"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৫৭ || একটু অন্য রকম ডিজাইনের ঘুড়ি তৈরি ।
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও অনেক ভালো আছি। |
---|
এই সপ্তাহটা খুব ব্যস্ত ভাবে কেটেছে আমার। যেহেতু সপ্তাহের শুরুর দিকটাতে আমি ভ্রমণে গেছিলাম এবং কবে বাড়ি ফিরে আসব তার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক ছিল না, এইজন্যে ভেবেছিলাম এবারের প্রতিযোগিতায় হয়তো আর অংশগ্রহণ করা হবে না। তবে এইবারের প্রতিযোগিতার বিষয় দেখে আমার অনেক বেশি ইচ্ছে হয়েছিল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার। যাইহোক, ছোটবেলায় যেহেতু গ্রামে বড় হয়েছি , সেজন্য নিজেরাই ঘুড়ি তৈরি করে সেগুলো উড়াতাম । তবে শহরে আসার পর থেকেই ঘুড়ি বানানোর কৌশল অনেকটাই ভুলে গেছিলাম। কারণ আমাদের এখানে এই ছোট ছোট ঘুড়ি গুলো কিনতে পাওয়া যায় তাই আর মানুষ ঘুড়ি না বানিয়ে এই কেনা ঘুড়িগুলো উড়িয়ে থাকে। নিজেরা তৈরি করে ঘুড়ি খুব কম মানুষই উড়ায় শহরে।
তাছাড়া শহরে ঘুড়ি উড়ানো খুব সমস্যার ব্যাপার। এখানে সবাই বাড়ির ছাদ থেকে উড়ায় আর এটা বেশ কঠিন মনে হয় আমার কাছে। আমি যদিও শহরে আসার পর কখনো ঘুড়ি উড়ায় নি। একমাত্র আমি গ্রামে থাকতেই ঘুড়ি উড়াতাম এবং তাও আবার নিজে নিজে তৈরি করে। যাইহোক, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যেহেতু ঘুড়ি বানানোর একটা সুযোগ পেয়েছিলাম তাই ভ্রমণ শেষে বাড়ি এসে এই কাজে লেগে পড়ি। এই গরমের সময়টাতে বিকালের সময় ঘুড়ি উড়াতে বেশ ভালোই লাগতো। যাইহোক, আজকে আমি একটি ডিজাইনের ঘুড়ি তৈরি করেছি। এই ঘুড়ি আকাশে উড়বে কিনা আমার জানা নেই, তবে দেখতে একটু সুন্দর হবে সেরকম করে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু পেরেছি, তবে চেষ্টা করেছি আর কি এই ব্যস্ততার মধ্যেও একটু অন্য রকম ডিজাইনের একটি ঘুড়ি তৈরি করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
●বিভিন্ন কালারের পেপার
●বিভিন্ন কালারের গ্লিটার পেপার
●আঠা
●কাঁচি
●স্কেল
●কাঠি
●পুঁতি
●কালো স্কেচ পেন
●পেন্সিল
●গ্লিটার টেপ
🪁 প্রথম ধাপ 🪁
প্রথম ধাপে, একটি A4 সাইজের পেপার নিয়ে দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমানভাবে মেপে অতিরিক্ত কাগজটি কাঁচির সাহায্যে কেটে নিলাম।
🪁 দ্বিতীয় ধাপ 🪁
এবার সাদা গ্লিটার পেপারে স্কেল ও পেন্সিলের সাহায্যে দাগ টেনে নিয়ে তার কাঁচির সাহায্যে কেটে নিলাম। তারপর প্রথম ধাপে কেটে নেওয়া কাগজটির মাঝ বরাবর ও উপরের অংশে কেটে নেওয়া গ্লিটার পেপারগুলো লাগিয়ে নিলাম।
🪁 তৃতীয় ধাপ 🪁
এই ধাপে, লাল কালারের গ্লিটার পেপার থেকে কাঁচির সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন কেটে নিলাম। তারপর আবার সাদা কালারের গ্লিটার পেপারের উপরে পেন্সিলের সাহায্যে এঁকে নিয়ে তা কাঁচির সাহায্যে কেটে নিলাম।
🪁 চতুর্থ ধাপ 🪁
এই ধাপে এসে, তৃতীয় ধাপে কেটে নেওয়া কাগজগুলো ঘুড়ির উপরে একে একে বসিয়ে নিলাম যা তোমরা চিত্রে দেখতে পাচ্ছো। এর পর দুটো কাঠি কে গ্লিটার টেপের সাহায্যে ঘুড়ির পিছনে লাগিয়ে নিলাম।
🪁 পঞ্চম ধাপ 🪁
এবার দুটি ভিন্ন কালারের পেপার কাঁচির সাহায্যে গোল করে কেটে নিলাম। এবার গোল করে কেটে নেওয়া কাগজ গুলো কাঁচির সাহায্যে আবারও পুরো কাগজ জুড়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কেটে নিলাম। এরপরে কাগজগুলো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ফুল তৈরি করে নিলাম চিত্রের মতন করে।
