আমাদের ভোজ বিলাস
নমষ্কার,,
গতকাল সন্ধ্যা বেলা বাইরে নিজের মত সময় কাটিয়ে রুমে আসার সাথে সাথে আমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা শুরু হয়ে গেল। কারণ ঐ একটাই। মেসে পার্টি হচ্ছে , আর আমি কাজের ভয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ব্যাপারটা অবশ্য নতুন কিছু না ওদের জন্য। হিহিহিহি। তবে সব সময় যে এমন পালিয়ে বেড়াই এমন টা নয়। আসলে মন ভালো না থাকলে এসব করি বেশি। তবে শেষে মজা করে মাতিয়ে রেখেছিলাম সবাইকে। মোটামুটি রাত তিনটা পর্যন্ত নাচ গানের আসর চলে। আমরা পাঁচ জন, আর বাইরের তিন জন গেস্ট ছিল সাথে।
আট জনের জন্য খাসির মাংস ছিল সাড়ে তিন কেজি। সাথে ছিল রুই মাছ আর করাল মাছ। আর চিকন চাউলের ভাত। আসলে পোলাও দিয়ে বেশি খাওয়া যায় না। তাই এই আয়োজন। আর আমি আবার তেলুক খাবার খেয়ে একদম হজম করতে পারি না।
যাই হোক বাইরে থেকে ঢুকে সোজা চলে গেলাম রান্না ঘরে। একদম পুরো দমে ফাজলামি অন করে দিলাম। দেখি নারায়ণ আর তুষার মন লাগিয়ে রান্না করছে। সত্যি বলছি এরা এত চমৎকার রান্না করতে পারে কল্পনার বাইরে। বিশেষ করে খাসির মাংস টা। আমি এত চমৎকার রান্না কোন মেয়ের হাতে আজ পর্যন্ত খাই নি।
একজনের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে খেতে খেতে বেশ দেরি হয়ে যায়। তবে একসাথে সবাই বসে একদম কব্জি ডুবিয়ে খেলাম। পোস্ট লিখছি বলে বলছি না, প্রতিটি রান্নাই অসাধারন হয়েছিল এক কথায়। গল্পে গল্পে হাসি ঠাট্টায় বেশ দীর্ঘ সময় নিয়েই খাওয়া দাওয়া শেষ হয়।
আর তারপর শুরু হয় গান বাজনার আসর। আমি একটু টুংটাং করলাম উইকুলেলে নিয়ে। আর ব্যাস ওতেই শুরু হয়ে গেল পাগলামো। আমরা তো ভয় পাচ্ছিলাম আসে পাশের ফ্ল্যাটের মানুষ গুলো কালকে আমাদের বের না করে দেয়। তারপর তো বক্সে গান দিয়ে হালকা পাগলামো নাচও শুরু হয়ে গেল। আর কি চাই!!
ব্যাচেলর দের এই আনন্দ গুলোই যেন সব হতাশা আর কষ্ট গুলোকে নিমিষের মাঝে ভুলিয়ে দেয়। জীবনে এই মুহূর্ত গুলো টাকা দিয়েও কখনো কেনা যাবে না। যদি এই পাগলামির ছবি আর ভিডিও গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারতাম! তবে আমার মনে হয় যারা হল বা মেস লাইফ কাটিয়েছে বা এখনও থাকছে তারা ঠিক সেগুলো বুঝতে পারবে যে এখানে কি কি হতে পারে। যাই হোক, মাঝে মধ্যে সবার জীবনেই এমন আনন্দের মুহূর্ত ফিরে আসুক এটাই চাওয়া।
এটা ঠিক বলেছেন পোলাও এর চেয়ে ভাত কিন্তু বেশি খাওয়া যায়।আসলে আপনার মেসের লোক গুলো অনেক ভালো, আপনি বাইরে থাকার সত্ত্বেও আপনাকে তৃপ্তি সহ খেতে দিল। আপনি দেখছি ঠিক সময় মতো চলে এসেছেন। যাইহোক অবশেষে সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন এটাই অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এসব কাজে সময় মত হাজির হতে আমি একদম এক্সপার্ট আপু , হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
