চলুন একটু মিষ্টি মুখ করে নেই আজ 😊😊 || মিষ্টি হাবের মিষ্টি, মুখে স্বাদের বৃষ্টি 😍🤗
নমষ্কার,,
কোলকাতা ঘোরাঘুরি নিয়ে তো অনেক ধরনের পোস্ট করেছি এক মাস হলো। তবে খুব অল্প সময়ে ভালো লেগে গেছে এমন একটা জায়গার গল্প করা এখনও বাকি রয়ে গেছে। আজ আপনাদের নিয়ে যাব সেই মজার একটা জায়গায়।
সাইন্স সিটি থেকে বের হয়ে দাদা বললো ইকো পার্কে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমার আর শরীর পারছিল না। গায়ের ভেতরে যে জ্বর এসে গিয়েছে দিব্যি বুঝতে পারছি। তাই আমিই বললাম আর কোথাও যাব না দাদা। এবার ফেরা যাক। তো তখন নিলয় দা বার বার বলছিল ইকো পার্কের পাশে অবস্থিত মিষ্টি হাবে যাওয়ার ব্যাপারে। প্রথমে রাজি না হলেও নিলয় দা বার বার এমন ভাবে বলছিল যে না গেলে সত্যিই অনেক বড় কিছু মিস হয়ে যাবে। দাদাও মিষ্টি হাবের ভেতরে যায় নি কখনো। সেদিনই প্রথম। তো আমরা সাইন্স সিটি থেকে সোজা চলে যাই মিষ্টি হাবের দিকে।
কিছুটা জ্যাম ছিল রাস্তায়। বেশ ভালই সময় লাগলো পৌঁছতে। আর গাড়ি থেকে নেমে তো আমি পুরো অবাক মিষ্টি হাব দেখে। এত চমৎকার একটা জায়গা । বাইরের ডেকোরেশন টাও মন ভোলানো একদম। দাদারও খুব পছন্দ হয়ে গেল। বাইরের দুইটা ছবি তুলে নিলাম সাথে সাথে। দেখি দাদাও ছবি তুলছে।
তারপর ভেতরে প্রবেশ করলাম আমরা তিন জন। পুরো চোখ ধাঁধানো একটা আয়োজন ভেতরে। এত এত ধরণের মিষ্টির ষ্টল। আর এত রকমের মিষ্টি আমি এর আগে কখনো দেখি নি। মোটামুটি ভারত বর্ষের সব সব ধরনের মিষ্টি সেখানে পাওয়া যায়। বেশ বড় একটা জায়গা জুড়ে মিষ্টি হাব টা বানিয়েছে।
তারপর নিলয় দার পছন্দ করা একটা মিষ্টি আমরা তিনজন মিলে নিলাম। মূলত ঐ মিষ্টি টা খাওয়ার জন্যই আমাদের মিষ্টি হাবে যাওয়া। একবার মুখে দেওয়ার সাথে সাথে সবাই যেন বাহ্ বাহ্ করতে লাগলাম। স্বাদে পুরো মাখন 👌👌👌👌 মুখে যেন অমৃত পরলো। হিহিহিহি। আর সত্যি বলতে এত এত আইটেমের মিষ্টি চোখ দিয়ে দেখেই যেন তৃপ্তি পেলাম একটা।
বেশি সময় না নিয়ে তারাতারি রওনা দিলাম। যেহেতু ইকো পার্কের পাশেই এটা তাই ফেরার সময় রাস্তা দিয়ে ইকো পার্কের কিছু অংশ দেখতে পাচ্ছিলাম। গাড়ি থেকেই দুটো ছবি তুলে নিলাম। বিশাল বড় এরিয়া জুড়ে ইকো পার্ক। পরের বার এখানে ঘুরব দাদাকে বললাম। ও হ্যাঁ আসার সময় বিশ্ব বাংলা ক্যাফেও দেখলাম। সত্যি অপূর্ব লাগে দেখতে রাতের বেলায়। ঐ দিন মনে মনে ঠিক করে নিয়েছি এরপর কলকাতা গেলে মিষ্টি হাবে যাওয়া একবারের জন্যও মিস করবো না। আপনারাও চেষ্টা করবেন একবার হলেও যাওয়ার। এত চমৎকার সব কিছু ভালো না লেগে উপায় নেই 😊😊🙏।













ভারত বর্ষের সব মিষ্টি পাওয়া যায় তাইলে এই মিষ্টি হাবে।আসলেই দেখে অবাক হলাম।এত বড় এরিয়া নিয়ে এই মিষ্টি হাব।হবেই বা না কেন ভেতরে তো মিষ্টির সমাহার।দাদাকে নিয়ে বেশ জমিয়ে খেয়েছেন মিষ্টি। মিষ্টি জাতীয় খাবার দেখলে লোভ সামলাতে পারিনা।😋
আমি নিজেও খুব পছন্দ করি মিষ্টি। একবার গিয়েই প্রেমে পরে গিয়েছি জায়গাটার 😊
