলো এক কথায় বলা চলে।