ভ্রমন: মৌসুনি আইল্যান্ড (পর্ব- ০৯)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ঠিক আছি।

আজ শুভ বিজয়া। এই বছরের পুজো কিভাবে শুরু হয়ে, কিভাবে শেষ হয়ে গেল তা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম না । অন্যান্য বছর পুজোর অনেক দিন আগে থেকে ঘোরাঘুরির পর্ব শুরু হয় আমার। তবে এ বছর সেটা আর সম্ভব হয়নি। এই বছরে পুজোয় প্রথম অষ্টমীর সন্ধ্যায় একটু বের হয়েছিলাম। যদিও ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে অনেকটাই কষ্ট হয়ে গেছিল কারণ অসুস্থতা থেকেই সবে সেরে উঠেছি।

যাই হোক আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে মৌসুনি আইল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে নবম তম পর্বটি শেয়ার করব। এর আগেও এই জায়গা সম্পর্কে অনেক বর্ণনা শেয়ার করেছি তোমাদের সাথে । এখন আজকের পর্বটি দেখে নেওয়া যাক।

অষ্টম পর্বের লিংক

20230731_174308.jpg

20230731_174243.jpg

পূর্বের পর্বে তোমাদের জানিয়েছিলাম মৌসুনি আইল্যান্ড ঘুরতে গিয়ে আমরা এক প্রকার মিনি সুন্দরবনের দেখা পেয়েছিলাম। প্রথম অংশে আমরা সেখানে গিয়ে যে গাছগুলো দেখতে পেয়েছিলাম সেগুলো সাধারণত মরা ধরনের ছিল। মরা গাছগুলোতে কিছু পরিমাণ কান্ড অবশিষ্ট ছিল। যাইহোক আমরা আমাদের গন্তব্য না থামিয়ে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাই। কিছুদূর যেতেই দেখি সবুজের সমারোহ । এখানের গাছগুলো নতুন করে হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছিল । গাছগুলোর বয়স খুব একটা বেশি ছিল বলে মনে হচ্ছিল না।

20230731_174301.jpg

20230731_174130.jpg

কয়েক বছরের মধ্যেই এই মিনি বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল । প্রতিদিন এই জায়গাটিতে জোয়ার ভাটার জল ওঠানামা করে তারও একটা ছাপ বোঝা যাচ্ছিল। আমরা যে সময়টাতে গেছিলাম সেই সময় ভাটা চলছিল, এই জন্যই এত কাছে গিয়ে আমরা এসব বিষয়গুলো দেখতে পেরেছিলাম। নোনা অঞ্চলের এই গাছগুলোর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা অন্যান্য গাছ থেকে এদেরকে আলাদা করে তাই এদেরকে খুব সহজেই চেনা যায়। এসব গাছে শ্বাসমূল , ঠেসমূল এসব খুব স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় কারণ নোনা পরিবেশে তাদের বেঁচে থাকার জন্য আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন পড়ে ।

20230731_174257.jpg

20230731_174209.jpg

বড় বড় শ্বাসমূল এর সাহায্যে নোনা মাটির উপর থেকে গাছগুলো শ্বাস গ্রহণের কাজ সম্পন্ন করে। তাছাড়া সমুদ্রের ঢেউ যেন এই গাছগুলোকে ভাসিয়ে না নিয়ে যেতে পারে সেজন্য এই গাছগুলোতে ঠেসমূল দেখা যায়। এই ঠেসমূল গাছগুলোর মূলকে মাটির সাথে দৃঢ়ভাবে আটকে রাখতে সাহায্য করে । এই সব কিছু হঠাৎ করে চোখের সামনে দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম আমরা কারন আমরা এরকমটা দেখতে পারবো আশা করিনি। এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়ে আমরা সবাই বেশ এক্সাইটেড হয়ে পড়েছিলাম। এইগুলো দেখে আমরা সাথে সাথে ফোনে ফটোগ্রাফি করা শুরু করে দিই। এই অংশে গিয়ে আমরা বেশ কিছুটা সময় কাটাই কারণ এর ওই পাশে যাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না আমাদের জন্য।

20230731_174401.jpg

20230731_173917.jpg



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: মৌসুনি আইল্যান্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা , মৌসুনি আইল্যান্ড ভ্রমন নিয়ে আজকের শেয়ার করা নবম পর্বের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last year 

মৌসুনি আইল্যান্ড ভ্রমনের আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। সত্যি প্রকৃতি পরিবেশ বেশ দারুন। আইল্যান্ড ভ্রমনে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করছেন। আইল্যান্ডে মিনি বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে প্রকৃতির মাঝে সবুজে সমাহার দেখতে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

আমার শেয়ার করা ভ্রমন মূলক এই পর্বটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।

 last year 

অনেকদিন ধরে এই স্থানটা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছেন। আমার খুবই ভালো লাগে আপনার এই পোস্টগুলো। যেখানে অচেনা জায়গা অজানা জিনিস সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারি। খুবই খুশি হলাম পুনরায় আরেকটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে।

 last year 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে কথাগুলো বলার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 78890.33
ETH 3180.07
USDT 1.00
SBD 2.68