সত্যি দাদা নিলয় দার পছন্দের মিষ্টি খাওয়ার সময় আপনারা তিনজন খাওয়ার সময় বাহ বাহ করে খাচ্ছিলেন ওই সময়টা সত্যি আমার মুখে জল এসে গেল। ভালো কথা চমৎকার মিষ্টি খেয়েছেন তাই বলে আমাদেরকে এভাবে ওহ আহ্ শব্দ করে খেতে হবে, আমাদের কষ্ট হয় না। হাহাহাহা দাদা মজা করলাম। আপনার পোস্টে মিষ্টি হাবের কথা শুনে মন চাচ্ছে যে কয়েক দিনের মধ্যে গিয়ে ঘুরে আসি আর পছন্দের মিষ্টিগুলো খেয়ে আসি।
হিহিহিহি,,,, দারুন মজার একটা কমেন্ট করেছেন। তবে ভাই কখনো কলকাতা গেলে এখানে ঘুরতে যেতে ভুলবেন না একদম। খুব ভালো লাগবে 😊🙏
দারুন বলেছেন ভাই,,,,, সেই রসগোল্লা! খুব মজা লাগতো পড়ে। আর আমি নিজেও প্রথম বারের মত এত বড় মিষ্টি হাব দেখলাম। গেলে একদম মিস করবেন না।
আসলেই তাই,,, এই স্বাদের ভাগ হবে না কোন 🥰
শুধু দেখালে হবে দাদা।জীভে তো জল এসে যাচ্ছে।কিছু পাঠিয়ে দিন।নিলয় দার পছন্দ আছে বলতে হবে।সেরা মিষ্টি টাই বেছে নিয়েছেন।দোকানের নামের সাথে কাজের মিল আছে।কখনো ওপারে গেলে ঘুরে আসব এখান থেকে।
ওখানে গেলে চোখ দিয়ে দেখেই অর্ধেক পেট ভরে যায় ভাই। এত বাহারী সব মিষ্টি। কোলকাতা গেলে একদম মিস করবেন না। 😊
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই মিষ্টি হাবে চলে যেতে। আসলে ডেকোরেশনটা মন ভোলানো। ইচ্ছে করছে মাছি হয়ে গিয়ে সব খেয়ে ফেলতে 😁। পরের বার কলকাতা গেলে আমাদের জন্য মিষ্টি নিয়ে আসবেন।
হিহিহিহি দারুন বলেছেন,,, মাছি হলে সব মিষ্টির টেস্ট করা যেত 😉। দারুন বুদ্ধি আপনার আপু। পরের বার নিয়ে আসবো সবার জন্য অবশ্যই 🥰।
মিষ্টি হাবের ডেকোরেশন তো অসম্ভব সুন্দর। দেখে তো চোখ জুড়িয়ে গেল। তাছাড়া এত রকমের মিষ্টি কোনটা রেখে কোনটা খাব তা চিন্তা করতেই তো অনেক সময় পার হয়ে যাবে। অবশ্য আপনারা যে মিষ্টি খেয়েছেন সেই মিষ্টির চেহারাই বলে দিচ্ছে যে অসম্ভব মজাদার ছিল। না গেলে কিন্তু মিস হয়ে যেত এত চমৎকার একটি জায়গা এবং মিষ্টি । গাড়ি অনেক জোরে চলছিল নিশ্চয়ই যার কারণে ইকো পার্কের ছবিগুলো একদম ঘোলা এসেছে।
সামনে থেকে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগে আপু। না গেলে সত্যিই মিস হয়ে যেত। আর আমি আসলে ছবি তোলার জন্য রেডি ছিলাম না। হঠাৎ দেখি ইকো পার্কের তাজমহল , সাথে সাথে ক্যামেরা অন করে তুলেছি,, তাই জন্যই হাত কেপে গিয়েছিল একটু আপু।
দাদা নিলয় দাদার কথামতো মিষ্টি হাবে গিয়ে ভালই করেছেন।মিষ্টি হাবের স্থানটি আমাদের প্রিয় দাদা খুবই পছন্দ করেছে এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো দাদা।মিষ্টি হাবের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে পুরো ভারতবর্ষের সকল ধরনের মিষ্টিই সেখানে তৈরি হয়।মিষ্টি হাবের মিষ্টিগুলো দেখে এক ধরনের লোভ লেগে গেল। অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেয়ার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আমার তো ইচ্ছে করছিল পুরো মিষ্টি হাব টা তুলে নিয়ে আসি 😊। সত্যিই চমৎকার একটা জায়গা এবং অনেক অপূর্ব পরিবেশ ভেতরে। সুযোগ পেলে একবার ঘুরে আসবেন ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।