ট্রাভেল || বাংলাদেশ ভ্রমণ: গ্রাম ঘুরে দেখা (পর্ব -০২)
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে ভ্রমনমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করবো তোমাদের সাথে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রাম অনেক ভালোবাসি। গ্রামের সৌন্দর্যে বারবার মুগ্ধ হয়ে যাই। গ্রামের প্রকৃতির মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারলে আমার অনেক ভালো লাগে। যাইহোক, বেশ কিছুদিন আগে আমি বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য গেছিলাম। আশা করি, এই সম্পর্কে তোমরা সবাই অবগত আছো। বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে আগে টুকটাক তোমাদের সাথে শেয়ারও করেছি।
আজকের দ্বিতীয় পর্বের এই ব্লগে গ্রাম ঘুরে দেখা সম্পর্কে আরো কিছু কথা শেয়ার করব।
আমরা গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে ছোট্ট একটা ব্রিজের দেখা পাই। ব্রিজটি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল নতুন করেছে ব্রিজটি । খালের উপর ব্রিজটি করা ছিল একপাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়ার জন্য। এই খালটি তিনটি পার্টে বিভক্ত ছিল। মেইন খাল ছিল এবং পাশ দিয়ে দুটি অংশে খাল বিভক্ত হয়ে গেছিল। আর এই ব্রিজটি বড় অংশের উপর ছিল। ব্রিজের এক পাশে মোটামুটি লোক বসতি অনেকই ছিল তবে ব্রিজের অন্য পাশে লোক বসতি তেমন একটা ছিল না। কারণ ওই অংশে ছিল বিল।
মানুষ যেন বিলে সঠিকভাবে যেতে পারে সেই জন্যই মূলত এই খালটি করেছিল যা দেখে মনে হচ্ছিল। কারণ খালের অন্য পাশে ছিল চাষ করার জন্য একর একর জমি। বিকালের সময়টাতে এখানে আসার পরে একটা আলাদাই ভালো লাগা কাজ করছিল। আমরা ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে ব্রিজের দুই পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি। জাস্ট অসাধারণ লাগছিল এরকম দৃশ্য দেখতে। অনেক দূরে ধোঁয়া উড়ে যাওয়ার দৃশ্যও দেখা যাচ্ছিল। জমির কোন একটা অংশে , জমির যে আগাছা থাকে সেগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি সেইখানেও যাই। সেখানে গিয়ে সেখানকার পরিবেশটা উপভোগ করি।
আশেপাশের ফসলের জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষ করতেও দেখেছিলাম আমি। তার মধ্যে আলু , টমেটো, পালংশাক ইত্যাদি ছিল। আমি যখন ছোট ব্রিজ পার করে খালের অন্য পাশে যাই, এখানে আসার পর আরেকটু বেশি ঠান্ডা লাগছিল কারণ বিলের মধ্যে বিকালের সময়টাতে একটু বেশি ঠান্ডা লাগে। যাইহোক, এখানে কিছু সময় কাটিয়ে প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করে আমরা মেইন রাস্তা ধরে আবার হাঁটা শুরু করি। যাওয়ার সময় আমরা খালে এক নতুন দৃশ্য দেখতে পাই, নৌকায় করে মানুষ মালামাল নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছিল এমন দৃশ্য।
গ্রামে গেলেই সাধারণত এই জিনিসগুলো দেখা যায়। গ্রামে অনেক কিছু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন এই নৌকার মাধ্যমে করা হয়। তবে এখানে বিভিন্ন গাড়ির মাধ্যমেই জিনিসপত্র বেশি পরিবহন করা হয় । কেউ কেউই নৌকায় করে এই ভাবে পরিবহন করে থাকে। তবে এই দৃশ্যটা আমার কাছে দেখতে বেশ অসাধারণ লেগেছিল। আমি তখন তাড়াতাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফিও করে নি। আরেকটুখানি এগিয়ে আসার পরে একটা বাঁশের ভাঙ্গা সাঁকো দেখতে পাই। অন্য পাশে তো ব্রিজ করা ছিল আর এই পাশে একটা সাঁকোর মত করা ছিল খালের এই পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাওয়ার জন্য। এটা অনেকটা ভেঙ্গে গেছিল কারণ অনেক আগেই করা হয়েছিল, এরকমটাই মনে হচ্ছিল দেখে।
