ভ্রমন: রঙ্কিনী দেবীর মন্দির (পর্ব -০৩) শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম । আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ভ্রমণ মূলক একটি পোস্টের শেষ পর্ব শেয়ার করব। কয়েক মাস আগে রঙ্কিনী দেবীর মন্দির গেছিলাম তাই নিয়ে অলরেডি অনেক কথা শেয়ার করেছি । বাকি আর যে কথাগুলো ছিল এই শেষ পর্বেই শেয়ার করছি।

20230224_115626.jpg

20230224_115619.jpg

দ্বিতীয় পর্বের লিংক

অবশেষে সেই অমাবস্যার দিন আসে যেদিন ইন্দ্রসেনের বলি দেয়ার মুহূর্ত ঠিক হয়। ধোবিঘাট নামক জায়গাটিতে আনা হয় ইন্দ্রসেনকে। বলি দেওয়ার জায়গায় রাখা হয় ইন্দ্রসেন এর গলা। আর খড়গ হাতে প্রস্তুত থাকে রাজার লোক বলি দেওয়ার জন্য । যে মুহূর্তে বলি দিতে যাবে ঠিক সেই সময় হঠাৎ করেই প্রচন্ড জোরে বজ্রপাত শুরু হয় । ঝড়ের রুপ নেয় হঠাৎ প্রকৃতি এবং মা রঙ্কিনী দেবী আবির্ভূত হয় অস্ত্র হতে। রাজার যে লোক বলি দেওয়ার জন্য উদ্যত হয়েছিল তার মস্তক রঙ্কিনী দেবী তার অস্ত্রের আঘাতে ছিন্ন করে দেয়। মা রঙ্কিনী দেবী নিজেই নর বলির পক্ষে ছিল না । তার প্রমাণ পাওয়া যায় এই ঘটনাটি থেকে। তারপর রাজা বিক্রম দেব বুঝতে পারে এই নর বলি কতটা অমানবিক একটি কাজ।

20230224_115631.jpg

20230224_115637.jpg

তারপর থেকেই নরবলি দেওয়ার প্রথা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় । এই ঘটনার পর চিত্রলেখা এবং ইন্দ্রসেনের প্রেমের বিষয়টা রাজা বিক্রম দেব মেনে নেয়। এটাই হলো এখানকার প্রচলিত জনপ্রিয় ঘটনা এখানে নর বলি দেওয়ার প্রথা কে নিয়ে । নর বলির এই ঘটনাটি শুনতে শুনতে আমাদের গায়ে কাটা দিয়ে উঠছিল। বেশ ভয়ংকর ছিল এই ব্যাপার গুলো । যাইহোক আমরা গল্প শোনা শেষ করে চারপাশে অনেকটা ঘুরাঘুরি করছিলাম। এখানে পাশে যে পাহাড় ছিল আমরা সেই পাহাড়ের চূড়াতে উঠেছিলাম। পাহাড়ের উপরে একটি মন্দির ছিল কিন্তু মন্দিরটি অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছিল এরকম মনে হচ্ছিল। খুবই ছোট্ট একটি মন্দির ছিল সেটি।

20230224_115814.jpg

20230224_115608.jpg

এই পাহাড়ের উপরে উঠতে আমার খুবই ভয় লাগছিল কিন্তু তারপরও আমরা কয়েকজন বন্ধু একসাথে ছিলাম বলেই সাহস নিয়ে উপরে উঠেছিলাম। এখানে আসার পরে আমরা অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম । স্থানীয় একটি দোকান থেকে কিছু খাবার দাবার কিনে নিয়েছিলাম পাহাড়ে ওঠার সময়। পাহাড়ের উপরের মন্দিরের সামনের একটি জায়গায় বসে সবাই মিলে ওই খাবার গুলো খেয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করছিল । মন্দিরে এসে মা রঙ্কিনী দেবীর দর্শন, মন্দির সম্পর্কে অনেক কিছু জানা, পাহাড়ে চড়া সব কিছু মিলিয়ে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেখানে গিয়ে। এই জায়গাটিতে প্রায় দু'ঘণ্টার মতো সময় কাটিয়ে আমরা আমাদের অন্য একটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করি।

20230224_115436.jpg

20230224_114638.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনরোহিনীবেরা, জাদুগোড়া ,জামশেদপুর , ঝাড়খণ্ড , ভারত।

রঙ্কিনী দেবীর মন্দির যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্বের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last year 

ভাইয়া নর বলির গল্পের সাথে আশে পাশে জায়গাটাও খুবই ভয়ংকর। ফটোগ্রাফির মাধ্যমেই সেটা ফুটে উঠেছে। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

ভাই নর বলি দেওয়ার জায়গাটাতে গিয়ে খুবই ভয় লেগেছিল সেই দিন আমার। শেয়ার করা পোস্টটির মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু জানতে পারলেন জেনে ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56586.95
ETH 2389.49
USDT 1.00
SBD 2.34