শিশু মেলাতে কাটানো এক সন্ধ্যা
নমস্কার,,
সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। চারপাশ থেকে নানান ধরনের প্রেসার একজোট হয়ে যেন আমার উপরে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কয়েকদিন হল প্রতিদিন বাইরে ছোটাছুটি করছি। একটা না তো একটা বাহানা লেগেই আছে। তার মাঝে গতকাল হঠাৎ ফোন আসলো বাবা ছাদে মাথা ঘুরে পরে গিয়েছিল। ঈশ্বরের কৃপায় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রেসার খুব আপ ডাউন করছে। হঠাৎ করেই এমন খবর পেলে কার ভালো লাগবে!! মাথার ভেতরে নানান দুশ্চিন্তা আরও জেঁকে বসলো। বাবারও বয়স হয়ে যাচ্ছে। দায়িত্ব আর কর্তব্যবোধ আপনা আপনি আমার রাস্তায় যেন আসতে শুরু করে দিয়েছে। আজকে আগের থেকে অনেকটা ভালো আছে বাবা। ডাক্তারের সিরিয়াল কালকে দেওয়া। ডাক্তার দেখিয়ে টেস্ট না করানো পর্যন্ত মানসিক শান্তিটা হয়তো আর আসবে না।
কয়েকদিন আগে দিদি ভাগ্নে দুলাভাই সবাই এসেছিল ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে ঢাকাতে। ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ভাগ্নেকে নিয়ে শিশু মেলাতে গিয়েছিলাম। আমি তো শ্যামলীতেই থাকি। বাইরে থেকে প্রতিদিন বলা যায় শিশু মেলা একবার করে দেখি। কিন্তু ভেতরে কখনোই যাওয়া হয়েছিল না। তো সেদিন সন্ধ্যেবেলা আমি ভাগ্নে দিদি আর জামাইবাবু সবাই মিলে গিয়েছিলাম শিশু মেলাতে।
সন্ধ্যেবেলা নজর কাড়া লাইটিং করে চার দিকটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল যেন। আর চারদিকে বিভিন্ন ধরনের রাইডস শিশুদের যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমার ভাগ্নে দেখেই তো খুশিতে লাফালাফি শুরু করে দিল। ছোটবেলায় আমরা কখনো এরকম পরিবেশ পাইনি । এখনকার দিনের ছেলেমেয়েদের বিনোদনের জন্য কত আধুনিক সব ব্যবস্থা চলে এসেছে। যাই হোক অভ্র প্লেন ট্রেন গাড়ি থেকে শুরু করে যা যা ভালো লাগে সব রাইডসে এক বার করে উঠলো। আমি ভেবেছিলাম ছেলেটা হয়তো ভয় পাবে অনেক কিছুতেই। কিন্তু পরে নিজেই চুপসে গেলাম কারণ ভয়ের নামগন্ধ ছিল না ভাগ্নের ভেতরে।
এটা না তো সেটা এই করতে করতে মোটামুটি হাঁপিয়ে উঠেছিলাম আমরা সবাই। তবুও ভাগ্নের ইচ্ছে যেন থামছিল না। আমি চেষ্টা করেছি কিছু ছবি তোলার ভেতরের দিকের। মোটামুটি ঘন্টা দুয়েক সময় পর দেখা গেল ছেলে একই রাইডে আবার ওঠার জেদ শুরু করে দিয়েছে। এ তো দেখি মহা মুশকিল! রাইড প্রতি ৫০ টাকা করে। আবার কিছু কিছু রাইডসে অভিভাবক সহ উঠতে হবে। খরচ টাও বেশ ভালো রকমের দেখলাম। সে যাই হোক সব শেষে ভাগ্নেকে আর শিশুমেলা থেকে বের করতে পারছিলাম না। অনেক কষ্টে ভুলভাল বুঝিয়ে বের করে আনলাম। রীতিমতো যুদ্ধ জয় করার মতো অবস্থা বলা চলে। তবে সময় টা বেশ ভালো কেটেছে।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/7) Get profit votes with @tipU :)
