অবশেষে আমি তাহাকে পাইলাম 😉😊

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,,

মোটামুটি ১৫ দিন আগে মূল সার্টিফিকেট উঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজ পত্র জমা দিয়েছিলাম। আর্জেন্ট ভাবে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম এবং সেই জন্য এক্সট্রা ফিসও দিতে হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম ৭ দিনের মাঝেই হয়তো পেয়ে যাব। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। রোজ অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করতাম কাজ টা হলো কিনা দেখার জন্য। ফলাফল একদম শূণ্য। গতকাল হঠাৎ করে সন্ধ্যে বেলা স্ট্যাটাস চেক করতেই দেখি রেডি ফর ডেলিভারি দেখাচ্ছে। মনটা বেশ খুশি খুশি হয়ে গেল। একটা টেনশন থেকে যেন বাঁচলাম।

IMG_20220922_142309.jpg

Location

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ভাবলাম আজকেই সার্টিফিকেট টা তুলে নিয়ে আসবো। আর দেরি করব না। না হলে শুক্রবার শনিবার দুই দিন ছুটি। মূল সনদপত্রের জন্য বেশ কিছু কাজ আটকে আছে। তাই সকাল বেলা খাওয়া দাওয়া করে কিছুটা রেস্ট নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে। রুম থেকে বেরোনোর পর টের পেলাম সূর্য যেন আমার ওপর বেজায় চটেছে আজ। এত তাপ রোদের। গরমে খুব খারাপ অবস্থা রীতিমত। কি আর করার, ওভাবেই রওনা দিয়ে দিলাম। রাস্তায় যানজট আরো যেন অবস্থা খারাপ করে দিল।

IMG20220922120401.jpg
Location

IMG20220911120309.jpg
Location

নীলক্ষেত থেকে সোজা চলে গেলাম রেজিস্টার বিল্ডিং এর তিন তলায়। সেখানে গিয়ে পনের মিনিটের মত লাইনে দাড়াতে হলো। তারপরেই পেয়ে গেলাম মূল সার্টিফিকেট। একটা প্রশান্তি কাজ করলো নিজের ভেতরে। মাঝে মাঝে অবাক হই পড়াশোনা শেষ করলাম কি করে! 🤪 এই সার্টিফিকেট দিয়ে আমাকে সামনে এগোতে হবে। বাকি দিন গুলোতে যে যে কাজই করবো এটাই হবে আমার প্রধান অস্ত্র 😅।

IMG20220922120656.jpg
Location

IMG20220922121102.jpg
Location

তারপর সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে সোজা চলে আসলাম বুয়েট ক্যাম্পাসে আমার বন্ধুর হলে। ঢাকা ভার্সিটির আশেপাশে রিক্সা নিয়ে ঘুরতে আমার দারুন লাগে। আশে পাশে বড় বড় গাছ পালা। একটা শীতল বাতাস যেন সব সময় গায়ে লাগে। খুব ভালো লাগছিল সত্যিই। তারপর তো বন্ধুর সাথে নানান ব্যাপারে কথা বলেই সারা দিন শেষ করে সন্ধ্যা বেলা বাড়ি আসলাম। ভার্সিটিতে সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট সংক্রান্ত সব ধরনের কাজ শেষ। এখন আর কিছু কাজ বাকি আছে যেগুলো জোগাড় করে ফেললেই নেক্সট স্টেপে এগোতে পারবো। দেখা যাক সময় এখন কোন দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

Sort:  
 2 years ago 

মাঝে মাঝে অবাক হই পড়াশোনা শেষ করলাম কি করে! 🤪

মাঝে মাঝে এই প্রশ্ন আমিও নিজেকে করি। আসলে আমরা যেমন খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠি মাঝে মাঝে মনে হয় এতগুলো বই কি করে পড়েছিলাম। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল সারা বছর পড়া না হলেও পরীক্ষার আগের দিন মনে হয় পড়ার গতি 10 গুণ বেড়ে গেছে। এভাবে যদি সারা বছর পড়তাম তাহলে পড়ার জন্য অবশেষে কোন বই বাকি থাকতো না 😅।যাইহোক নিজের জীবনের সফলতার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার পেয়ে গেছেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি দ্বিতীয় পদক্ষেপে এগিয়ে যাবেন এবং সফল হবেন।

 2 years ago 

পরীক্ষার আগের রাতে এক একটা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র যেন নতুন এক একটা ইতিহাস রচনা করে ফেলে 😅। দোয়া করবেন আপু খুব তারাতারি যেন কিছু একটা করে উঠতে পারি। অনেক ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

যাইহোক এই একখানা কাগজ জার জন্যে জীবনে এত পরিশ্রম এত পথ পাড়ি দেওয়া।এখন এই কাগজের উপর দুলছে আপনার ভবিষ্যত হাহা😍।দোয়া করি এই কাগজের সঠিক হাল হবে।🖤

