বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট আমি শেয়ার করবো। আসলে কয়েক সপ্তাহ ধরে তোমাদের সাথে কোন ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছিল না। বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই আমার লাস্ট কিছুদিন ধরে কাটছে। আসলে আমাদের জীবনে ব্যস্ততা শেষ নেই, ব্যস্ততা আমাদের জীবনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়ে এখন। একটা কাজ শেষ হলে আর একটা কাজ সামনে চলে আসে, এই ভাবেই দিন কাটে আর কি। যাইহোক, ফটোগ্রাফি করা কিন্তু অনেকের কাছে পেশা আবার অনেকের কাছে নেশার মত। এটা একটা শখের কাজও বলা যায়। অনেক আগে ফটোগ্রাফি খুব বেশি ভালো করতে পারতাম না, তবে এখন চেষ্টা করি ভালো ফটোগ্রাফি করার জন্য। আজকের এই ব্লগে বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আসলে শেয়ার করেছি। তাহলে আর কথা না বাড়ি এই ফটোগ্রাফি গুলো নিচে দেখে নেওয়া যাক।

লোকেশন: বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

প্রথম এই ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে করলা গাছের পাতার ফটোগ্রাফি। করলা একটি সবজি গাছ। এই সবজি হয়তো তোমরা সবাই চিনে থাকবে। কমন একটি সবজি এটি, তবে এই সবজি খেতে তেতো লাগার কারণে অনেকের কাছেই অপছন্দ লাগে। তবে এটা অনেক দিক থেকে অনেক ভালো, এই জন্য আমাদের বাড়িতে এই সবজির গাছ লাগানো হয়েছে। মাঝে মাঝে দুই একটা যা করলা সবজি হয়, সেগুলো আমরা কোনো কোনো সময় ভাজা করে আবার কোন কোন সময় তরকারি রান্না করে খাই। যাই হোক, কয়েকদিন আগে ছাদে উঠে এই গাছের পাতার ফটোগ্রাফি করেছিলাম তাই এখানে শেয়ার করলাম।

লোকেশন :বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

প্রথমে শেয়ার করা ফটোগ্রাফিতে আমি যে করলা পাতার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি, এই করলা সবজি ওই গাছেই ধরেছিল। বেশ কিছুদিন আগে ছাদে উঠে হাঁটাহাঁটি করার সময় এই করলা গাছে আমি এই করলা সবজি টি দেখতে পাই। এই ছোট ছোট করলা গুলো দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছিল তাই সেদিন আমি ছবি তুলে রেখেছিলাম। এই ছোট জাতের করলা গুলো একটু তিতো বেশি হয় । তবে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে এটা আরো বেশি ভালো হয় বড় করলার তুলনায়।

লোকেশন : বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

এখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছ জবা ফুল গাছের কুঁড়ির ফটোগ্রাফি। এই জবা ফুল গাছ কিন্তু আমরা কমবেশি সবাই চিনে থাকি। এটা একটা কমন ফুল বলা যায়। এই ফুলের কোন সুগন্ধ থাকে না। আমাদের বাড়ির ছাদ বাগানে আসলে অনেক ধরনের জবা ফুল গাছ রয়েছে। এই ফুল গাছে সারা বছর ধরেই কমবেশি ফুল দেখা যায়। এই ফুল আমাদের পুজোর কাজে ব্যবহার করা হয়। কয়েকদিন আগে ছাদে উঠে যখন আমাদের একটি গাছে এই ফুলের কুঁড়ি দেখি, তখন আমি ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম।

লোকেশন: ব্যারাকপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

এই ফটোগ্রাফিতে গঙ্গার একটি ঘাট তোমরা দেখতে পাচ্ছ। আসলে নদী দৃশ্য দেখতে আমাদের সবারই অনেক ভালো লাগে। আমাদের বাড়ির কাছাকাছি কোন নদী দেখা যায় না, তবে কিছুটা দূর গেলেই নদী দেখতে পাওয়া যায়। আসলে নদীর কাছে যখন যাই আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে। আমার সবসময় সময় হয় না, তবে কোন কোন সময় নদীর ঘাটে চলে যাই নদীর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। বেশ কিছুদিন আগে ব্যারাকপুরের একটি নদীর ঘাটে গিয়ে এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম যা এখানে আমি শেয়ার করলাম।

লোকেশন: নড়াইল, বাংলাদেশ।

এই ফটোগ্রাফিটি কয়েক বছর আগে আমি বাংলাদেশ থেকে তুলেছিলাম। বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমি বাংলাদেশে বেশ কিছুদিনের ভ্রমণ প্ল্যান নিয়ে গেছিলাম। সেখানে গিয়ে কিছুদিন শহরে ছিলাম আবার কিছুদিন গ্রামে। গ্রামে যখন ছিলাম তখন আশেপাশের অনেক গ্রাম ঘুরে দেখেছিলাম। একদিন একটা সুন্দর গ্রামের খোঁজ পেয়ে সেখানে বিলের কাছে ঘুরতে যায় তারপর এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়। সেদিন এই ফটোগ্রাফিটা আমি করেছিলাম সেখান থেকে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণী	ফটোগ্রাফি
ডিভাইস	Samsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার	@ronggin

বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইলো।

---

---

---

---

---

আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