ভ্রমন: মৌসুনি আইল্যান্ড (পর্ব- ০৭)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। তোমরা সবাই জানো যে, বেশ কিছুদিন আগে আমি বন্ধুদের সাথে মৌসুনি আইল্যান্ড নামক একটি জায়গায় ঘুরতে গেছিলাম ।
এই মৌসুনি আইল্যান্ড ঘুরতে যাওয়া নিয়ে অলরেডি তোমাদের সাথে পূর্বে ছয়টি পর্ব শেয়ার করেছি। আজকে আমি সবার সাথে সপ্তমতম পর্বটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
অজানা পথের উদ্দেশ্যে যাওয়ার একটা মজাই অন্যরকম। পরবর্তীতে আমরা কি দেখতে পাবো এর কোন গ্যারান্টি থাকে না তাই আমাদের মধ্যে উৎসাহ অনেক বেশি কাজ করে। আমি অনেক সমুদ্র সৈকতে গেছি কিন্তু এই সমুদ্র সৈকতে গিয়ে বালির থেকে কাঁদার পরিমাণ অনেক বেশি দেখতে পেয়েছিলাম। এই ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছিল। সমুদ্র সৈকত দিয়ে চলাচলের সময় আমরা আমাদের সামনে কোন লোক খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এই জন্য আমাদের যে একটু ভয় করছিল সেরকম কোন ব্যাপার ছিল না ।
আমরা নতুন কিছু খোঁজার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম তাই আমরা আমাদের চলার গতি অব্যাহত রাখি। আমাদের চলার পথ কেমন জানি শেষই হচ্ছিল না! যতদূর চোখ যাচ্ছিল, এক দিকে জল এবং অন্য দিকে কাদামাটির সমুদ্র সৈকত দেখা যাচ্ছিল। চলতে চলতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এই কাদামাটির মধ্যে চলাচল একটু কষ্টকর, শক্তির বেশি ক্ষয় হয়। এর মধ্যে দিয়ে চলার সময় কাদামাটি কেমন জানি চলার গতিকে বার বার আটকে দিচ্ছিল । যাই হোক আমরা কিছুটা সময় একটা অংশে বসে একটু রেস্ট করি নি এই সময় অনেক কষ্ট হয়ে গেলে। এই সময় আমাদের ফোনের বন্ধ হয় না। আমরা একের পর এক নতুন নতুন ভোজপুরি গান চালিয়ে আনন্দ করতে থাকি বন্ধুরা মিলে।
পুনরায় যখন আমরা আবার হাঁটা শুরু করি, আমার এক বন্ধু হঠাৎ করে কাদার মধ্যে পড়ে যাই । সেই ব্যাপার দেখে হাসতে হাসতে আমাদের মুখ ব্যাথা হয়ে যায় তখন। যাইহোক অনেকটাই মজা করেছিলাম তখন। কিছু দূর যাওয়ার পর আমাদের চোখে পড়ে সবুজ ঘাস। সমুদ্র সৈকতে সবুজ ঘাস! যা আমাদেরকে সত্যিই অবাক করে দিয়েছিল। যদিও আমি আগে কোনো দিন এই নোনা জলে সবুজ ঘাস জন্মাতে দেখি নি । সমুদ্র সৈকতের যে অংশটাতে সবুজ ঘাসগুলো হয়েছিল জোয়ারের সময় সেই অংশগুলো সব সময় জলের নিচে থাকে, এই ব্যাপারটা আমাদের কাছে বেশ সারপ্রাইজিং লেগেছিল।
ছোট ছোট অসংখ্য কাকড়ার গর্ত ছিল এই ঘাসের মধ্যে। সমুদ্র সৈকতের কাঁকড়া গুলো অনেক চালাক হয় তাদেরকে ধরা যায় না, ধরতে গেলেই তারা গর্তের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। সবুজ ঘাস যেগুলো আমরা দেখেছিলাম সেগুলো কিন্তু নরমাল ঘাসের মতো ছিল না, নরমাল ঘাসের তুলনায় অনেকটা বড় ছিল। এইখানে গিয়ে কাদামাটির গর্তের মধ্যে ছোট ছোট কিছু মাছও দেখতে পেয়েছিলাম। যে জায়গাগুলোতে জল জমে ছিল মুলত সেখানেই ছিল এই গুলো। যদিও ছোট ছোট এই মাছগুলোর নাম আমার জানা ছিল না ।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: মৌসুনি আইল্যান্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
মৌসুনি আইল্যান্ড এর বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে একের পর এক পোস্টে ফটো শেয়ার করে চলেছেন এবং সুন্দর বর্ণনা করছেন, এ থেকে অজানা অনেক কিছু দেখার ও জানার সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের। খুবই ভালো লাগলো সুন্দরভাবে আজকের পোস্টটা উপস্থাপন করেছেন।
আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।