ভ্রমন: মৌসুনি আইল্যান্ড (পর্ব- ০৬)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। তোমরা সবাই জানো যে, বেশ কিছুদিন আগে আমি বন্ধুদের সাথে মৌসুনি আইল্যান্ড নামক একটি জায়গায় ঘুরতে গেছিলাম ।
এই মৌসুনি আইল্যান্ড ঘুরতে যাওয়া নিয়ে অলরেডি তোমাদের সাথে পূর্বে পাঁচটি পর্ব শেয়ার করেছি। আজকে আমি সবার সাথে ষষ্ঠতম পর্বটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
দুপুরের দিকটাতে বন্ধুরা সমুদ্র স্নান করে চলে আসে । আমি তাদের জন্য অপেক্ষাই করছিলাম রিসোর্ট এর একটা অংশে বসে। সমুদ্র স্নান করে আসার পর রিসোর্টে এসে তারা পুনরায় আবার স্নান করে নেয় কারণ নোনা আর কাঁদা জলে তারা স্নান করে এসেছিল। কাঁদা ও নোনা জলে তারা যেভাবে ঝাপাঝাপি করে এসেছিল, পুনরায় যদি রিসোর্ট এসে স্নান না করতো তাহলে তারা পুরোপুরিভাবে ফ্রেশ হতে পারত না। তাদের স্নান করা কমপ্লিট হলে আমিও স্নান করে নি । তারপরে সবাই আমরা দুপুরের খাবার খেতে যাই। দুপুরের আয়োজন রিসোর্ট থেকেই করেছিল। এই আয়োজনে বিভিন্ন প্রকারের সবজি, মাছ, ডাল ও আলু ভাজি ইত্যাদি ছিল।
খাওয়ার সময় যদিও ফোন নিয়ে যায়নি তাই সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো আর তোলা হয়নি । যাইহোক দুপুরের খাওয়া শেষ করে আমরা আমাদের রুমে এসে কিছুটা সময় বিশ্রাম করি এবং বিকাল হওয়ার কিছুটা আগে আমরা পুনরায় অন্য আরেকটা দিকে ঘুরতে যাব বলে প্ল্যান করি। আমরা এই মৌসুনি আইল্যান্ডে যাওয়ার পর থেকে যে এলাকাগুলো ঘোরাঘুরি করেছিলাম সেগুলো ছিল আমাদের রিসোর্টের সামনে এবং আশেপাশের কিছু জায়গা। তাই আমরা ভেবেছিলাম অনেকটা দূরে যাব সি বীচের অন্য প্রান্তে কি রয়েছে তাই দেখার জন্য। এই জায়গাটি পুরোপুরি আমাদের জন্য নতুন ছিল । আমরা প্রথমবারের মতোই এইখানে সবাই গেছিলাম। যাইহোক বিকেল হওয়ার সাথে সাথে আমাদের অজানা পথের উদ্দেশ্যে জার্নি শুরু হয়।
আমরা সমুদ্রের বীচের উপর দিয়েই হেঁটে অন্যদিকে যাচ্ছিলাম যে দিকটাতে আমরা আগে কখনোই যায়নি। এই সময়টাতে জোয়ার চলছিল। এজন্য অনেক বড় দেখা যাচ্ছিল 'সি বীচ' টি। এই সময় আমাদের চোখে পড়ে কাদামাটির বিভিন্ন ধরনের স্তর । এই কাদার মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়াও বেশ কষ্টকর ছিল। পা পিছলে এই কাদার মধ্যে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যেহেতু আমাদের পড়ে যাওয়ার ভয় করছিল, সেই জন্য আমরা পায়ের জুতো খুলেই খালি পায়ে এই কাদামাটির পথ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম সামনের দিকে । এই সময় চারপাশের দৃশ্য বেশ অসাধারণ লাগছিল। বিকালের মুহূর্ত ছিল তাই সূর্য ডুবে যাবে এরকম একটা দৃশ্য আমাদের চোখে পড়েছিল। আমরা হেঁটেই যাচ্ছিলাম কিন্তু আমাদের গন্তব্য কোথায় সেটা আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছিলাম না। আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে মজা করতে করতে যাচ্ছিলাম। এই সময় যে যার ফোনে গান বাজিয়ে, গান শুনতে শুনতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম অজানা কোন গন্তব্যে।
এই সময় আমরা নিজেদের অনেক ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ভিডিওগ্রাফিগুলো যদিও আজকের ব্লগে শেয়ার করবো না। আজকের ব্লগে শুধুমাত্র সেই সময়ের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: মৌসুনি আইল্যান্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
আপনার ভিডিওগ্রাফি পোস্ট গুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভাই। মৌসূনি আইল্যান্ড এর ভিউটা দারুণ। আর সমুদ্রে গোসল করলে পরবর্তীতে ভালো পানি দিয়ে গোসল করা প্রয়োজন। না হলে গায়ে লবনের একটা আস্তরণ পড়ে যায়। মৌসূনি আইল্যান্ড এর ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ঠিক আছে ভাই সেই দিনের করা ভিডিওগ্রাফি টি কোন এক সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
অচেনা স্থান দেখতে এবং অচেনা স্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে আমি বেশ পছন্দ করে থাকি। আজকে আপনি আমাদের মাঝে ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে আবারো নতুন কিছু দেখতেও জানতে পারলাম এই স্থান সম্পর্কে। হয়তো খাওয়ার মুহূর্তে ফোন নিয়ে যেতেন তাহলে আরো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ পেতাম।
আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।