আসলে ঠিক বলেছেন এমনিতেই নানান ধরনের চিন্তা মাথায় থেকেই যায়। তার মধ্যে আপনার বাবার কথা শুনে ভীষণ খারাপ লাগলো। আসলে বাবারা আমাদের জীবনে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তাদের কিছু হলে সেটা সহ্য করা সম্ভব নয়। কিন্তু তারপরেও একটু ভালো আছে জেনে ভালো লাগলো। তাছাড়া শিশু পার্কে ভাগ্নের সাথে অনেক ভালোই আনন্দ করেছেন। অনেক ভালো লাগবে আপনার পোস্ট পড়ে।
সময় টা কেমন যেন যাচ্ছে । আমি নিজেও অসুস্থ। দোয়া করবেন আপু সব যেন ঠিক হয়।
বাচ্চাদের নিয়ে পার্কে গেলে ওদের ইচ্ছা মত রাইডে উঠা লাগে। তবে ওদের সাথে খুব ইনজয় করা যায় পার্কে গেলে। আপনার ভাগ্নে মনে হয় বেশ দুষ্ট। যাইহোক ভাইয়া আশা করি এবং প্রার্থনা করি আপনার রিপোর্ট যেন ভাল হয়। কালকে ডাক্তার দেখিয়ে আমাদেরকে আপনার রিপোর্ট সম্পর্কে জানাবেন।
দুষ্টুর শিরোমণি পুরো। যেমন মুখের কথা,, তেমন দুষ্টামি। দোয়া করবেন আপু আমাদের জন্য।
মামা ভাগ্নের ঘোরাঘুরির গল্প বেশ মজার ছিল। আসলেই বাচ্চারা এই রকম করে কোথাও বের হলে।।আমি সহজে বাচ্চাদের সাথে যায়না। এই সব মেলাই বাচ্চারা আনন্দ বেশি করে। ভাগ্নে ভুল করেছে বের হয়ে।আমি হলে একদম ই বের হতাম ন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার,জন।
আসলে ভালও লাগে ব্যাপার গুলো। কয়দিন পর তো আর এমন কিছু করবে না। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ববোধ আপনা আপনি ঘাড়ে এসে পড়ে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আঙ্কেল বড় কোন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছে। আশা করি টেস্ট করলে রিপোর্ট ভালো আসবে। আপনার মত আমারও একই অবস্থা বাইরে থেকে শিশু মেলা দেখা হয়েছে ভিতরে কখনো ঢোকার আগ্রহ হয়নি। আর আমরা যতটা ভয় পাই বাচ্চাটা তার বিন্দুমাত্র ভয় পায় না এসব রাইডগুলোতে উঠার সময়। আর এমন সুন্দর সুন্দর রাইড রেখে কেনই বা আসতে চাইবে বাচ্চারা। যাই হোক শেষে ভুলভাল বুঝিয়ে হলেও বের করতে পেরেছেন তাই অনেক । দোয়া রইলো বাচ্চাটার জন্য।
ভাগ্নে দের নিয়ে শিশুমেলা তে আসতে পারেন একবার আপু,, ভালোই লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।
বাবা যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাদের বড় করেছেন ৷কিন্তু একটা পর্যায়ে সে বাবা আর সেই আগের মতো চলতে ফিরতে পারে না ৷বয়স এমন একটা বিষয় যেটা সবার জীবনে আসবে ৷আজ আমরা চলছি ফিরছি বিন্দাস ৷ কিন্তু একদিন আমাদের ও ওই লেভেল আসতে হবে ৷
আর পরিবারের ছেলে মানে বিশাল একটা পথ ৷বলতে গেলে সমস্ত পরিবারের ভার পরে ছেলেটির উপর ৷
যদিও আমি পরিবারের বড় ছেলে সেটা বেশ ভালোই বুঝি ৷
যাই হোক দাদা আপনার বাবা সুস্থ হোক আর তারাতারি ডাক্তারের পরামর্শ নিন ৷আর যত্ন নিন ৷
পরিবারের একমাত্র ছেলে হলে আরো বেশি যেন মাথার উপর সব কিছু জেকে বসে। আশীর্বাদ করবেন দাদা সবকিছু যেন ঠিকঠাক করে নিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।