ঘাটশিলা ভ্রমণ : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি "গৌরী কুঞ্জ"( প্রথম পর্ব)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
প্রথমে আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ভ্রমণ মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করব। কয়েক মাস আগে ঘাটশিলা ভ্রমণে গেছিলাম। ঘাটশিলা ভ্রমণ নিয়ে এর আগেও তোমাদের সাথে কয়েকটি ব্লগ শেয়ার করেছি। সেই ব্লগগুলোতে ঘাটশিলা গিয়ে প্রথম দিন কোন কোন জায়গায় গেছিলাম সেই সম্পর্কে শেয়ার করেছিলাম। আজ ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় দিন কোথায় গেছিলাম সেই সম্পর্কে জানাবো। ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় দিন আমরা হোটেল থেকে বেরিয়েই প্রথমে গেছিলাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি "গৌরী কুঞ্জে"। গৌরী কুঞ্জে যাওয়া নিয়ে আজ প্রথম পর্বে কিছু কথা শেয়ার করলাম।
বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম নাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তোমরা যারা ভ্রমণ সাহিত্য, উপন্যাস, ছোট গল্প পড়তে পছন্দ করো তারা অবশ্যই এই নামের সাথে সুপরিচিত থাকবে। আমি অনেক বেশি গল্প উপন্যাস না পড়ে থাকলেও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে অনেক আগে থেকেই চিনি। ইনার লেখাগুলো আমার অত্যন্ত পছন্দের। ঘাটশিলা ভ্রমণে গিয়ে প্রথমে ভাবতে পারিনি আমার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়ার সুযোগ হবে।
ঘাটশিলায় গিয়ে প্রথম দিন যে অটোওয়ালা আমাদের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়েছিল, সেই অটোওয়ালাই দ্বিতীয় দিন আমাদের আরো কয়েক জায়গায় ঘোরানোর কথা ছিল । দ্বিতীয় দিনের ট্যুরে আমাদের অটোওয়ালা যখন আমাদের জানায় , আমাদের আজকের ঘোরাঘুরির প্রথম জায়গা হচ্ছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি তখন তো আমাদের আনন্দের সীমা থাকে না । আমরা বন্ধুরা সবাই প্রচন্ডভাবে খুশি হই এবং উৎসাহ নিয়ে থাকি। গৌরী কুঞ্জ নামের সাথে আমার বন্ধুরাও খুব ভালোভাবেই পরিচিত ছিল। যাই হোক আমরা যে হোটেলে ছিলাম সেই হোটেলের সামনে থেকেই আমাদের অটোওয়ালা আমাদের নিয়ে রওনা করে। কোন দিক থেকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছিল আমরা তা ঠিকভাবে বুঝতেও পারছিলাম না প্রথমে। তবে মেইন রাস্তা থেকে যখন একটা গলিতে আমাদের অটো যায় তখন অটোওয়ালা আমাদের সেই গলির পথ সম্পর্কে কিছু কথা জানায়। পথটির নাম ছিল অপুর পথ।
এই পথে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের হাজারো স্মৃতি রয়েছে। এই পথ হয়েই তার সর্বদা চলাচল ছিল। যাইহোক গলিতে ঢোকার কিছু সময় পর গিয়ে আমাদের অটো গৌরী কুঞ্জের সামনে এসে দাঁড়ায়। আমাদের অটোওয়ালা আমাদের নামিয়ে দিয়ে সে একটু রেস্ট নিতে চাই । আমরাও তখন অটোওয়ালা কে রেস্ট নেয়ার জন্য বলি এবং আমরা বন্ধুরা মিলে এই বাড়ির সীমানার মধ্যে প্রবেশ করি। বাড়িতে ঢোকার পূর্বে একটি গেট ছিল এবং গেটের উপরেই বাড়িটির নাম গৌরী কুঞ্জ স্পষ্টভাবে লেখা ছিল যা শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে তোমরা বুঝতে পারবে। যাই হোক প্রবেশ করার সাথে সাথেই আমি প্রথমে বাড়ির মধ্যে যাইনি। আমি প্রথমে চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। বাড়ির সীমানার চারপাশে প্রিয় লেখক এর অনেক স্মৃতি থাকবে সেগুলো প্রথমে আমি ভালোভাবে দেখতে চেয়েছিলাম।
চলবে..
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | গৌরীকুঞ্জ, ঘাটশিলা ,ঝাড়খণ্ড। |
আপনার ঘোরাঘুরি পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি বলেছেন ভাইয়া আপনার মতো আমি ও তেমন গল্প উপন্যাস পড়িনা তবে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই গুলো অনেক পড়া হয়। আপনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির বাইরে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছি।আপনার ঘোরাঘুরি দেখে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই গুলো আপনি অনেক পড়েন জেনে ভালো লাগলো। যাই হোক আমার ঘুরাঘুরি সম্পর্কিত পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু।
আপনাকে কি বলেছে ধন্যবাদ দেবো ভাইজান তা বলার ভাষা আমি খুজে পাচ্ছি না।বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখে আমি যেমন মুগ্ধ হয়েছি তার চেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছি আপনার এই পোস্ট সামনে পেয়ে। দীর্ঘদিন বাংলায় অনার্স মাস্টার্স করাই এই লেখকদের অনেক কিছুই আমি পড়েছি তাই এদের সম্পর্কে ধারণা পেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তার মধ্যে আজকে তাদের বাড়ি আর বিস্তারিত বিষয় জানতে পারলাম এতে যেন আরো বেশি খুশি হয়েছি।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই । এর পরের পর্বগুলো আরো বেশি ভালো লাগবে কারণ সেই পর্বগুলোতে বাড়ির ভিতরের অনেক ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। সেখানে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোশাক থেকে শুরু করে ব্যবহার করা আরো অনেক জিনিসপত্র দেখতে পাবেন।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প এবং উপন্যাস আমি অনেক দিন আগে পড়েছিলাম। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক অবদান রয়েছে এবং তা স্বীকার করতেই হবে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আশা করি সামনের পর্বে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো এবং দেখতে পারবো। যাইহোক এই পোস্টের মাধ্যমে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । অবশ্যই ভাই পরের পর্বগুলোতে আরো অনেক কিছুই দেখার সুযোগ পাবেন । সেই জন্য আর কয়েকদিন একটু ধৈর্য ধরে থাকতে হবে।
অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। আশা করি খুব শীঘ্রই পরের পর্ব শেয়ার করবেন। সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আচ্ছা ভাই খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পারবেন।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি 'গৌরী কুঞ্জ' ভ্রমণের প্রথম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম বিখ্যাত মানুষের বাড়ি ভ্রমণ করার মধ্যে রয়েছে অনেক আনন্দ। আর এরকম বিখ্যাত মানুষের বাড়ি ভ্রমণ করলে তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায় এবং ভ্রমণ সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা বাড়ে। দাদা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ভ্রমণের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গৌরী কুঞ্জ নিয়ে শেয়ার করা প্রথম পর্বটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। সত্যিই তাই এরকম বিখ্যাত মানুষের বাড়ি ভ্রমণ করে অনেক কিছুই জানা যায়।
ঘাটশিলায় ভ্রমণ বেশ ভালোভাবেই করলেন। আপনার ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম আমি। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গৌরি কুঞ্জে ঘোরাঘুরি করার প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ও খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করলেন। এখন আমি পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম তাহলে।
এত সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে আমার শেয়ার করা "গৌরী কুঞ্জ" ভ্রমন রিলেটেড এই পোস্টটির প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।