সাড়ে তিন কেজি মাংস আটজন মিলে খেয়ে ফেললেন ? ঠিক বলেছেন পোলাওয়ের থেকে ভাত বেশি খাওয়া হয়। আর আপনাকে খাবার কেন দিয়েছে আমি হলে তো আপনাকে খাবারই দিতাম না। কাজের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আবার রান্না হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে চলে এসেছেন। যাই হোক দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে অনেক মজা করেছেন সবাই মিলে। এত রাতে গান বাজনা করে লোকজনের যে মার খাননি তাইতো অনেক।
সবাই বুঝি আপনার মত!! খেতে দেবে না 😅! আমাকে ছাড়া তো পার্টিই জমবে না 😉। হিহিহিহি। মার যে খাই নি, এর জন্য সত্যিই আমাদের কপাল ভালো ছিল আপু 😅। আমি তো পরদিন রীতিমত ভয়ে ছিলাম।
আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন যারা মেস লাইফ যাপন করেছেন তারাই বুঝেন এর মজা।আমিও মেসে ছিলাম অনেক মজার ছিল সময় গুলো।খাবার গুলো বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে।সবাই মিলে গান আড্ডায় মজার সময় কাটিয়েছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ মুহূর্ত গুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
বেশ মজা করেছি অনেক দিন পর আপু। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
বাপরে বাপ!!! এত খাবারের আয়োজন দেখে তো পেটের ক্ষুধা শুরু হয়ে গেল। বিশেষ করে খাসির মাংসের কালারটা খুবই লোভনীয় হয়েছে। আপনার কথা এক বাক্যে মেনে নিলাম, হয়তো কোন মেয়ে এত সুস্বাদু করে খাসির মাংস রান্না করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। ভাই খাওয়া দাওয়ার পর্বটা শেষ করে, আপনারা সকলে মিলে যে আনন্দ আড্ডার আয়োজন করেছিলেন তা বড্ড মিস করছি। আমার আবার এরকম গান, আড্ডা, ফুর্তি ভীষণ ভালো লাগে। আর তাই মাঝে মাঝেই আমার বাসাতে বিভিন্ন ধরনের অতিথিদের ডেকে আনন্দ আড্ডার আয়োজন করি। বিশেষ করে, আপনার ভাবির স্কুলের কলিগরা আমার সাথে এই আনন্দ আড্ডায় মেতে ওঠে। যাইহোক ভাই, আপনাদের পাগলামো নাচ দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল। কোন একদিন ভিডিওর মাধ্যমে দেখিয়ে দিবেন।
আপনি যে আমোদ ফুর্তি প্রিয় মানুষ এটা আপনার সাথে কথা বলেই বোঝা যায় ভাই। এই মজা গুলো একদমই অন্যরকম। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য টা পেয়ে। এভাবেই পাশে থাকবেন ভাই। ভালোবাসা রইলো।
আপনি কাজে ফাঁকি দেবেন তা আগেই বোঝতে পেরেছি। ফাঁকি দিয়েও থাকতে পারলেন না ধরা খেয়ে গেলেন। এটা জেনে ভালো লাগলে বাসায় এসে কাজে একটু সাহায্য করেছেন আর সবাইকে মজা করে মাতিয়ে রেখেছেন। একটা কথা কি একা কাজ করলে কখনো শেষ হয় না আর যদি সবাই মিলে কথা বলতে বলতে কাজ করেন তাহলে নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। আপনারা আট জন মিলে সাড়ে তিন কেজি খাসির মাংস খেয়েছেন। আপনারা তো রেকর্ড করে ফেলবেন হা হা হা। এভাবে সবাই মিলে একসাথে আনন্দ করার মজাই আলাদা।