🪁 ষষ্ঠ ধাপ 🪁
এই ধাপে ফুল তিনটি একে একে আঠার সাহায্যে ঘুড়ির উপরে লাগিয়ে নিলাম। এবার একটি সবুজ কালারের পেপারের উপর পেন্সিল দিয়ে পাতা এঁকে তা কাঁচির সাহায্যে কেটে নিলাম। এভাবে কয়েকটি পাতা তৈরি করে নিলাম।
🪁 সপ্তম ধাপ 🪁
সপ্তম ধাপে, পাতাগুলো আঠার সাহায্যে ঘুড়ির উপরে ফুলের চারপাশে লাগিয়ে নিলাম। এবার আরেকটি কালার পেপার নিয়ে তা ভাঁজ করে কাঁচির সাহায্যে চিকন চিকন করে কেটে নিলাম। এইবার কাগজটিকে কাঁচির সাহায্যে তিন ভাগে ভাগ করে কেটে নিয়ে। তারপর ঘুড়ির দুই সাইডে ও নিচের দিকে আঠার সাহায্যে লাগিয়ে নিলাম চিত্রের মতন করে।
🪁 অষ্টম ধাপ 🪁
এবার ঘুড়ির উপরে আঠা লাগিয়ে কিছু পুঁতি যোগ করে নিলাম। এইভাবে আমার ঘুড়ি তৈরির কাজটি সম্পন্ন করলাম।
🪁 পোস্ট বিবরণ 🪁
শ্রেণী | প্রতিযোগিতা (ডাই) |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ডাই মেকার ও ফটোগ্রাফার | @ronggin |
ভাইয়া আপনি সত্যি একদম ভিন্ন ধরনের একটি ঘুড়ি শেয়ার করেছেন। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই ইউনিক ও চমৎকার একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন। ঘুড়ির মধ্যে পুঁতি ও রঙিন কাগজ দিয়ে ফুল পাতা দিয়ে সাজানোর জন্য মনে হচ্ছে ঘুড়িটি অনেক ভারি হয়ে গিয়েছ। এই ঘুড়ি অতিরিক্ত বাতাস না থাকলে আকাশে ওড়ানো সম্ভব হবে না। তবে আপনার ঘুড়িটি দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। ঘুড়ি যদি পাতলা হয় তাহলে অল্প বাতাসেই আকাশের অনেক দূর পর্যন্ত তোলা যায়। ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ঘুড়ি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার শেয়ার করা এই ঘুড়িটি যে আপনার কাছে ইউনিক এবং চমৎকার লেগেছে, এটা জেনে খুব খুশি হলাম আপু। আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।আপনার ঘুড়িটা দেখেও আমার বেশ ভালো লেগেছে, প্রতিটি ধাপ আপনি বেশ দক্ষতার সহিত আমাদের মাঝে তৈরি করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ঘুড়ি তৈরি করার জন্য।
আমার শেয়ার করা এই ঘুড়িটা দেখে আপনার বেশ ভালো লেগেছে, এটা আমার জন্য আনন্দের বিষয় ভাই। ভালো লাগলো, আপনার এই প্রশংসা মূলক মন্তব্যটি পড়ে।
প্রথমত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ঘুড়ির সৌন্দর্যটা আমার কাছে অসাধারণ সুন্দর লেগেছে। পুথি লাগিয়েছেন আবার রঙিন কাগজ দিয়ে ফুল তৈরি করে উপরের অংশে লাগিয়েছেন যেটা সৌন্দর্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে। আপনার নিখুঁত কাজের দক্ষতা তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আমার শেয়ার করা ঘুড়ির সৌন্দর্যটা যে আপনার কাছে অসাধারণ সুন্দর লেগেছে, তা জেনে ভালো লাগলো ভাই। আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই গরমের দিনে বিকেল বেলা আমরা নিজ হাতে ঘুড়ি তৈরি করে উড়াতাম গ্রামে।কিন্তু এখন সবকিছু যেন ধোঁয়াশাময় হয়ে গেছে।তবে তোমার ঘুড়িটা কিন্তু ভীষণ সুন্দর দেখতে লাগছে দাদা।মনে হচ্ছে এখনই নিয়ে আকাশে উড়িয়ে দিই।গ্লিটার পেপার ও গোলাপ ফুল দেওয়ার কারনে বেশি ভালো লাগছে।