(এসো নিজে করি) রেসিপি || মসুর ডাল দিয়ে কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি ।
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি নতুন রেসিপি শেয়ার করব। আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি, তোমাদের সাথে নতুন নতুন রেসিপি করে শেয়ার করার জন্য। এই গুলো করার ফলে আমিও বাড়িতে নতুন নতুন রেসিপি টেস্ট করার সুযোগ পাই। এই রেসিপি তৈরির কাজ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। যাইহোক, আজকে তোমাদের সাথে মসুর ডাল দিয়ে কুমড়ো ফুলের বড়ার একটি রেসিপি শেয়ার করবো। এটি ব্যক্তিগতভাবে আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি রেসিপি। তবে এই রেসিপিটি বাড়িতে অন্যদিন যেভাবে করি, তার থেকে আজ কিছুটা ভিন্ন ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এই রেসিপিটি খুবই সহজ একটি রেসিপি। তোমরা যে কেউ চাইলেই এই রেসিপিটি বাড়িতে তৈরি করতে পারবে। যাইহোক, রেসিপিটি সহজ ভাবে তৈরি করা গেলেও খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। তোমরা যারা বাড়িতে এই রেসিপিটি তৈরি করে খেয়েছ তারা নিশ্চয়ই জানবে এর টেস্ট সম্পর্কে। যাইহোক, আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি ধাপে ধাপে নিচে দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কুমড়ো ফুল | কিছু সংখ্যক |
মসুর ডাল | ১ কাপ |
পেঁয়াজ | ৩ টি |
কাঁচা লঙ্কা | ৪ টি |
বেসন | ২ চামচ |
চালের গুড়ো | ২ চামচ |
জিরে | ১ চা চামচ |
লবণ | ১ চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | ১ চামচ |
তেল | পরিমাণ মতো |
⏩ প্রস্তুত প্রণালী ⏪
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে, মিক্সিতে মসুর ডালগুলো ভালো করে বেটে নিলাম। এখন কুমড়ো ফুলের নিচের অংশ কেটে নিলাম এবং পেঁয়াজ ও কাঁচা লঙ্কা কুচি কুচি করে কেটে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার বেটে নেওয়া মসুর ডালের উপর হলুদ গুঁড়ো, লবণ, জিরে ও বেসন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এই ধাপে, মসুর ডালের ব্যাটারটিতে চালের গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এবার একটি প্যানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে কুমড়ো ফুল গুলোর গায়ে মসুর ডালের ব্যাটার ভালো করে লাগিয়ে লো ফ্রেমে বড়াগুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
এবার সব বড়া গুলো ভাজা হয়ে গেলে, একটি প্লেটে নামিয়ে ভাতের সাথে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করে নিলাম।
🥀পোস্ট বিবরণ🥀
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
রেসিপি মেকার ও ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করা এই রেসিপি আমি অনেক বার খেয়েছি। আসলে এই রেসিপি গুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে। রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করেছেন মনে হচ্ছে অনেক স্বাদ হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটি আপনার কাছে লোভনীয় লেগেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ, আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মচমচে কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। বেশ ভালো লাগলো আপনার ইউনিক একটি রেসিপি দেখে। কুমড়ো ফুলের বড়া আমি বেসন ব্যবহার করে তৈরি করেছি। তবে এর মধ্যে কখনো মসুর ডাল বাটা কিংবা পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়নি। খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ভালো লাগলো ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেরে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটা যে আপনার কাছে ইউনিক এবং ভালো লেগেছে তা জেনে খুব খুশি হলাম আপু। আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কুমড়ো ফুলের বড়া চালের গুড়ি দিয়ে খেয়েছি কিন্তুু কখনো এভাবে মসুর ডাল দিয়ে বড়া ভেজে খাওয়া হয়নি।