 2 years ago 

এই এক খানা কাগজ আমাদের সকলের জীবনের চাবি কাঠি রে ভাই। দোয়া করবেন যেন সঠিক মূল্য দিতে পারি।

 2 years ago 

ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে কখনো আমার রিকশায় চড়া হয়নি তবে বাইকে প্রচুর ঘুরাঘুরি করা হয়েছে। সত্যি বলতে ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রতিটা জায়গা অনেক সুন্দর এবং খুব ভালো লাগে কারণ এখানে মনে হয় একটি শান্তির নিঃশ্বাস নেয়া যায়। আপনার সার্টিফিকেট হাতে পাওয়া দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। মজার ব্যাপার হচ্ছে যেই লাউ সেই কদু এই লাইনটুকু। সামনে দুই দিন বন্ধ এজন্য বৃহস্পতিবার আপনি সার্টিফিকেট তুলে নিয়ে খুব ভালো একটি কাজ করেছেন। বাংলাদেশে আসলেই সরকারি প্রতিটি কাজের জন্য অনেক ধৈর্য এবং সিরিয়াল ধরে থাকতে হয়। যাইহোক সর্বশেষে নিজের প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন এতেই আলহামদুলিল্লাহ। তবে ভাই গতকাল আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির পাশেই ছিলাম প্রচুর পরিমাণ গরম ছিল গতকাল🥹।

 2 years ago 

ওরে ভাই গরমে একদম নাজেহাল হয়ে গিয়েছিলাম। সব তো পেয়ে গেলাম। এবার দেখা যাক কতটা কাজে লাগাতে পারি। সব সময় পাশে থাকবেন ভাই। ভালোবাসা রইলো।

 2 years ago 

যাক অবশেষে সার্টিফিকেটটা হাতে পেয়েছেন অনেক জায়গায় চরাই উৎরাই পেরিয়ে। এখন আশা করছি ভালো খবর খুব দ্রুতই পাবো। এই ক্যাম্পাস এলাকাটা এত সুন্দর যে রিক্সায় ঘুরতে ভালো লাগারই কথা। গাছপালা দেখে কেমন শান্তি শান্তি লাগছে।

 2 years ago 

আসলেই অনেক মজা রিকশা তে ঘুরতে ক্যাম্পাসের ভেতরে। মাঝে মাঝে চলে আসবেন আপু ,,, দেখবেন সেই পুরনো দিনে ফিরে গেছেন ক্ষণিকের জন্য হলেও। আর এই ভাই এর জন্য দোয়া করবেন, যেন খুব তাড়াতাড়ি ভালো কিছু করতে পারি।

 2 years ago 

ঢাকা শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে এইরকম ছায়াঘেরা জায়গাগুলো আমার বেশ ভালো লাগে। সত্যি ভাই শুধু সার্টিফিকেট না বাংলাদেশে যেকোন কাগজ তোলা বেশ ঝামেলার কাজ। পনেরদিন সময় লেগে গেল ভাবা যায়।।

 2 years ago 

আমাদের দেশের সরকারী সব কাজ করতে নিলেই অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় ভাই। কিছু করার নেই,, এটাই এখন সিস্টেমে পরিণত হয়ে গেছে।

 2 years ago 

অবশেষে আমি তাহাকে পাইলাম

দাদা এটা শুধু আনন্দ নয় ৷এটা হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ ৷যেমন আমরা কোনো কাজ করলে তার বিনিময়ে টাকা পাই ৷ঠিক তেমনি এই সার্টিফিকেট যেটা আমরা কাজ করে পেয়েছি ৷ যেটা এমনি এমনি পাই নি ৷
যা হোক আপনার লক্ষ পূরনে সামনের দিকে এগিয়ে যান ৷
ভালো লাগলো আপনার পাওয়া সার্টিফিকেট দেখে ৷
শুভকামনা রইল অবিরাম ৷

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন। চার বছর পড়াশোনা করে তারপর এই অর্জন। শুধু চার বছর বললে ভুল হবে, বলা যায় সারা জীবনের লেখাপড়ার আল্টিমেট সার্টিফিকেট এটা। এবার বাকি পথে এগিয়ে যাওয়ার পালা। অনেক ভালো থাকবেন দাদা।

 2 years ago (edited)

আর কি বলব দাদা টাইটেল পড়ে মনে পড়ে গেল রবি ঠাকুরের সেই হৈমন্ত্রির গল্পের নায়কের কথা। হৈমন্তী গল্পের নায়কের বিশেষ উক্তি ছিল এটা 'আমি ইহাকে পাইলাম'। আর যাই হোক খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। দোয়া করি যেন ভালো কিছু হতে পারেন।

 2 years ago 

হাহাহাহা বেশ বলছেন। টাইটেল টা লেখার সময় আমার নিজেরও তাই মনে হয়েছিল। ভালো থাকবেন ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 99331.95
ETH 3298.98
USDT 1.00
SBD 3.05