দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি (পর্ব -০৩)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজকের তৃতীয় পর্বে সবাইকে স্বাগতম।
গত পর্বে পুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে কিছু বর্ণনা শেয়ার করেছিলাম । আজকের পর্বে আরো কিছু কথা শেয়ার করব।
শেঠ পুকুরের পুজো প্যান্ডেল এবং শেঠ পুকুরের পাশে যে মেলা হচ্ছিল সেই সব ঘুরে আমি এবং আমার বান্ধবী কোথায় যাব সেই প্ল্যান করতে থাকি। আমার সাথে আমার যে বান্ধবী ছিল সে তখন কনফিউশনে পড়ে যায় আমরা কোথায় যাব তাই নিয়ে। তবে যেহেতু বারাসাতের সব জায়গা মোটামুটি আমার চেনা ছিল তাই আমি তাকে আশ্বস্ত করি এই বলে, আমি ঠিকঠাক জায়গায় তাকে নিয়ে যাব এবং পুজো প্যান্ডেল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখাবো। দুর্গাপুজোর সময় আমাদের বারাসাতে অনেক বড় করে পুজো প্যান্ডেল হয় সেরকম কোন ব্যাপার ছিল না । তবে কালীপুজোর সময় আমাদের বারাসাতের অনেক জায়গায় অনেক বড় বড় পুজো প্যান্ডেল করা হয়। দুর্গাপুজোতে মোটামুটি ভাবে পুজো প্যান্ডেল গুলো করা হয় প্রত্যেক বছরে।
এই কারণে আমাদের এইখানের অধিকাংশ লোকই দুর্গাপুজোর সময় কলকাতা এবং অন্যান্য জায়গায় বেশি ঘুরতে যায়। তবে কালী পুজো মানে বারাসাতের পুজো ওয়েস্ট বেঙ্গলের সেরা পুজো আমার জানা মতে। যাই হোক আমি ইউটিউবে কয়েকটি ভিডিও দেখেছিলাম বের হওয়ার দুইদিন আগে। এই জন্য কোথায় কি পুজো প্যান্ডেল করেছিল দুর্গাপুজোর সময় সেইগুলো একটু একটু জানতাম আমি। তাই শেঠ পুকুর থেকে বের হয়ে আমি আর আমার বান্ধবী হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই চাঁপাডালির মোড় নামক একটি জায়গা। এই সময় আমাদের সেখানে যেতে খুব বেশি হাঁটতে হয়েছিল সেরকম কোন ব্যাপার ছিল না। মোটামুটি ৭ মিনিটের মধ্যে আমরা চাঁপাডালির মোড়ে চলে যাই । সেখান থেকে অন্য একটি গলি হয়ে আমরা একটি পুজো প্যান্ডেল দেখতে যাই। এই পুজো প্যান্ডেলটি খুব একটা বড় ছিল না এবং বাইরেও সেরকম কোনো সাজানো ছিল না।
এই পুজো প্যান্ডেলের বাইরে অনেক লোক বসেছিল। আমি এই পুজো প্যান্ডেলের সামনে যে বসার জায়গা ছিল সেখানে বসে কিছু সময় রেস্ট করে নি কারণ এর আগে অনেকটা সময় হেঁটেছিলাম আমি । এখানে কিছু সময় বসে আমরা চলে যাই চাঁপাডালি বাস স্ট্যান্ডের পুজোটি দেখতে। এই পুজো প্যান্ডেলটি আমি আগেই ইউটিউবে দেখেছিলাম, বেশ সুন্দরই লেগেছিল ভিডিওতে। যাই হোক সামনাসামনি এই পুজো প্যান্ডেলটি দেখার ইচ্ছে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা চাঁপাডালি বাস স্ট্যান্ডের কাছে চলে যাই। এই জায়গাটিতে সহজেই আমরা চিনে যেতে পেরেছিলাম । এখানে গিয়েও তেমন একটা ভিড়ের দেখা পাইনি , খুব সহজেই পুজো প্যান্ডেলটির মধ্যে চলে যেতে পেরেছিলাম।
এই পুজো প্যান্ডেলের প্রবেশ গেট পাট এবং বাসের তৈরি বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাজিয়েছিল। গেট দিয়ে একটু ভিতরে প্রবেশ করার পরেই মহাদেব শিবের একটা মূর্তি দেখতে পাই। এর আশেপাশে জলের প্রবাহ তৈরি করা ছিল যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। এই পুজো প্যান্ডেলটির একদম ভিতরে ঢুকে, প্রতিমা ভালো করে দেখে কিছু ফটোগ্রাফি করে আমরা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ি কারণ খুব বেশি দেখার কিছু ছিল না ভিতরে। এই পুজো প্যান্ডেল থেকে বের হয়ে পুনরায় আমরা আবার বাইরের সবকিছু খুব ভালো করে দেখি কারন এই পুজো প্যান্ডেলটির বাইরে টা দেখার মত করেছিল।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।