ইকো পার্ক থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি || পর্ব - ০৪
বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
নতুন একটি দিনে, নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই । আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এই ফটোগ্রাফি গুলো ইকো পার্ক থেকে তোলা হয়েছিল। সত্যি কথা বলতে গেলে ইকোপার্ক এত বড় এবং এখানে এত ফটো তোলার জায়গা রয়েছে, যদি আমি সব জায়গা থেকে ডিটেইলিং ভাবে ফটো শেয়ার করি তাহলে হয়তো এক বছরও শেষ হবেনা এত ফটোগ্রাফি করা সম্ভব এই জায়গা থেকে। আমি কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে ইকো পার্কের মধ্যের বিভিন্ন জায়গার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজ ইকো পার্ক থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলোর চতুর্থতম পর্ব। তৃতীয় পর্বে আমি তোমাদেরকে জানিয়েছিলাম আমরা লেকের পাড় থেকে ইকো পার্কের মধ্যে চলে আসি ঘোরাঘুরি করার জন্য । ইকো পার্কের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার সময় কিছু অংশের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম গত পর্বে। আজ আরো বাকি কিছু অংশের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
আমরা সবাই হেঁটে হেঁটেই পুরো ইকো পার্কটাকে দেখছিলাম। ইকো পার্কে গেলে সবথেকে ভালো একটা বিষয় হচ্ছে চারিদিকে শুধু সবুজ দেখা যায়। যারা সবুজ প্রেমী তাদের জন্য এটা একটা বেস্ট জায়গা। ডানে-বায়ে, সামনে-পিছনে যেদিকেই তাকাবে শুধু সবুজ আর সবুজ। আজ শেয়ার করা ফটোগ্রাফিগুলোতে সবুজের পরিমাণ একটুখানি বেশি। পরবর্তী পর্বগুলোতে সবুজের অংশ একটু কম দেখা যাবে কারণ ভিতরের বিভিন্ন জিনিস তুলে ধরবো পরের পর্বগুলোতে।
ইকো পার্কের মধ্যে কয়েকটি সুন্দর ব্যবস্থা করা রয়েছে। যার মাধ্যমে যাদের হেঁটে পার্কের ভিতরের সমস্ত কিছু দেখতে সমস্যা তারা সাইকেলে করে অথবা ছোট ছোট গাড়ি রয়েছে তার ওপর চড়ে ইকো পার্কের সমস্ত জায়গা দেখার সুযোগ পায়। যখন প্রচন্ড গরম পড়ে তখন সাইকেল অথবা গাড়িতে করেই পার্ক ঘুরে ঘুরে দেখাটা একটু বেশি সুবিধাজনক। খুব গরমের সময় হেঁটে দেখাটা একটু কষ্টকর হয়ে যায় প্রচন্ড রোদের কারণে। ইকো পার্কে আমি অনেক গরমের সময়েও গেছি তখন হেঁটে দেখতে সত্যি খুব কষ্ট হয়ে গেছিল আমার। কিন্তু এইবার বর্ষার সময় গেছিলাম সেই জন্য এটা দেখতে খুব একটা কষ্ট হয়নি আমার। চারিদিকে হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া, সবুজময় সুন্দর পরিবেশ সবকিছু মিলে সুন্দর একটা হাঁটার পরিবেশ পেয়েছিলাম। ইকো পার্কের মধ্যে উপর থেকে জলের কিছু ঝরনা এমনভাবে সেট করা রয়েছে যেগুলোর নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় শরীরে হালকা একটা বাষ্পের মতো জলের ছোঁয়া পাওয়া যায় যা শরীরটাকে খুব ঠান্ডা করে দেয়। আমি তো সেই জায়গা দিয়ে অনেকবার হাঁটাহাঁটি করেছিলাম একটা আলাদা শান্তি লাগছিল। সবকিছু মিলে অনেক ইনজয় করতে করতে ইকো পার্কে ঘুরে ছিলাম।
উপর থেকে বাষ্পের আকারে জল পড়ছিল যা শরীরের লাগার সাথে সাথে শীতল একটা অনুভব দিচ্ছিল । অনেক গরমের সময় এই বাষ্পগুলোর মধ্যে দিয়ে গেলে এয়ারকন্ডিশনের মত আরাম অনুভব করা যায়।
অনেক দূরে দেখা যাচ্ছে গোলাপ ফুলের বাগান ।হাজার হাজার গোলাপ ফুলের গাছ লাগানো রয়েছে যা দূর থেকে হয়তো খুব স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না।
সারি সারি করে লাগানো রয়েছে সৌন্দর্য বর্ধক একপ্রকার গাছ। গাছটির নাম যদিও আমার জানা নেই ।
চারিদিকে যেখানেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ দেখা যাচ্ছিল। এত সবুজ দেখে সেদিন মনটা ভরে গেছিল।