চমৎকার হয়েছে খেতে নিশ্চয়ই। ধাপে ধাপে মসুর ডাল দিয়ে কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপিটি চমৎকার ভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর বড়া রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ দিদি, চমৎকার হয়েছিল খেতে রেসিপিটি। এভাবে একবার মসুর ডাল দিয়ে কুমড়ো ফুলের বড়া ভেজে খেয়ে দেখতে পারেন, আশা করি ভালো লাগবে।
https://twitter.com/ronggin0/status/1778019560618439077?t=CZe8P-SSbVxAfo9wSRNmTw&s=19
অও,অনেক মজার ও আমার প্রিয় একটি রেসিপি তৈরি করেছো দাদা।এটি মসুরের ডাল দেওয়াতে আমার কাছেও ভিন্ন লেগেছে।কারণ আমরা সবসময় বেসন কিংবা চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করে থাকি।প্রায় এক দুইদিন অন্তর অন্তর খাওয়া পড়ে কারন আমাদের ক্ষেতে খুবই ফুল ফোটে।কখনো আবার নস্ট হয়ে যায়, যাইহোক তুমি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছো।দেখেই বোঝা যাচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে আর খেতেও মন চাইছে,ধন্যবাদ তোমাকে।দাদা,পেঁয়াজের পাশে ওইগুলো কি আমের জেলি?
বাহ! বেশ দারুন ব্যাপার বোন। আমাদের যদিও এমন ভাবে খাওয়ার সৌভাগ্য হয় না এই কুমড়ো ফুল । আমরা মাঝে মাঝে বাজার থেকে কিনে আনি এই গুলো ভেজে খাওয়ার জন্য।
দাদা,আমি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তরটা পেলাম না।😊
কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে। অনেকবার কুমড়ো ফুলের বড়া তৈরি করে খেয়েছি। কিন্তু কখনো এভাবে মসুর ডাল সহ ভাজি করিনি। আমরা তো ময়দার সাথে এটি তৈরি করতাম। অনেক সুন্দর ভাবে সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এভাবে একদিন মসুর ডাল দিয়ে ভেজে কুমড়ো ফুলের বড়া খেয়ে দেখবেন, আশা করি অনেক ভালো লাগবে আপু।
এভাবে খেতে পারলে দারুন লাগতো। এভাবে ভাজাপোড়া খেতে ভালো লাগে। ভাতের সাথে দারুন লাগে। চালের গুঁড়ো ব্যবহার করলে খেতে মচমচে হয়। দারুন রেসিপি এটি।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটি যে আপনার কাছে দারুণ লেগেছে, সেটা জেনে ভালো লাগলো আপু।
বেশ দুর্দান্ত রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। মসুর ডালের পেয়াজু আমার খুব পছন্দের। মসুর ডাল দিয়ে কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। মসুর ডাল দিয়ে কুমড়ো ফুলের বড়া রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া বেশ অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার শেয়ার করা এই কুমড়ো ফুলের বড়া তৈরির প্রক্রিয়াটি আপনার কাছে অসাধারণ লেগেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই।
কুমড়ো ফুলের বড়া এর আগেও খেয়েছি, তবে এভাবে মসুর ডাল দিয়ে কখনো খাইনি। আপনি দেখছি বেশ ভিন্নভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আসলে পোস্ট করার জন্য হলেও আমাদের নতুন নতুন রান্না শেখা হয় আর টেস্ট করার সুযোগও মেলে। যাইহোক রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দিদি, এইভাবে একবার কুমড়ো ফুলের বড়া তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি, অনেক ভালো লাগবে।
কুমড়া ফুল দিয়ে ছোটকালে অনেক চপ ভেজে খেয়েছি। কিন্তু মুসুরির ডাল দিয়ে কখনো বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আসলে মসুরের ডাল দিয়ে যে কুমড়োর বড়া তৈরি করা যায় সেটা জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে সেটা জানতে পারলাম। খুব সুন্দরভাবে কুমড়া বড়া তৈরি করেছেন দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে ভাই খেতে নিশ্চয়ই খুব মজার হয়েছিল?