দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি (পর্ব -০৪) || ১৮ নভেম্বর ২০২৩

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি।

দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজকের চতুর্থ পর্বে সবাইকে স্বাগতম।

গত পর্বে পুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে কিছু বর্ণনা শেয়ার করেছিলাম । আজকের পর্বে আরো কিছু কথা শেয়ার করব।

তৃতীয় পর্বের লিঙ্ক

চাঁপাডালী থেকে পুজো দেখা শেষ করে আমরা পায়ে হেঁটে বারাসাত স্টেশন এর দিকে রওনা করি। স্টেশনের কাছাকাছি কোন পুজো প্যান্ডেল করেছে কিনা সেটা দেখার জন্যই আমরা ঐদিকে যাচ্ছিলাম । স্টেশনের কাছে কাছে আসার পরে পাশে থাকা একটি ইঞ্জিন ভ্যান স্ট্যান্ড থেকে জানতে পারি আমতলা নামক একটি জায়গায় বেশ ভালো পুজো প্যান্ডেল করেছে। আমতলা জায়গাটি যে বারাসাত স্টেশনের খুব কাছাকাছি ছিল, সেরকম কোন ব্যাপার ছিল না। সেইখানে যেতে হলে অবশ্যই কোন কিছুর সাহায্য নিয়েই যেতে হতো কারণ হেঁটে অনেকটা রাস্তা ছিল।

20231022_190504.jpg

20231022_190617.jpg

শুধুমাত্র সেই জায়গায় যাওয়ার ভাড়াই এক একজনের জন্য ৩০ টাকা করে চেয়েছিল। তাহলে তোমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ দূরত্বটা কতটা হতে পারে। আমরা দুইজন ছিলাম, আমি এবং আমার এক বান্ধবী। তাই আমাদের কাছে সেখানে নিয়ে যাওয়া বাবদ ৬০ টাকা চেয়েছিল। তবে ৬০ টাকা খরচ করে একটি মাত্র পুজো প্যান্ডেল দেখতে যাব তা তো আর হয় না । তাই সেইখানে থাকা সেই ইঞ্জিন ভ্যানচালক -কে জিজ্ঞেস করি, আমতলার আশেপাশ আরো কোন পুজো প্যান্ডেল আছে কিনা। তখন সেই লোকটি জানায় , "আশেপাশে আছে কিন্তু হেঁটে যেতে গেলে অনেকটা সময় লেগে যাবে তবে যদি গাড়ি রিসার্ভ করে নিয়ে যাই তাহলে ২০০ টাকা দিলে তিনি আশেপাশের যতগুলো পুজো প্যান্ডেল আছে সব ঘুরিয়ে দেব"। এমনটা শুনার পরে আমরা একটু ভাবনায় পড়ে যায়।

20231022_191016.jpg

20231022_191037.jpg

আর আমি যেহেতু তখন অসুস্থ ছিলাম সেজন্য বেশি দূর হাটা আমার দ্বারা সম্ভব ছিল না। সেইজন্য সেই সময় আমরা ইঞ্জিন ভ্যান রিজার্ভ করি নি। ২০০ টাকা দিলে আশেপাশের যতগুলো পুজো প্যান্ডেল ছিল সেগুলো দেখাবে সেই হিসাব করে। যাই হোক ইঞ্জিন ভ্যানে করে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিট পর আমরা এই আমতলা নামক জায়গাটিতে পৌঁছে যাই। এই জায়গাটিতে আমি আগে কোনদিন পুজো দেখতে যাই নি। প্রথমবারই এই বছর সেখানে গেছিলাম। এটা আমাদের বারাসাত স্টেশন এর খুব কাছাকাছি পড়ে না সেজন্য এই দিকের পুজো দেখা হয় না কোন বছর। আমতলার এই পুজো প্যান্ডেলটিতে যাওয়ার পরে তেমন একটা ভিড় পাইনি আমরা। আমাদের যে ইঞ্জিন ভ্যান চালক নিয়ে গেছিল তিনি আমাদের পুজো প্যান্ডেলটা ঘুরে দেখার জন্য বলে এবং তিনি পুজো প্যান্ডেল থেকে বের হওয়ার পর যে রাস্তাটা পড়ে সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে তেমনটা জানায়।

20231022_191144.jpg

20231022_191147.jpg

যাই হোক, এই পুজো প্যান্ডেলটি যেমনটা বড় হবে ভেবেছিলাম তেমনটা ছিল না। তাই কোন রকম করে এটি দেখা শেষ করে আমরা ভ্যানে করে পুনরায় অন্য একটি পুজো প্যান্ডেলে যাই। সেই জায়গার দুরত্ব আমতলা থেকে মোটামুটি সাত থেকে আট মিনিটের ছিল ইঞ্জিন ভ্যানে করে। জায়গাটির নাম সম্ভবত কুলুপুকুর ছিল। আমি প্যান্ডেলের একটা অংশে এই নাম লেখা দেখেছিলাম। এই বছর এই পুজো প্যান্ডেলের থিম ছিল আদি যোগী। ভগবান শিবের বড় মূর্তি করেছিল এবং সুন্দর লাইটিং দিয়ে সাজিয়েছিল । তাছাড়া এই পুজো প্যান্ডেলে আরো অনেক কিছুই দেখার ছিল। এই প্যান্ডেলটিতে আমি একটু বেশি সময় কাটিয়েছিলাম আশেপাশের সবকিছু দেখতে দেখতে।

20231022_191300.jpg

20231022_191303.jpg



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা, দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে শেয়ার করা চতুর্থ পর্বের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 10 months ago 

পুজা মানে এক অন্য রকম আনন্দ থাকে সবাই মিলে ঘোরাঘুরি হি হুল্লোড় সব মিলিয়ে দারুন একটা সময় অতিবাহিত হয়।আপনার পোস্ট টা দারুন হয়েছে খুব গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি আপনার দারুন লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 54358.77
ETH 2293.67
USDT 1.00
SBD 2.30