উঁচু মাটির ঢিবির উপর বুনোফুল গাছে ফুল ফুটে রয়েছে।
ফটোগ্রাফিতে সবুজের সমারোহ দেখে যেন মনে হচ্ছে সবুজের স্বর্গ।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: ইকো পার্ক, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
ইকোপার্ক ভ্রমণ করে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আসলে এই পার্কটি যতটা সবুজ তাতে প্রত্যেকেরই ভালো লাগবে। আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন যেন এটা একটা সবুজের স্বর্গ। উঁচু ঢিবির ওপর বনফুলের ফটোগ্রাফি টা দারুন ছিল।
এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। এই পার্কে যারাই ঘুরতে যায় প্রত্যেকেরই ভালো লাগে এত সুন্দর একটি পার্ক।
ইকো পার্ক সত্যিই খুব সুন্দর। তাই ছবি গুলোও আপনার খুব সুন্দর হয়েছে। তবে আমার সৌভাগ্য হয়নি ভেতরে ঢোকার। আমি ইকো পার্কের পাশ দিয়ে এসেছি একবার। তখন অবশ্য ইকো পার্ক করোনার কারণে বন্ধ ছিল। তবে এই শীতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর সুন্দর ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আচ্ছা ভাই এই শীতে গিয়ে অবশ্যই ঘুরে আসবেন সত্যিই অনেক ভালো লাগবে আপনার। করোনার কারণে অনেকদিন বন্ধ ছিল কিন্তু এখন পুরোপুরি ভাবে খোলা রয়েছে । পার্কের মধ্যে আরো নতুন নতুন অনেক জিনিস অ্যাড করা হয়েছে এইবার গেলে তা দেখার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
কিছুদিন আগেও তো আমি ঘুরে আসলাম। আসলে আগের থেকে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে এখানে। প্রচুর সবুজের সমরহ আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে তো অনেক উপরে উঠে গেছে ইকোপার্ক। তবে এটা সত্যি কথা, গরম কালের থেকে শীতকালে কিংবা বর্ষাকালে এখানে ঘুরে মজা আছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে এবং প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া, যার জন্য দেখতে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে ইকো পার্ক অনেক উপরে। আমি অনেক বার অন্যান্য অনেক পার্কে ঘুরতে গেছি কিন্তু ইকো পার্কের মত এত সুন্দর পরিষ্কার অন্য কোন পার্ক দেখিনি। এটা সত্যি ইকো পার্কের মধ্যে সব সিজনে গিয়েই মজা লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য।
দাদা আসলেই তো ইকো পার্ক টি অনেক বড় ৷ আপনি চারটি ব্লগ লিখেও শেষ করতে পারছেন না ৷ আর প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ চারদিকে যেন সবুজ সবুজ ঘাস ভরপুর ৷ সব মিলে অনেক সুন্দর সুন্দর পার্ক টি ৷
ভাই চারটি নয়, কমপক্ষে চল্লিশটি ব্লগ লেখা সম্ভব ইকোপার্ক এত বড়। সবুজের সমারোহ দেখার এক অপরূপ জায়গা এটি। এখানে ঘুরতে গেলেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।
ভাই আপনার পোস্টটি প্রথমে পড়ে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম । আপনি প্রথমেই বলেছিলেন ইকো পার্ক এত বড় যার ফটোগ্রাফি আপনি এক বছরে করেও শেষ করতে পারবেন না । একটু অবাক লেগেছিল বিষয়টি । কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখার পরে মনে হচ্ছে আসলেই জায়গাটা বিশাল । আর সবুজে সবুজে চারপাশটা সত্যিই অসম্ভব সুন্দর লাগছিল । সমস্ত ইকো পার্কটি মনে হয় অসম্ভব সুন্দর । আমার নিজেরই তো যেতে ইচ্ছে করছে । বেশ ভালো ছিল । ধন্যবাদ ।
হ্যাঁ আপু এটি সত্যি! এই ইকো পার্কটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবথেকে বড়। এটি সম্পূর্ণভাবে একদিনে ঘুরে দেখাও সম্ভব নয়। আর এত বড় জায়গায় অনেক কিছুই দেখার রয়েছে। সেগুলোর ফটোগ্রাফি এবং সেইসব নিয়ে লেখালেখি করলে সত্যিই এক বছরের শেষ করা যাবে না এত বিশাল একটি জায়গা।
