ঘাটশিলা ভ্রমণ : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি "গৌরী কুঞ্জ"( দ্বিতীয় পর্ব)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
প্রথমে আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ভ্রমণ মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করব। কিছুদিন আগের একটি ব্লগে ঘাটশিলায় অবস্থিত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি "গৌরী কুঞ্জে" যাওয়া নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। আজ দ্বিতীয় পর্বে আরও কিছু কথা শেয়ার করব "গৌরী কুঞ্জে" যাওয়া নিয়ে।
এই বাড়ির নাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে করা। তার প্রথম স্ত্রী ছিল গৌরী দেবী তার নাম অনুসারে বাড়ির নাম এমন । বিবাহের এক বছরের মধ্যেই তার স্ত্রী মারা গেছিল। যদিও মারা যাওয়ার কারণটা আমার জানা নেই। স্ত্রীর স্মৃতিকে ধরে রাখার উদ্দেশ্যে এই বাড়ির নাম লেখক গৌরী কুঞ্জ রেখেছিলেন । এই বাড়িতে থেকেই তিনি তাঁর অনেক সেরা গল্প, উপন্যাস গুলো লিখেছেন যা সবার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই বাড়ির সীমানার মধ্যেই আমি "তারাদাস মঞ্চ" নামে একটা মঞ্চ দেখতে পাই। এটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের নাম অনুসারে করা হয়েছিল। এটি অপুর পাঠশালা নামে পরিচিত যেখানে স্থানীয় শিশুদের সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে পড়ানো হয় এবং সবকিছু এখানে বাংলার মাধ্যমে পড়ানো হয়।
এই মঞ্চের দেয়ালে বিভিন্ন ধরণের লেখা ছিল । এই লেখাগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল আমার কাছে। এখানে একটি আম গাছ ছিল যে আম গাছটি বেশ নামকরা ছিল কারণ এই আম গাছটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই নুটবিহারী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আম খাওয়ার জন্য লাগিয়েছিল। লেখক হয়তো আম খেতে অনেক বেশি পছন্দ করতেন এই জন্যই লাগিয়েছিলেন। আমরা যে সময়টাতে গেছিলাম সেই সময়টাতে গাছে বেশ মুকুল ধরেছিল। আমি এই গাছের কাছে গিয়ে কিছু সময় দাড়িয়ে থাকি। গাছের পাশে একটি জায়গায় বসার ব্যবস্থা ছিল তাই দেখে সেখানে একটু বসে রেস্ট করি। বসে গরম একটু কম লাগছিল। ঘাটশিলার অন্যান্য জায়গায় গরমের তীব্রতা বেশ ভালই ছিল কারণ আমরা যে সময়টাতে গেছিলাম সে সময় যথেষ্ট গরম পড়েছিল।
পাহাড়ি এলাকায় গরমের প্রভাবটা বেশি লাগছিল আমাদের কলকাতার থেকে। আমরা যে সময়টাতে গেছিলাম সেই সময় লোকজনের ভিড় খুব একটা ছিল না এই জায়গায়। আমরা বন্ধুরা চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখে বেড়াচ্ছিল। আমাদের খুব ইচ্ছা হচ্ছিল লেখকের বাড়ির মধ্যে যাওয়ার কিন্তু প্রথম অবস্থায় গিয়েই আমরা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে পারিনি কারণ সেখানে দেখানোর জন্য কোন লোক ছিল না । বাড়ির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছিল আমি তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি বাড়ির ভেতরে আমরা কি করে দেখতে পরবো? তখন তারা কাকে যেন ফোন করে এবং ১০ মিনিট পর একটি লোক আসে এবং সেই লোকটি আমাদের বাড়ির মধ্যে ঘুরে দেখাতে নিয়ে যায়।
চলবে..
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | গৌরীকুঞ্জ, ঘাটশিলা ,ঝাড়খণ্ড। |
প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাই। বাড়িটার নামকরণ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে করা হয়েছে তাহলে। এই পাঠশালায় গ্রামের শিশুদের বাংলায় পড়ানো হয়, এটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।