লাইফস্টাইল || দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি (পর্ব -০৮)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও ভালো আছি। |
---|
তোমরা সবাই জানো যে বর্তমানে আমি বাংলাদেশে অবস্থান করছি । এখানে এসেছি এই মাসের ২ তারিখে। এখানে এসে অনেক ঘোরাঘুরি এবং ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় কাটছে আমার। এখানে এসে এতটাই ব্যস্ত সময় যাচ্ছে নিয়মিত ব্লগিং এবং একটিভিটিস বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমার। তারপরও যতটুক সম্ভব সবকিছু করার চেষ্টা করছি।
যাইহোক, দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজকের অষ্টম পর্বে সবাইকে স্বাগতম।
সোদপুর জায়গাটা আমার বাড়ি থেকে যেহেতু অনেকটা দূরে সেই জন্য এইখানের সব জায়গা আমার তেমন করে চেনা ছিল না। তবে পুজোর সময় গেলে কোথায় কি পুজো হচ্ছে লোকের মুখে মুখে শুনে যাওয়া যায়। আমি এখানে নবমীর দিন ঘুরতে গেছিলাম আমার এক বান্ধবীর সাথে। এই দিন এখানে বিভিন্ন জায়গায় প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় হয়েছিল পুজোর কারণে। সোদপুরে সবথেকে বড় যে পুজো প্যান্ডেলটি হয় সেই প্যান্ডেলে প্রায় দেড় কিলোমিটারের মত লাইন পড়েছিল। আমি লাইনের শেষ অংশ থেকে হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে যাই, এই প্যান্ডেলটি কোথায় রয়েছে সেটা দেখার জন্য। তবে প্যান্ডেলটা একটা গলির মধ্যে ছিল এই জন্য প্যান্ডেলের ভিতর যাওয়ার সুযোগ হয় নি আমার। তবে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে আরো কিছু কিছু প্যান্ডেল আমার চোখে পড়েছিল। সেগুলোই আমি ভিতরে গিয়ে দেখেছিলাম।
আমি যদি সোদপুরে গিয়ে সবথেকে বড় পুজো প্যান্ডেলটি দেখতে যেতাম তাহলে ওই একটি পুজো প্যান্ডেল দেখে অন্য কোন কিছু দেখা সম্ভব হতো না। সেই জন্য সবথেকে বড় পুজো প্যান্ডেলটি বাদ দিয়ে অন্য সব পুজো প্যান্ডেল ঘুরে দেখেছিলাম আমি। সোদপুরে রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর পুজো প্যান্ডেল করা হয়েছিল। এগুলো খুব বেশি বড় করে করা ছিল না। তবে এগুলোর পুজো থিম খুব সুন্দর ছিল। অল্প খরচের মধ্যে খুব সুন্দরভাবে সব ফুটে তোলা হয়েছিল। গত বছরও এখানে এসে পুজো প্যান্ডেল দেখেছিলাম খুব ভালো করে করেছিল।
রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি পুজো প্যান্ডেল সামনে পড়েছিল যেখানে বাবার কষ্ট গুলোকে থিম করে একটি পুজো প্যান্ডেল করা হয়েছিল । এই পুজো প্যান্ডেলটি কোন ক্লাব দ্বারা করা হয়েছিল সেই সম্পর্কে আমার জানা নেই। কারণ এই জায়গায় কোথায় সবকিছু লেখা ছিল আমার সামনে পড়ে নি সেদিন । সংসার জীবনে বাবা সবাইকে কি করে পালন করে সেই বিষয়গুলোকে বিভিন্ন লেখা এবং বিভিন্ন দৃশ্যের মাধ্যেমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল এই পুজো প্যান্ডেলে। অনেক আগে, সবকিছু আধুনিক হওয়ার আগে কিভাবে বাবারা কষ্ট করে সংসারের হাল ধরে রাখত সেগুলোকে হাইলাইটস করে তুলে ধরা হয়েছিল এই পুজো প্যান্ডেলে ।
এই পুজো প্যান্ডেলটি দেখার পরে আমি এবং আমার বান্ধবী চলে যাই রাস্তার অন্য পাশে, অন্য একটি পুজো প্যান্ডেল দেখার জন্য। এখানের পুজো প্যান্ডেলে খুব বেশি ভিড় ছিল না। তবে লাইটিং টা বেশ সুন্দর করে করা ছিল। ভগবান শিবের ফটো এবং অনেক দৃশ্য দিয়ে সাজানো ছিল এই পুজো প্যান্ডেল টি। এই প্যান্ডেলে গিয়ে আমি পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মতো ছিলাম। তারপর এখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে আমি মধ্যমগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করি।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: সোদপুর , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।