ইকো পার্কে শেষ ৫ বছর আগে গেছিলাম। শুনেছি এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে আপনি যে ছবিগুলো শেয়ার করেছেন, তার প্রায় সবগুলোই আমি যখন গেছিলাম দেখেছিলাম। সিনারি বেশ সুন্দর।মন জুড়িয়ে যায়।কর্তৃপক্ষ যেন এমন ভাবেই সবটা মেইনটেইন করে।তবে সব থেকে ভালো লাগে আইল্যান্ডে গিয়ে রেস্তোরাঁ তে টুকটাক খাওয়া দাওয়া। বেশ আনন্দ হয়। তবে শীতের শুরু বা শীতের মধ্যে যাওয়াই ভালো।
এখানে সত্যিই অনেক পরিবর্তন হয়েছে । নতুন অনেক অনেক জিনিস করা হয়েছে এখানে। এটা মূলত সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয় এবং খুব ভালোভাবে মেইনটেইন করা হয়। আমি আইল্যান্ডে গিয়ে রেস্তোরাঁ তে খাওয়া দাওয়া কখনো করিনি। এইবার শীতে ইচ্ছা আছে সেখানে গিয়ে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি একটু খাওয়া দাওয়া করার।
জি আপনার ইকোপার্কের পর্ব গুলো বেশ ভালো ছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আজকেও বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি দেখলাম। ঠিক বলেছেন ইকোপার্ক প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্যই এখানে সবুজ আর সবুজ, যারা প্রকৃত ভালোবাসে তারা কিন্তু মাঝে মাঝেই এই পার্কগুলোতে ঘুরতে আসে।
প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা এখানে মাঝে মাঝে গিয়ে ঘুরে আসে। খুবই সুন্দর একটি জায়গা ঘোরাঘুরির জন্য। এত সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনি ইকো পার্কে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো দেখে। ঘোরাঘুরি করতে কেনা পছন্দ করে। ফটোগ্রাফি করতে এবং ঘোরাঘুরি করতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। যখনই সুন্দর কিছু দেখি সাথে সাথে ক্যামেরাবন্দি করে ফেলি। খুবই ভালো ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ঘুরতে আমরা সত্যিই সবাই খুব পছন্দ করি। সবাই একটু অবসর সময় পেলেই কোথাও না কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি যা একটা ভালো ব্যাপার। আর ঘুরাঘুরি করার সময় সুন্দর দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে রাখা এখন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
আমার বর্ণনার পাশাপাশি আপনিও কিছু বর্ণনা দিয়েছেন
বেশ ভালো লাগলো আপনার কমেন্টটি পড়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
এবার ইন্ডিয়া গিয়ে ইকো পার্কেও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সারাদিন ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যেবেলায় শরীরটা আর পারছিল না। তাই ইকো পার্কের পাশে মিষ্টি হাব থেকে মিষ্টি খেয়ে আমি আর দাদা ইকো পার্কের পাশ দিয়েই চলে গিয়েছিলাম। তখন গাড়ি থেকেই অল্প একটু দেখেছিলাম। সন্ধ্যেবেলার লাইটিং গুলো অসাধারণ লাগছিল আমার কাছে। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ভেতরের পরিবেশ কিছুটা দেখতে পারলাম। ভীষণই ভালো লাগলো । চারদিকে এত সবুজ এই জিনিসটা সবথেকে বেশি আকর্ষণ করে বোধহয় সবাইকে। আর গরমের সময় সাইকেল বা গাড়িতে করে ঘুরে দেখার ব্যাপারটাও বেশ মজার। তবে আমার কাছে মনে হয় হেঁটে হেঁটে চারদিক দেখার একটা অন্যরকম মজা আছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা।
চলার পথে গাড়ি থেকে দেখলে সেই ভাবে বোঝা যাবে না পার্ক টি সুন্দরভাবে। এর ভিতর গিয়ে এই জায়গা উপভোগ করতে হবে । খুবই দারুণ একটি জায়গা ভাই। কখনো সময় এবং সুযোগ হলে হলে এর ভিতরে এসে ঘুরে যাবেন।