ট্রাভেল || বাংলাদেশ ভ্রমণ: গ্রাম ঘুরে দেখা (পর্ব -০১)
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
ভ্রমন করতে আমরা সবাই অনেক বেশি ভালোবাসি। বিশেষ করে গ্রামে ভ্রমণের সুযোগ পেলে তা আমাদের অনেক বেশি আনন্দ দেয়। গ্রামে যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে, তার মধ্যে যাওয়ার সুযোগ পেলে মনটা ফ্রেশ হয়ে যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রাম অনেক ভালোবাসি। গ্রামের সৌন্দর্যে বারবার মুগ্ধ হয়ে যাই। গ্রামের প্রকৃতির মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারলে আমার অনেক ভালো লাগে। যাইহোক, বেশ কিছুদিন আগে আমি বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য গেছিলাম। আশা করি, এই সম্পর্কে তোমরা সবাই অবগত আছো। বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে আগে টুকটাক তোমাদের সাথে শেয়ারও করেছি। আজকের এই ব্লগে গ্রাম ঘুরে দেখা সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করব।
বাংলাদেশ ভ্রমণের কোন একটা দিন আমি বিকালের কিছুটা আগে বাংলাদেশের একটি গ্রাম ঘুরে দেখার জন্য যাই। এই সময় আমার সাথে ছিল আমার দাদা এবং আমার ছোট দূর সম্পর্কের এক বোন। আমরা গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলি, অনেকটা অজানা উদ্দেশ্য নিয়ে। যাইহোক, গ্রামের রাস্তা দিয়ে যখন চলা শুরু হয় চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বারবার আমাদের দাঁড় করিয়ে দিচ্ছিল। রাস্তার পাশ থেকেই গ্রামটা কে ভালো করে উপভোগ করা যাচ্ছিল। আমরা চলার পথে রাস্তার পাশে সবুজ ধানের ক্ষেত দেখতে পাই প্রথমে। মূলত ধানের চারা লাগানো ছিল সেখানে। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জাস্ট অসাধারণ! এই সবুজের সমারোহের দিকে তাকিয়ে থাকলে কিছু সময়ের জন্য সবকিছুই ভুলে যাওয়া যায়। চারপাশের প্রকৃতির মধ্যে একটা সজীবতা কাজ করছিলো তখন। আর আমরা এই সজীব প্রকৃতি দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছিলাম।
চলার পথে রাস্তার দুই পাশে, দুই রকম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পেয়েছিলাম। আমরা যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছিলাম তার পাশে ছিল খাল। এই খালের মধ্যে কিছু নৌকাও ছিল। এগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তবে এটা মেইন খাল ছিল না। বড় যে খাল ছিল তার পাশ দিয়ে ছোট একটা খালের মতো অংশ বয়ে গেছিল, এটি ছিল তাই । মেইন খাল টা আরো অনেকটা বড় ছিল। যাইহোক, খালের পাশ দিয়ে ছিল বিভিন্ন ধরনের গাছের বাগান । তার মধ্যে কলা গাছের বাগান অন্যতম ছিল। সেইখানে থাকা কিছু গাছে কলাও হয়েছিল, এমনটা দেখা যাচ্ছিল। সাধারণত এগুলো ব্যক্তিগত মালিকানায় লাগানো ছিল। এসব দৃশ্য তোমরাও কল্পনা করে দেখো কেমনটা লাগতে পারে। আমরা এসব দেখতে দেখতে আরো সামনে এগিয়ে যাই। যাওয়ার পথে অনেক দূরে তাল গাছের সারিও চোখে পড়ে ।
দূরে থাকা তালগাছ গুলো দেখতে কিন্তু বেশ অসাধারণ লাগে। আমরা যে খুব দ্রুত হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছিলাম তা কিন্তু নয়। আমরা চলার পথে বারবার দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্যটাকে বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম। কারণ উদ্দেশ্য ছিল গ্রামটাকে ফিল করা। তারপর রাস্তা দিয়ে আরো একটু এগিয়ে যাওয়ার পর দেখতে পাই একটি পুকুর। পুকুরের পাশে ছিল নারকেল গাছের সমারোহ। গ্রামে সাধারণত সব মানুষের বাড়িতেই পুকুর থাকে। পুকুর ছাড়া বাড়ি, গ্রামে বলতে গেলে নেই । কারণ প্রত্যেকেই পুকুরে মাছ চাষ করে নিজেদের মাছের চাহিদা গুলো পূরণ করে। তবে যে পুকুরটি আমরা দেখতে পেয়েছিলাম, সেই পুকুরের জলের উপরে কমলা কালারের কোনো কিছুর একটা লেয়ার ছিল। এগুলো যে কেন হয়েছিল আমি তার সঠিক কারণ জানি না। তবে এগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল আমার কাছে। পুকুরের জলে এরকম কেন হয়েছে , এই নিয়ে আমরা একটু আলোচনাও করি। কিন্তু আমার দাদা এবং ছোট বোন , কেউই এর কারণ বলতে পারে না। বিষয়টা এখন পর্যন্তও আমার কাছে অজানাই রয়েছে।
যাইহোক, তারপর আরেকটু এগিয়ে যাওয়ার পরে বড় বড় তালগাছ দেখতে পাই। এগুলো একটা পুকুর পাড়েই ছিল। এই গ্রামে গিয়ে প্রচুর তালগাছ দেখতে পেয়েছিলাম। আমরা আমাদের চলার পথে বিভিন্ন প্রকার জংলি ফুল গাছ এবং মানুষের লাগানো ফুল গাছও দেখতে পেয়েছিলাম। সেইখানে অনেক ফুলও ফুটেছিল তবে সবগুলো ফুলের নাম আমার জানা ছিল না। তাছাড়া সব ফুলের ফটোগ্রাফিও আমি সেদিন করিনি, দুই একটাই করেছিলাম। গ্রামের প্রকৃতির মধ্যে সব কিছুই রয়েছে। সবকিছুর একটা কম্বিনেশন এই গ্রামে গেলে পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যে আসল ব্যাখ্যা তা একমাত্র এই গ্রামেই পাওয়া সম্ভব। আমরা আমাদের চলা থামাই না, আমরা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি। পরে আর কি কি দেখার সুযোগ হয়েছিল তাই নিয়ে তোমাদের সাথে অন্য আরেকটি ব্লগে শেয়ার করবো।
চলবে...