গ্রামে খালের উপর এই সাঁকো গুলো তোমরা যারা দেখেছো বা পার করেছ, এটা কেমন হয় তোমরা তা জানো। আমি নিজেও অনেকবার সাঁকো পার করেছি। এটাতে উঠতে আমার তেমন একটা ভয় করে না। তবে অনেকেই সাঁকো পারাপার করতে ভয় পায়। এই সাঁকোটা যখন নতুন অবস্থায় ছিল, বেশ বড় করেই করা ছিল। সাধারণত এই ধরনের সাঁকো পারাপার করতে খুব একটা ভয় করে না। সুরু যে সাঁকো গুলো হয়, সেগুলো দিয়ে পারাপার করা একটু কষ্টের এবং ভয়ের হয়ে থাকে। এই সাঁকোটি যেহেতু অনেকটাই ভাঙ্গা ছিল তাই ইচ্ছা থাকলেও সাঁকোতে উঠার কোনো উপায় ছিল না।
চলবে...
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | নড়াইল, বাংলাদেশ। |
আমিও আপনার মত গ্রামকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমের প্রকৃতি এবং গ্রামের মানুষের চলাফেরা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।
আমার শেয়ার করা প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।
আমাদের বাংলাদেশে এসেছিলে এবং এখানকার গ্রাম গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন যে নে বেশ ভালো লাগলো দাদা। গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বাংলাদেশের ভ্রমণ গ্রাম ঘুরে দেখা দ্বিতীয় পর্বটি বেশ ভালো লাগলো দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে, জেনে আমারও ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
যেখানেই থাকি না কেন যত দূরেই থাকি না কেন আমার শৈশবের গ্রাম বারবার আমাকে পিছুটানে।
আসলে গ্রামগঞ্জের সৌন্দর্য দেখে আমরা প্রতিনিয়তই মুগ্ধ হয়।
মেঠো পথ আকাবাকা নদী আর কৃষকের কাজকাম যেন মনমুগ্ধ করে দৃশ্য।
আজকের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ভাবে উপভোগ করলাম গ্রাম্য সৌন্দর্য গুলো।
ধন্যবাদ ভাই, গ্রামগঞ্জের সৌন্দর্য নিয়ে এত সুন্দর কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া শৈশবের স্মৃতি কখনো ফিরে পাওয়া যায় না। আপনার ফটোগ্রাফিতে অসাধারণ কিছু ফসলের চাষ দেখলাম। সত্যি এমন টাটকা সবজি গুলো খেতে অনেক মজা। আপনি সুন্দর একটি মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর করে আপনার মন্তব্যটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার শেয়ার করা বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম। অনেক ভালো লেগেছিল ফটোগ্রাফি এবং আপনার শেয়ার করা অনুভূতিগুলো। আজকে দ্বিতীয় বার শেয়ার করলেন বাংলাদেশ ভ্রমণের পর্ব। এবারের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। তাছাড়া আপনি ঘোরাফেরা করলেন বাংলাদেশে এসে। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপু, আমাদের সবারই গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। যাইহোক,আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি এবং আমার বাংলাদেশ ভ্রমণের অনুভূতি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
আপনার বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ প্রথম পর্বে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলেন এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছুই বলেছিলেন৷ আজকের এই দ্বিতীয় পর্বের মধ্যেও আপনি বাংলাদেশের গ্রাম ঘোরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
আমার শেয়ার করা বাংলাদেশ ভ্রমণের দুটি পর্বই আপনি পড়েছেন জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্যটি করার জন্য।
https://twitter.com/ronggin0/status/1756938042932359488?t=pAapnCxDHREEeOIKpNVLLA&s=19