আপু আমি কিন্তু বেশি খেতে পারি না,, ওরা এক এক টা রাক্ষস পুরো। আমি শুধু হা করে তাকিয়ে দেখি ওদের খাওয়া। হিহিহিহি। তবে মজা হয় খুবই। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ভাই রে ভাই সেই খাওয়াদাওয়া।ব্যাচেলর লাইফ এর মজা গুলোই ভবিষ্যতের স্মৃতি হয়ে ফিরে ফিরে আসবে।গান,নাচ ভাবতেই সেই লাগতেছে।মেস লাইফ এর কথা খুব মনে পড়তেছে।ধন্যবাদ দাদা আনন্দের মুহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
আমি এখনো হোস্টেল লাইফ টা খুব মিস করি। পাঁচটা বছর যা মজা করে কাটিয়েছি। মেসে এমন আয়োজন হঠাৎ করে হয়,, আর ক্যাম্পাসে থাকলে তো মনে হয় রোজ রাতে পার্টি হতো । জীবনের সব থেকে মধুর স্মৃতি এগুলোই।
মেছে থাকার মজাটাই আলাদা ভাইয়া ।একসঙ্গে হইচই ,আড্ডা ,গান সব নিয়ে মেতে থাকা হয় ।এসব নিয়ে যে মেতে থাকা হয় তা কিন্তু নয় পড়াশোনাও করা হয় ।আপনারা আট জন তিন কেজি খাসির মাংস রান্না করে অনেক মজা করে খেয়েছেন দেখেই মনে হচ্ছে।আমি কোনদিন করাই মাছ খাইনি জানিনা কেমন হয়।
আপু আসলে অনেকেই এখানে চাকরিজীবী। তাই খাওয়া দাওয়ার যখন আয়োজন করা হয় একদম ভরপুর আয়োজন হয়। আর করাল মাছ আগেও খেয়েছিলাম আমি,, বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। আশা করি আপনি যেদিন খাবেন আপনারও বেশ লাগবে। ভালো থাকবেন আপু।
ব্যাচেলার জীবন তো এটাই ৷ বন্ধুদের সাথে আড্ডা তার সাথে খাবার আয়োজন ওয়াও ৷ তার সাথে চিকন চাল সত্যি আমিও আপনার মতো তেল জাতীয় খাবার বেশি ক্ষেতে পারি না ৷
আর বন্ধু মানে তো এসব কে কাকে উসকানি দেয়া তাকে নিয়ে মাতামাতি এসব নতুন কিছু নয় ৷ যা হোক গান বাজনা আড্ডা বেশ ভালোই চমেছে তাহলে ৷
৮ জন মানুষ ৩ কেজি মাংস আবার অনেক তরকারি শুনে কেমন কেমন করে৷
ধন্যবাদ দাদা দারুন মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ৷
ভাইরে আমার সাথে যারা থাকে , আমি বাদে সবগুলো বড় রকমের খাদক এখানে। হিহিহিহি,,। আমি তো খেতেই পারি না বেশি। ঠকে যাই একদম। তবে একসাথে মজা হয় খুব। ভালো থাকবেন ভাই।
যেহেতু আপনার বন্ধুদের হাতের রান্না এতো মজার সেহেতু আমাদেরকে ইনভাইট করলেই পারতেন। তখন আমরা খেয়ে দেখতাম আসলে কি মজা!! নাকি চাপা মারছেন🤨। খাসির মাংস আমিও ভাল রান্না করতে পারি, শুধু আপনার বন্ধু না 😏।
যাইহোক ব্যাচেলর লাইফ যেমন কষ্টের ঠিক তেমনটাই আনন্দের। আসলে বন্ধুরা সব মিলে একসাথে থাকলে কষ্ট থেকে সুখ টাই বেশি পাওয়া যায়। আমার এইচএসসি ফাইনাল এর সময় আমি আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে এক বাসায় ছিলাম। আমাদের সময় গুলো যে কিভাবে কেটেছে তা আসলে বলে বোঝানোর মত না।
ওরে আপু,,, চাপা দিয়ে কি আর পেট ভরবে শুনি? 😅😅,, পৃথিবীর বড় বড় কুক তো সব ছেলেরাই। আর রান্না না খাওয়ালে কি করে বুঝবো যে আপনার হাতের রান্নাও মজার হয় !! একদিন আগে আয়োজন করে দাওয়াত দিতে হবে তো 😉।