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | নড়াইল, বাংলাদেশ। |
বাহ গ্রামের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর হয়েছে দাদা মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি বাংলাদেশ ভ্রমণে এসে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরাফেরা করেছেন। যা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখেই বুঝতে পারছি। দৃশ্য গুলো দেখেই অনেক ভালো লেগেছে। গ্রামীন দৃশ্য গুলো আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং সেই সাথে অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামীণ দৃশ্য গুলো আমাদের সবার কাছেই অনেক ভালো লাগে আপু। আমরা শেয়ার করা গ্রামীণ এই দৃশ্যের ফটোগ্রাফি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গেছেন , জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
জেনে ভালো লাগলো ভাই আপনি আমাদের দেশে ভ্রমণের জন্য এসছিলেন। আশা করি আমাদের দেশ বাংলাদেশকে আপনার অনেক ভালো লেগেছে। গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যি অনেক সুন্দর। আশা করি আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো খুব ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আমাদের দেশ ভ্রমণ করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই , আপনাদের বাংলাদেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । সেই সাথে গ্রামে থাকার সময়, আমি আপনাদের দেশের গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলোও খুব ভালোভাবেই উপভোগ করেছি ।
অনেক ভালো লাগলো ভাই যে আপনি আমাদের গ্রামিন পরিবেশ উপভোগ করতে পেরেছেন৷
আমাদের সোনার বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রথম পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার। আসলে আপনি আমার বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন এটা জেনে অত্যন্ত আনন্দিত আমি। আসলে আমাদের বাংলাদেশের গ্রামগুলো অত্যন্ত সুন্দর, সবুজ ও শ্যামলে পরিপূর্ণ। আর পুকুরের ওপর কমলা কালারের যেটা দেখতে বেড়ে যায় সেটা অবশ্য পানির আয়রন। শীতের সময় অধিকাংশ পুকুরের পানির উপর এই আয়রন টি দেখা যায়। যাহোক আমাদের সোনার বাংলাদেশ ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশে ভ্রমণ করে আমারও তাই মনে হয়েছে ভাই।
এটা আমার জানা ছিল না ভাই, বিষয়টা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/ronggin0/status/1753655570916352414?t=X60tb3iACve6oWxX8SESgA&s=19
বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে এসে অনেক ভালোই সময় কাটিয়েছেন। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো মানুষকে বেশি মুগ্ধ করে। এরকম অজানা রাস্তাগুলোতে যখন যাওয়া হয় তখন সৌন্দর্যগুলো বেশি মানুষকে মুগ্ধ করে। আর গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফসল এবং বিভিন্ন ধরনের গাছ অন্যান্য দৃশ্যগুলো এমনিতে মানুষ বেশি পছন্দ করে। তবে একসাথে আপনি অনেকগুলো তালগাছ দেখেছেন ঘুরতে গিয়ে। খুব সুন্দর করে গ্রামের দৃশ্য দেখার অনুভূতি এবং চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমার বাংলাদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুন ছিল। খুব সুন্দর করেই গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের পরিবেশ এমনিতে চমৎকার। আর আপনি খুব সুন্দর করে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন তা পোস্ট করেছেন। সবুজ শ্যামলা বাংলাদেশ মানুষকে এমনিতে বেশি মুগ্ধ করে। আপনি এবং আপনার দাদা ও দূর সম্পর্কের এক বোনকে নিয়ে ভালোই গুরাগুরি করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভ্রমণ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শতভাগ একমত ভাই আপনার এই কথার সাথে। এই বিষয়টা আমি নিজেও অনুভব করেছি বাংলাদেশ ভ্রমণের সময়।
ভাইয়া বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রথম পর্বে আপনি আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশন নিয়ে দারুন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অরিজিনাল গ্রামবাংলার চিত্র তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশন ভ্রমনের জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্যটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।