হঠাৎ কলকাতা ।। পর্ব :৩ ।। ২৫ জুন, ২০২২,,, স্মৃতির খামে রেখে দেওয়া একটি দিন
নমষ্কার,,
দ্বিতীয় পর্বের পর থেকে শুরু করছি। আগেই বলেছিলাম কলকাতা আমি থাকা মানেই বৃষ্টি। জানিনা এই বৃষ্টি টা কারো মনের কান্না কিনা। সে যাই হোক। স্থানীয় সময় ১২ টা ৪৫ মিনিট হবে হয়তো। আমার রুমে ব্যাগ টা ফেলে রেখেই বেড়িয়ে আসলাম। পাঁচ মিনিটের বেশি বোধ হয় লেট হয় নি। আমার হোটেলের নিচে ছোট খাটো একটা রেস্টুরেন্ট আছে। ওখানেই বসে গেলাম। ভেজ সব খাবার অর্ডার করলাম। চুপচাপ ছিলাম অনেকক্ষণ। চেনা মানুষকে অচেনা লাগছে। এর চাইতে কঠিন কিছু হয়তো পৃথিবীতে নেই। যাই হোক এক সাথে খাবার খেলাম। তারপর পাশেই একটা দোকান থেকে ইন্ডিয়ান সিম নিয়ে নিলাম।
বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। হাতে সময় বেশ কম। ক্যাব বুক করে রওনা দিলাম সল্ড লেকের এরিয়াতে। সিসি ওয়াণ বলে যে শপিং কমপ্লেক্স আছে সেখানে। মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল। বাইরে বসার মত কোন জায়গা ছিল না। শপিং মলের ভেতরে এদিকে ওদিকে ঘোরাফেরা করছিলাম। ঘুরতে বেশ ভালই লাগছিল। আসলে আমাদের বাংলাদেশের কালচার আর ইন্ডিয়ার কালচারের ভেতরে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সেগুলো বেশ ভালই লক্ষ্য করছিলাম। তবে কলকাতার মলগুলোতে নানান ধরনের জিনিসপত্রের কালেকশন অনেক দারুন ছিল। দেখে ভালো লেগে যাবে এরকম একটা ব্যাপার। মোটামুটি ভালো একটা সময় কেটেছে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত।
তারপর ঠিক বিকাল যখন পাঁচটা বাজে ঐ সময়ে আমার জীবনের একটা ম্যাজিকাল মোমেন্ট সামনে চলে আসে। হয়তো সব কথা লিখে বলতে পারব না। শুধু এটুকু বলছি ২৫ জুন বিকাল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত জীবনের অনেক ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। যত খাবার-দাবারের আয়োজন ছিল সামনে সেসব নিয়ে লিখতে গেলেও হয়তো কয়েকটা পোষ্ট মিলিয়ে শেষ করতে হবে। সবগুলো যে ছবি তুলব সেটাও মাথায় ছিল না। সত্যি বলতে মনে এক কথা ঘুরছিল আর মুখে আরেক কথা বলছিলাম। এরকমটাই ছিল আমার এবারের কলকাতা সফর। অনেকটা নিজেই যেন নিজের সাথে অভিনয় করে যাচ্ছিলাম। সে যাই হোক নানান রকমের বারবিকিউ অ্যারেঞ্জমেন্ট ছিল। তারপর হরেক রকমের কেক পেস্ট্রি মিষ্টি। আর সবশেষে ভাত ডাল মাংস বিরিয়ানি সালাদ আইসক্রিম। আসলে নাম বলে শেষ করতে পারবো না। এমন না যে আমি সবকিছু খেয়েছি। চোখ দিয়ে দেখে যেন পেট ভরে গেছে। রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোনোর পরে মনে হয়েছে ছবিগুলো তোলা মিস হয়ে গেল।
সবশেষ রাত এগারোটার সময় হয়তো আমি আমার রুমের দিকে ফিরে আসি। এতোটুকু বলব আমার জীবনের সেরা সন্ধে ছিল এই দিন টা। আর সেদিন রাতেও আমি ভাবিনি পরদিন আমার জন্য আরো কত সারপ্রাইজ অপেক্ষা করে আছে। আমি কতটা সেই সারপ্রাইজ এর জন্য প্রস্তুত আছি নিজেও জানতাম না। হয়তো সবকিছু বলতে পারব না। নিজের মনের ভাঙ্গা আয়নায় প্রতিনিয়ত দেখে যাব সেই ছবিগুলো।
ভাইয়া আপনি আপনার মনের এই অবস্থার মাঝেও অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বুঝতে পারছি। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। হয়তো আজকে আপনার বিপদের সময় আপনি অনেক কষ্টে সময় পার করছেন। এমন একটি সময় আসবে যেদিনটিতে আপনি এই কষ্ট গুলোকে শুধু অতীত মনে করবেন। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
আমার জন্য দোয়া করবেন ভাই। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে যেন একটু তুলে ধরতে পারি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কিছু স্মৃতি সত্যি হলেও অনেকটা স্বপ্নের মতোই লাগে।কিছু মিথ্যে কষ্ট হলেও মানতে হয়।বেশি কিছু বলার নেই আমার আসলে।
স্মৃতিগুলো হয়তো মুছে ফেলতে পারব না কখনো। কিন্তু মনে পড়লে যেন আঘাত না পাই এই দোয়াটাই করবেন।
আপনার সঙ্গে কি হয়েছে তা হয়তো জানি না, কিন্তু বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন তা আপনার ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। তাছাড়া যত খাবার-দাবারের নাম বললেন এগুলো নাম শুনেই তো পেট ভর্তি হয়ে যাচ্ছে আর আপনি তো এগুলো খেয়েছেন। ভালো সময় তো কাটারই কথা। পরবর্তী পর্বে দেখি কি অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
কিছু মুহূর্ত সত্যিই স্বপ্নের মত ছিল আপু। আর বাকি কথা কোন এক দিন হবে ঠিক কেমন। অনেক ভালো থাকবেন ❤️
খাবারের যা ফিরিস্তি তাতে তো মনে হচ্ছে জা .............. না থাক মনের কথা মনেই থাক। সুযোগ পেলে শুনবো যদি বলতে চাও।হি হি।তবে হ্যা বৃষ্টির মজাটা নিয়েই ফিরেছো কিন্তু আমাদের এখানে আমি এখনও বৃষ্টি বিহীন দিন পার করছি। সপিংমলের ভিতর বেশ পরিস্কার পরিছন্ন , ছিম ছাম সুন্দর।
পুরোনো কথা ভুলতে হয়তো পারবো না কখনো। কিন্তু আর মনে করতে চাই না দাদা। বৃষ্টি টা হয়তো আমার জন্যই অঝোরে ঝরছিল। প্রণাম রইলো।
ইছু স্মৃতি প্রতিনিয়ত আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। আমাদের জীবনে অনেক কিছুই ঘটে যায়। যা আমাদের কাছে স্বপ্নের মত লাগে। যাই হোক আলোকচিত্র গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। বইয়ের আলোচিত্রটি অসম্ভব সুন্দর। আর হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন আপনি কলকাতায় গেলেই বৃষ্টি, হাহা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বৃষ্টি আমার হয়ে কেদে দেয় বার বার 😉😉। ভালোবাসা রইলো ভাই ❤️❤️