প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বোন তোমাকে, এত সুন্দর করে তোমার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে আপনি অনেক সুন্দর একটা ঘুড়ি তৈরি করেছেন, যেটা অনেক সুন্দর হয়েছে। এরকম ঘুড়িগুলো তৈরি করলে কিন্তু দেখতে অনেক ভালোই লাগে। অনেক সুন্দর করে আপনি গোলাপ ফুল তৈরি করে দিয়েছেন, যার কারণে ঘুড়িটাকে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগতেছে। ঘুড়ির উপরের অংশে অনেক সুন্দর সুন্দর করে পুঁতি বসানোর কারণে দেখতে আরো ভালো লাগতেছে। ঘুড়িটা উড়েছে কিনা এটা জানি না, কিন্তু আমার কাছে এমনিতেই দেখতে ভালো লাগতেছে।
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আপনাকে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য। আজকে আপনি বিভিন্ন কালারের পেপার ও গ্লিটার পেপার দিয়ে খুব সুন্দর ঘুড়ি তৈরি করেছেন। এবং ঘুড়ির মধ্যে ফুল তিনটি দেওয়ার কারণে দেখতে বেশ ভালই লাগতেছে । আর আপনার এই ঘুড়ি তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছে। খুব সুন্দর করে ঘুড়ি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আমার শেয়ার করা এই ঘুড়ি আপনার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে এইবার প্রতিযোগিতায় কম-বেশি সুন্দর সুন্দর ঘড়ি দেখা যাচ্ছে। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে রঙ্গিন কাগজ এবং গ্লিটার পেপার দিয়ে ভিন্ন রকম ঘড়ি বানিয়েছেন। আপনার ঘড়ি বানানো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম ছেলেরা গরমের সময় বিকেল বেলা ঘুড়ি বানিয়ে উড়াতো। সত্যি বলতে আপনার ঘুড়ি বানানোর পদ্ধতি অসাধারণ হয়েছে। এবং ঘুড়ি বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ঘুড়ি বানানোর পদ্ধতি আপনার কাছে অসাধারণ লেগেছে, জেনে খুব খুশি হলাম আপু। প্রশংসা মূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আপনার তৈরি ঘুড়িটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। এত নিখুঁতভাবে আপনি কাজগুলো করেন যার প্রশংসা করলেও কম হয়ে যাবে। ফুল পাতা এগুলো দেওয়ার কারণে ঘুড়িটির সৌন্দর্য অনেক গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
একটু অন্য রকম ঘুড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। দেখতে তো ভালো ই লাগলো উড়িয়ে দেখাতে পারলে আরো ভালো লাগতো।আপনার উপস্থাপনা ভালো লেগেছে।ধাপে ধাপে ঘুড়ি তৈরির পদ্ধতি গুলো তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘুড়ির ডিজাইন এমন ভাবে করা আপু, এই ঘুড়ি আকাশে উড়বে না। হিহি..🤭🤭
আপনার অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতায় দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এত সুন্দর দেখতে ঘুড়ি তৈরি করেছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। ভিন্ন ভিন্ন কালারের রঙিন কাগজ দিয়ে এই ঘুড়িটা তৈরি করেছেন, যেটা একেবারে ভিন্ন ছিল এবং খুবই দারুণ ছিল। ঘুড়ির নিচের অংশে এমন কি দুই পাশে চিকন চিকন করে কাগজগুলো কেটে, জোড়া লাগানোর কারণে দেখতে আরো ভালো লাগছিল। অনেক সুন্দর করে পুঁতি এবং ফুল ও তৈরি করে বসিয়েছেন। নীল কালারের কাগজ দিয়ে ফুল তৈরি করে দেওয়াতে অনেক বেশি দারুন লাগছিল। আপনারা এত সুন্দর একটা দক্ষতা মূলক কাজের প্রশংসা যতই করবো ততই কম হবে।
এত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আপনার কাছ থেকে আমার এই কাজের দক্ষতার প্রশংসা পেয়ে বেশ ভালো লাগলো।